নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয়?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় সম্পর্কে আমরা নতুন ফ্রিল্যান্সাররা অনেকেই জানিনা। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেকেই হয়তো নতুন হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পায় না।
গিগ অর্ডার না আসার কারণে অনেকেই হয়তো হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দিচ্ছে। যার ফলে অনেকের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর উপর ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় সম্পর্কে?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয়?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে আমাদের বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রেখে গিগ সাজালে এবং প্রমোশন করলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে খুব তাড়াতাড়ি গিগ অর্ডার পেতে পারি-
- নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গিগ সাজানোর সময় অবশ্যই প্রফেশনাল ভাবে সাজাতে হবে।
- নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার প্রোফাইল এবং গিগ প্রফেশনাল ভাবে সাজানোর চেষ্টা করবেন।
- তাড়াতাড়ি গিগ অর্ডার পাওয়ার জন্য গিগ টাইটেল এবং বিবরণ খুব সুন্দর ভাবে এবং সহজ করে উপস্থাপন করবেন।
- আপনি যে বিষয়ে দক্ষ আপনি সেই বিষয়ে আপনার গিগ সাজানোর চেষ্টা করবেন এবং আপনার সেই দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার জন্য গিগ সাজাবেন।
অবশ্যই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রথম দিকে খুব বেশি দামের গিগ না তৈরি করি। প্রথমদিকে কম দামের গিগ তৈরি করতে হবে এবং কম দামে কাজ করলে গিগে দ্রুত অর্ডার পেতে পারেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় গুলোর মধ্যে গিগ প্রমোশনের জন্য অবশ্যই সঠিক কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করবেন।
সঠিক কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে গিগের ইম্প্রেশন বৃদ্ধি পাবে যা আপনাকে খুব দ্রুত অর্ডার পেতে সাহায্য করবে।
অবশ্যই গিগে প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করবেন এটি অনেক বেশি সাহায্য করবে দ্রুত অর্ডার পেতে।
- অবশ্যই যোগাযোগ দক্ষতা এবং তাড়াতাড়ি রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- এতে ক্লায়েন্টের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করবেন এবং দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার ফলে আপনার গিগে ভালো প্রভাব পড়বে যার ফলে গিগে দ্রুত অর্ডার পেতে পারেন।
- গিগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন যার ফলে আপনার গিগ ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে পারে এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি এর মত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনার গিগ প্রমোশন করতে পারেন।
এই ধরনের কাজগুলো করলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে খুব দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে পারেন।
কেন আপনার প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজাবেন?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানো। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার প্রোফাইল কে প্রফেশনাল ভাবে সাজাতে হবে। প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানো থাকলে তা রুচিসম্মত হবে এবং ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল ঘুরে আপনার সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।
যার ফলে আপনার দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে সাহায্য করবে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানো অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজানোর জন্য অবশ্যই সঠিক এবং সহজ টাইটেল ব্যবহার করতে হবে? এবং সঠিক কিওয়ার্ড ও সাব কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
যার ফলে আপনার গিগের প্রতি ক্লায়েন্টের একটি পজেটিভ মনোভাব তৈরি করবে যার ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে সাহায্য করবে। তাই বলা যায় প্রফেশনাল ভাবে প্রোফাইল সাজালে অবশ্যই এটি গিগের প্রতি ভালো ইফেক্ট ফেলবে যা দ্রুতই অর্ডার পেতে সাহায্য করবে।
কিভাবে গিগ টাইটেল এবং বিবরণ লিখবেন?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে অনেকেই হয়তো বুঝেন না কিভাবে গিগ টাইটেল এবং বিবরণ লিখবেন। যার ফলে অনেকেই অর্ডার পায় না তাই এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য অবশ্যই সুন্দরভাবে কিভাবে গিগ টাইটেল এবং বিবরণ লেখার সময় খুব সুন্দর ভাবে এবং প্রফেশনাল ভাবে সেগুলোকে উপস্থাপন করতে হবে? গিগের মধ্যে যেন ক্লায়েন্টে খুব সহজে তা বুঝতে পারে।
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় এর মধ্যে অবশ্যই টাইটেল এবং বিবরণ লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি যেন একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের মতো হয়ে ওঠে যা আমাদের নতুন হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই মার্কেটপ্লেসের আপনার প্রতিযোগী যারা আছে তাদের থেকে ধারণা নিতে পারেন। সঠিকভাবে টাইটেল এবং বিবরণ লেখার ফলে গিগের ইম্প্রেশন বৃদ্ধি পায় যার ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুতই গিগ অর্ডার পেতে সাহায্য করে থাকে।
আপনার উপযুক্ত দক্ষতা কিভাবে নির্বাচন করবেন?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কিভাবে আপনার দক্ষতা নির্বাচন করবেন? আপনার দক্ষতা নির্বাচন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কোন একটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এবং সেটি কাজে লাগিয়ে আপনাকে গিগ পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সেই সেক্টর এর মধ্যে যে কাজগুলো আপনি খুব ভালো পারেন। সে কাজগুলোর উপর কিংবা আপনার যে কাজে দক্ষতা বেশি সে কাজের উপর আপনি গিগ তৈরি করে সেটির উপর কাজ করতে পারবেন।
সেটি হতে পারে বিজনেস কার্ড ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, কিংবা লেটারহেড ডিজাইন, অথবা ক্যালেন্ডার ডিজাইন এছাড়াও আপনি যে ডিজাইনে বেশি দক্ষ সে দক্ষতা অনুযায়ী গিগ তৈরি করে আপনি গিগ পাবলিক করতে পারবেন। তাই অবশ্যই আপনার দক্ষতা সঠিকভাবে নির্বাচন করার পরেই আপনি গিগ পাবলিশ করবেন তাহলে আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
কেন প্রথম দিকে কম দামে কাজ করবেন?
কেন প্রথমদিকে কাজের দাম কম রাখবেন সেটি যদি বলতে যাই তাহলে বলা যায় যে বর্তমান আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন আমাদের প্রতিযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে? এই প্রতিযোগিতার বাজারে যদি আপনি দ্রুতই গিগ অর্ডার পেতে চান তাহলে শুরুর দিকে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের দাম কম রাখতে হবে। কাজের দাম কম রাখলে এবং সেটি ক্লায়েন্টের চোখে পড়লে ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। তাই ফ্রিল্যান্সার হিসাবে নতুন হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রথমদিকে আপনার কাজের দাম কি কম রাখতে হবে।
এ সময় আপনি বেশ কিছু কাজ করে আপনার গিগে ক্লায়েন্টের রেটিং এবং রিভিউ সংগ্রহ করে আপনার গিগের ইম্প্রেশন এবং গিগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন? যা পরবর্তীতে কাজ পেতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। পরবর্তীতে আপনি আপনার গিগের আপনার কাজের দাম পরিবর্তন করে বৃদ্ধি করতে পারবেন। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পাওয়ার জন্য এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কীওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করবেন কিভাবে সেটি জানতে গেলে অবশ্যই আপনাকে মার্কেটপ্লেস এ গিয়ে রিসার্চ এবং আরও অন্যান্য যে প্রতিযোগী আছে তাদের কীওয়ার্ড খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক কীওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করার মাধ্যমে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুতই গিগ অর্ডার পেতে পারবেন। সঠিক কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে আপনার গিগের ইম্প্রেশন বৃদ্ধি পাবে যা গিগকে দ্রুতই অর্ডার নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
সঠিক কীওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসে আপনার যারা প্রতিযোগী আছে তাদের গিগ পরিদর্শন করতে হবে? এবং জনপ্রিয় কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ গুলো আপনার গিগে ব্যবহার করতে হবে যা আপনার গিগে দ্রুত নিয়ে আসতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। তাই সঠিক কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে কাজ করবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে।
কেন প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করবেন?
কেন প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করবেন তার কারণ হলো গিগে প্রফেশনাল ভিডিও বা ইমেজ যুক্ত করার ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্লায়েন্টের কাছে আপনার কাজকে আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন? এবং আপনার করা কাজগুলো আপনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রফেশনাল ইমেজ ব্যবহার বা ভিডিও যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার গিগের ইমপ্রেশন এবং ক্লিক খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে? এবং এতে আপনার দক্ষতা ফুটে উঠবে। এবং আপনার দক্ষতা ফুটে ওঠার কারণে যদি আপনার কাজ ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় তাহলে খুব দ্রুত আপনি গিগে অর্ডার পেতে পারেন। দ্রুত অর্ডার পাওয়ার জন্য অবশ্যই গিগে প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করবেন।
দ্রুত রিপ্লাই কেন বেশি জরুরী?
দ্রুত রিপ্লাই অত্যন্ত একটি জরুরী কৌশল নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পাওয়ার জন্য। দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার ফলে ক্লায়েন্টের সাথে আপনার যোগাযোগ খুব তাড়াতাড়ি হবে এবং দ্রুত রিপ্লে দেওয়ার ফলে ক্লাইন্ট বুঝতে পারবে আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার। দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার ফলে আপনার এক্টিভিটি যেমন ঠিক থাকবে তেমনিভাবে ক্লায়েন্টের প্রশ্নের উত্তর আপনি যথাসময়ে দিতে পারবেন যা কোন ক্লায়েন্ট এর চাহিদা আপনি বুঝে সে অনুযায়ী তাকে কাজ করে দিতে পারবেন।
দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার ফলে ক্লায়েন্ট এর সময় বেঁচে যায় যার ফলে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করে তার কাজের বর্ণনা দিতে পারবে? এবং আপনি যথাসময়ে তা বুঝতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টকে আপনার দক্ষতার কথা বোঝাতে পারবেন। তাই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে এটা অনেক বেশি সাহায্য করে থাকবে।
কোথায় গিগ প্রমোশন করবেন এবং কেন?
এতক্ষন আমরা কিভাবে আমাদের প্রোফাইল সাজাবো এবং কিভাবে আমাদের গিগ সাজাবো এ বিষয়গুলো দেখলাম এখন আমরা আমাদের সেই সাজানো গিগ কোন জায়গাতে গিয়ে প্রমোশন করব যার ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে পারবো। গিগ প্রমোশনের জন্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো বেছে নিয়ে সেখানে প্রমোশন করতে পারি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, লিংকডইন, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম আরো বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যে জায়গাগুলোতে আমরা খুব সহজে আমাদের গিগ প্রমোশন করতে পারব। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গিগ প্রমোশন আমাদের নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে দ্রুতই গিগ অর্ডার পেতে সাহায্য করে থাকে।
পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং তা আপডেট রাখুন?
যে কোনও ফ্রিল্যান্সারই জানেন, পোর্টফোলিও হলো এক ধরনের প্রমাণ যা আপনার দক্ষতা এবং কাজের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনার পোর্টফোলিওতে আপনার সেরা কাজগুলির নমুনা থাকতে হবে? যা আপনাকে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের থেকে আলাদা করবে। এজন্য কিছু বাস্তব প্রকল্পে কাজ করুন, অথবা আপনার নিজের উদাহরণ তৈরি করুন যদি আপনি নতুন হন। পোর্টফোলিওতে কাজের ধরন, আপনার সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা উচিত।
এছাড়া, আপনি যে দক্ষতায় কাজ করতে চান, তার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরি তৈরি করুন। যেমন, যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, বা ডিজিটাল মার্কেটিং করেন? তাহলে সেগুলোর আলাদা আলাদা পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এটি আপনাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। পোর্টফোলিওটি নিয়মিত আপডেট করুন, যাতে আপনার সর্বশেষ কাজগুলো সেখানে থাকে।
প্রোফাইল তৈরি করুন এবং তা সঠিকভাবে পূর্ণ করুন?
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer বা Toptal-এ আপনার প্রোফাইল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে ক্লায়েন্টরা আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং প্রোফেশনালিজম দেখতে পারে। আপনার প্রোফাইলে একটি স্পষ্ট এবং প্রফেশনাল ছবি, সঠিক বায়ো, আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে হবে। যেহেতু আপনার ফোকাস "নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয়", তাই প্রথমত আপনাকে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে।
প্রোফাইলের বায়ো অংশে নিজের অভিজ্ঞতা, কাজের ধরণ, এবং আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টদের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। এটির মধ্যে আপনার বিশেষত্ব, দক্ষতা এবং কাজের জন্য আপনি কীভাবে সময়সীমা বজায় রাখেন, তাও উল্লেখ করুন?
সঠিক গিগ তৈরি করুন?
আপনার প্রোফাইল পূর্ণ করার পর, পরবর্তী পদক্ষেপ হলো গিগ তৈরি করা আপনার গিগ বা সার্ভিস তৈরির সময়? সঠিকভাবে কী পরিষেবা আপনি প্রদান করবেন, সেটা নিশ্চিত করুন। গিগের টাইটেল, ডিসক্রিপশন, এবং কিওয়ার্ডসমূহ যথাযথভাবে নির্বাচন করুন? যাতে আপনার গিগটি ক্লায়েন্টদের চোখে পড়ে। এখানে “নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয়” এই বিষয়টি মাথায় রেখে, আপনার গিগের ডিসক্রিপশন এবং টাইটেলে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
একটি প্রফেশনাল এবং বিস্তারিত গিগ বর্ণনা করুন যা ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করবে গিগের জন্য সঠিক ট্যাগ এবং কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার গিগটি গুগল এবং ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সার্চ রেজাল্টে শীর্ষে উঠে আসবে? যা আপনার কাজকে দ্রুত প্রসারিত করবে।
কমপিটিটরদের বিশ্লেষণ করুন?
আপনার গিগকে আরও ভালো করার জন্য আপনাকে আপনার কমপিটিটরদের বিশ্লেষণ করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে আপনার মতোই কাজ করছে? তাদের প্রোফাইল এবং গিগগুলি দেখুন। তারা কীভাবে তাদের গিগ সাজাচ্ছে, তাদের টেমপ্লেট কীভাবে সাজানো হয়েছে, এবং তারা কী ধরনের ডিজাইন এবং পরিষেবা অফার করছে, এসব বিশ্লেষণ করুন।
এটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যে ধরনের পরিষেবা অফার করছেন, সেগুলির মান উন্নত করতে আপনাকে আপনার কমপিটিটরদের থেকে কিছু ধারণা নিতে হবে। তাদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলিকে আপনার সুবিধায় পরিণত করুন।
এক্সপার্ট এবং অভিজ্ঞ হতে হবে?
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পেতে হলে আপনাকে আপনার নির্বাচিত ক্ষেত্রের মধ্যে এক্সপার্ট হতে হবে। আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন। প্রতিনিয়ত আপনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন এবং নতুন কিছু শিখুন।
অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে হলে আপনাকে প্রাসঙ্গিক নতুন প্রযুক্তি বা ট্রেন্ডগুলো সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হন, তবে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে নতুন ডিজাইন টুলস, ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক, অথবা নতুন কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে এগিয়ে থাকা।
এছাড়া, আপনার দক্ষতা সম্পর্কে পঠনযোগ্য, মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে থাকুন? এটি আপনার কাস্টমারদের কাছে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করবে এবং তাদের কাছে আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।
গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন?
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গিগ অর্ডার পেতে গেলে, আপনার গ্রাহকের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলাও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে প্রতিটি গ্রাহকের জন্য একটি ব্যক্তিগত মনোভাব রাখতে হবে এবং তাদের প্রয়োজনের কথা শোনার জন্য সময় দিতে হবে।
তাদের যে কোন প্রশ্নের জন্য দ্রুত এবং পরিষ্কার উত্তর দিন কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি ভালো অভিজ্ঞতা দিতে পারবেন, যা পরবর্তীতে নতুন ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন?
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পর, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিতে ভুলবেন না। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং লিঙ্কডইন ব্যবহার করে আপনার পরিষেবাগুলি প্রচার করুন। আপনি নিজের কাজের নমুনা এবং পোর্টফোলিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন? যা আপনাকে আরও বেশি কাস্টমার এনে দেবে।
এছাড়া, লিঙ্কডইনে আপনার কাজের নেটওয়ার্ক তৈরি করুন লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি আপনার পেশাগত জীবন এবং কর্মসংস্থান প্রদর্শনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি মাধ্যম। এটি ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস অর্জন করতে সাহায্য করে এবং আপনাকে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন?
আপনার কাজের মানের উপর নির্ভর করে ক্লায়েন্টরা তাদের মতামত দেবে তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাক নিতে চাইলে আপনাকে কাস্টমার সেবা এবং কাজের মান অনেক ভালো রাখতে হবে।
ফিডব্যাকগুলি গিগের মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং নতুন ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস অর্জন করতে সাহায্য করবে। আপনার গিগের প্রতিক্রিয়া এবং পর্যালোচনাগুলি যত ভালো হবে? তত সহজে আপনি নতুন কাজ পেতে পারবেন।
সময় ব্যবস্থাপনা এবং ডেডলাইন মেনে চলা?
ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন কাজের স্বাধীনতা রয়েছে? তেমনি আপনাকে সময় ব্যবস্থাপনা এবং ডেডলাইন মেনে চলারও গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রাহকদের জন্য সময়মতো কাজ সমাপ্ত করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি একটি কাজ গ্রহণ করেন? তখন সেটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য আপনার পূর্ণ মনোযোগ এবং উৎসর্গিতা থাকতে হবে।
গ্রাহকের সাথে কাজ করার সময় যদি আপনি সময়মতো কাজটি সরবরাহ করেন এবং তাদের প্রত্যাশা পূর্ণ করেন, তবে তা ভবিষ্যতে আরো অনেক অর্ডারের দ্বার খুলে দিবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে পেশাদারিত্ব এবং সময়মতো কাজ করা ক্লায়েন্টদের মধ্যে ভালো ইমেজ তৈরি করে, যা পরবর্তীতে নতুন কাজ পেতে সহায়ক হয়।
এছাড়া, আপনি যদি কোনো কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে চলতে না পারেন, তবে গ্রাহককে সময়মতো জানানো এবং তাদের সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করা জরুরি। এটি আপনার পেশাদারিত্ব এবং সততার প্রমাণ।
সার্ভিস প্রাইসিং এবং কাস্টমাইজড প্যাকেজ অফার করুন?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার সেবা মূল্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, আপনার দক্ষতা এবং কাজের জটিলতা অনুযায়ী সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন। খুব কম দামে কাজ করলে আপনার মান কমে যাবে এবং খুব বেশি দামে কাজ করলে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই একটি মাঝারি এবং সঠিক মূল্য নির্বাচন করুন যা আপনি আপনার কাজের জন্য গ্রহণযোগ্য মনে করেন এবং একই সঙ্গে বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
এছাড়া, আপনি কাস্টমাইজড প্যাকেজ অফার করতে পারেন বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করলে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা বেছে নিতে পারবে। এটি তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে এবং আপনাকে আরও বেশি অর্ডার এনে দেবে।
আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হন, তবে প্রথমে সস্তা দামে কাজ করতে পারেন, যা ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করবে। পরে, আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়াতে পারেন। তবে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন কখনও আপনার কাজের মান কমাবেন না।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি?
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তবে একাধিক প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত থাকলে আপনার কাজের সুযোগ বাড়ানো যায়। আপনি যদি শুধুমাত্র একটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করে থাকেন, তবে আপনার আয় সীমিত হতে পারে, কিন্তু একাধিক সাইটে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা, অনলাইন কোর্স বা সার্টিফিকেট অর্জন করে একাধিক প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রোফাইল আপডেট করুন। এতে আপনি আরও অনেক কাজ পেতে পারবেন। তবে, মনে রাখবেন যে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব নিয়ম-নীতি রয়েছে এবং আপনাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আপনার সেবা একাধিক প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত থাকার মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি গড়তে পারবেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। এর ফলে, নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে আপনার অবস্থান নিশ্চিত করুন?
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে একসময় বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের স্থান তৈরি করতে হবে। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে হলে আপনাকে এমন এক পেশাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, যার কাজের মান এবং দক্ষতা অন্যদের থেকে আলাদা। এক্ষেত্রে, আপনি যেই সেবাটি প্রদান করছেন, তা যেন কাস্টমারের জন্য নিখুঁত হয় এবং তাদের সমস্যার সমাধান দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আপনি যদি বিশেষ কিছু সেবা প্রদান করতে পারেন, যেমন একটি নির্দিষ্ট নীচে দক্ষতা, বা কোনো প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে সক্ষম হন, তাহলে সে ক্ষেত্রেই আপনাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হতে হবে। যেমন, যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইন করেন, তবে "লোগো ডিজাইন বিশেষজ্ঞ" বা "ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইনার" হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। এটি ক্লায়েন্টদের জন্য স্পষ্ট সংকেত যে আপনি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতায় বিশেষজ্ঞ এবং তারা আপনাকে সেই বিশেষ কাজের জন্য নিয়োগ করতে প্রস্তুত।
নিয়মিত নিজেকে আপডেট রাখুন?
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য শুধুমাত্র দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বই যথেষ্ট নয়; আপনাকে নিয়মিতভাবে নিজের দক্ষতা ও জ্ঞানে আপডেট থাকতে হবে। প্রযুক্তি এবং ট্রেন্ড প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং আপনাকে সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নতুন সফটওয়্যার, ডিজাইন টুলস, বা মার্কেটিং কৌশল শিখে আপনি আরো প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবেন।
আপনার কাজের জন্য বিশেষ কোর্স বা সার্টিফিকেট নিতে পারেন, যা আপনাকে আরও দক্ষ এবং আপডেটেড করে তুলবে। সুতরাং, যেকোনো নতুন প্রযুক্তি বা টুল সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেটে বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করুন এবং সেগুলি আপনার কাজের মধ্যে প্রয়োগ করুন। এতে আপনার দক্ষতা আরও প্রসারিত হবে এবং আপনি অনেক বেশি ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে পারবেন।
আপত্তি ও সমালোচনার সাথে মোকাবিলা করুন?
ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে, আপনি সবসময়ই সমালোচনা বা আপত্তির সম্মুখীন হতে পারেন? তবে, এটি আপনার কাজের মান সম্পর্কে সংশয় সৃষ্টি না করে বরং একটি শিখন অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করুন। আপত্তি বা সমালোচনা থেকে শিখে আপনি আরও উন্নতি করতে পারবেন এবং নিজের কাজের মান বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।
আপনি যখন প্রথম কাজ শুরু করেন, তখন কিছু গ্রাহক আপনার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট না হতে পারে, তবে এটি আপনার চেষ্টাকে কমিয়ে না দিয়ে আপনাকে আরও ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করবে। পরবর্তীতে আপনি যদি সেই গ্রাহকের ফিডব্যাক বা পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করেন, তাহলে তা আপনার পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতা প্রমাণ করবে।
সহজেই যোগাযোগ এবং যোগাযোগের পদ্ধতি উন্নত করুন?
ফ্রিল্যান্সিং কাজে যোগাযোগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েন্টের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ সহজ, দ্রুত, এবং পেশাদার হতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মাধ্যমে কাজ করেন? তবে সাইটের মেসেজ সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, ক্লায়েন্টের সঙ্গে মিটিং, ফোন কল বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
কখনও ভুল বার্তা পাঠানো বা শ্লথ প্রতিক্রিয়া জানানো আপনার প্রোফেশনাল ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে পারে। তাই আপনি যখনই কাজ শুরু করবেন, তখন ক্লায়েন্টের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দ্রুত এবং পরিষ্কারভাবে দিন। এই ধরণের ভালো যোগাযোগ গ্রাহকদের মধ্যে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে আরও অর্ডার পেতে সাহায্য করবে।
সঠিক নেটওয়ার্কিং এবং সম্পর্ক গড়ুন?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে নেটওয়ার্কিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনার কাজ যত ভালোই হোক, যদি সঠিক যোগাযোগ এবং সম্পর্ক না থাকে? তবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে চান, তবে আপনাকে নেটওয়ার্কিং ও সম্পর্ক স্থাপনে মনোযোগ দিতে হবে।
নেটওয়ার্কিং করার জন্য, আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ইভেন্ট, ওয়েবিনার বা অনলাইন কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন, তাদের অভিজ্ঞতা জানতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে পারবেন। আপনি নিজেও আপনার কাজ এবং দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন, যা ভবিষ্যতে নতুন গিগ অর্ডার পেতে সহায়ক হবে।
তাছাড়া, সামাজিক মাধ্যমেও আপনি আপনার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন? লিঙ্কডইন, ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি আপনার কাজের উদাহরণও শেয়ার করতে পারবেন, যা আপনার উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করবে।
নির্ভরযোগ্য যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করুন?
একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য গ্রাহকদের সঙ্গে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ একটি অপরিহার্য দিক। আপনি যখন একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তখন প্রাথমিক যোগাযোগ এবং পরে কাজের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তাদের যে কোনও প্রশ্ন বা সংশোধনী সমাধান করতে হবে।
যেহেতু ক্লায়েন্টরা তাদের প্রকল্পের উপর অনেক গুরুত্ব দেয়, তাই তাদের সাথে যোগাযোগের সময় স্পষ্ট এবং সঠিক হতে হবে। নিয়মিত আপডেট দেওয়া, কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো এবং কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তা জানানো, গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনে সাহায্য করবে।
এছাড়া, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের বাইরে কাজ করতে চান, তবে নিশ্চিত করুন যে আপনার যোগাযোগের মাধ্যম নিরাপদ এবং সঠিক। বিভিন্ন ইমেইল সার্ভিস বা চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম যেমন জুম, স্কাইপ, বা গুগল মিট ব্যবহার করলে যোগাযোগ আরও সুষ্ঠু এবং সুবিধাজনক হবে।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করুন?
আজকের ফ্রিল্যান্সিং জগতে শুধু কাজের দক্ষতা যথেষ্ট নয়, বরং একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করাও জরুরি। আপনি যদি নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন, তাহলে তা আপনার কাজকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে এবং আপনি দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে সক্ষম হবেন।
আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিভা, দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্ব তুলে ধরতে পারেন। এর জন্য আপনি আপনার কাজের উদাহরণ, ব্লগ লিখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত উপস্থিতি রেখে এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি সত্যিকারের মনোযোগ দেন, তাহলে তা সবার কাছে আপনাকে পেশাদার এবং বিশ্বাসযোগ্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
ফাইভার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম অনেক দেশি-বিদেশি ফ্রিল্যান্সার ফাইভার ব্যবহার করে তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করছে। ফাইভারে একজন নতুন সেলার হিসাবে, আপনি অবশ্যই আপনার গিগ র্যাংকিং করাতে চান। আপনার রেটিং যত বেশি হবে, প্রজেক্ট বা জব পাওয়ার সম্ভাবনা তত দ্রুত বাড়বে।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করুন?
কিন্তু ফাইভারে আপনার গিগ র্যাংক করা কখনও কখনও সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু আপনি যদি কয়েকটি বিশেষ বিষয়ের দিকে বাড়তি মনোযোগ দেন, তাহলে আপনার গিগকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা?
উপরে আলোচনা করা টিপস গুলো অনুসরণ করে আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে সাফল্যের জন্য ধৈর্য ও পরিশ্রম অপরিহার্য। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দ্রুত গিগ অর্ডার পেতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহু সর্বশক্তিমান
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url