হানিফ সম্প্রদায় কারা? হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও?
হানিফ সম্প্রদায় কারা? আমরা অনেকেই জানিনা। মুসলমানদের মধ্যে কিছু বিভাজন রয়েছে সাধারণত এগুলোর মধ্যে হানিফ অন্যতম। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও? নিশ্চয়ই আপনি বিষয়গুলো জানেন না। যদি জানতে চান তাহলে প্রথমে বিস্তারিত হবে হানিফ সম্প্রদায় কারা, জেনে নিন?
সূচিপত্রঃ হানিফ সম্প্রদায়ের মানুষ কারা - হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও
হানিফ সম্প্রদায়ঃ আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে মদিনায় হানিফ নামে একটি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করত। তারা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করতো এবং ইব্রাহিমের ধর্মের উপর তাদের আস্থা ছিল। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওরাকা ইবনে নওফেল, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাস, কবি জুহাইর, আবুবকর, যায়েদ বিন আমর, আবু আনাস প্রমুখ।
হানিফ বা হানাফি সম্প্রদায়ের এর উপর টিকা লিখ অথবা? হানিফ সম্প্রদায় কি?
ভূমিকাঃ প্রাক ইসলামি যুগে আরবে একদল লোকেরা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করতেন। তারা স্বতন্ত্রভাবে জীবনযাপন করতেন এবং মূর্তিপূজার বিরোধী ছিলেন। পৌত্তলিক আরবে তারা হানিফ নামে পরিচিত ছিলেন।
হানিফ সম্প্রদায়ঃ আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে মদিনায় হানিফ নামে একটি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করত। তারা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করতো এবং ইব্রাহিমের ধর্মের উপর তাদের আস্থা ছিল।
এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওরাকা ইবনে নওফেল, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাস, কবি জুহাইর, আবুবকর, যায়েদ বিন আমর, আবু আনাস প্রমুখ। তাছারা হযরত মুহাম্মদ (স) এর জ্ঞাতি ভাই উমাইয়া বিন আবিসালাতও ছিলেন একেশ্বরবাদে বা হানাফিয়া সম্প্রদায়ের। সাবেয়িগণ বিশ্বাস করতো যে, তারা হযরত ঈসা ও হযরত ইদ্রিস (আ) এর অনুসারী। হানাফিরা সংখ্যায় কম ছিলেন ফলে তারা আরবের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
হানিফ সম্প্রদায় কারা?
হানিফ সম্প্রদায় কারা? বর্তমান যুগে এ বিষয়ে কারো কোন ধারনা নেই কারণ হানিফ হলো একটি মুসলিম সম্প্রদায় যা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। বর্তমান সময়ে মুসলিমদের মধ্যে অনেক গুলো বিভাজন রয়েছে। সাধারণত মুসলিমরা এক এক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে কিন্তু তাদের সৃষ্টিকর্তা এক এবং অদ্বিতীয় এ বিষয়টি ঠিক রয়েছে? এই সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হানিফ সম্প্রদায়।
ইসলামের আবির্ভাব এর পূর্বেও মক্কা নগরীতে একদল মানুষ একত্ববাদীতে বিশ্বাস করত। তারা কোনো মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করত না বা মূর্তি পূজা পালান করত না। তারা তাদের মত স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে পছন্দ করত। এবং যারা মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করত বা মুক্তির পূজা পালন করত তাদের ঘোর বিরোধিতা করতো? তারাই হলো হানিফ সম্প্রদায়।
ইসলামী চিন্তা ভাবনায় বলতে গেলে হানীফরা এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি ইসলামী যুগের প্রথম অবস্থায় অর্থাৎ জাহিলিয়াতি যুগের সময় মূর্তি পূজা করা ত্যাগ করেছিলেন। এরপরে তিনি হযরত ইব্রাহীম আঃ এর ধর্ম যাকে ইব্রাহিমে ধর্ম বলা হত সেই ধর্মের নীতি গুলো ধরে রেখে ছিলেন। সাধারণত তার ছিল আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিঃস্বার্থ অনুগত এবং বিশ্বাস।
হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও?
হানিফ সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকে যারা হানিফ সম্প্রদায় কারা এ বিষয়ে জেনেছে তারা হানিফ সম্প্রদায় পরিচয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছে। বর্তমান সময়ে মুসলিম জাতির মধ্যে অনেকগুলো বিভাজন হয়ে গেছে সাধারণত এই বিভাজনের অন্যতম হলো হানিফ সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের মানুষ জন প্রথম অবস্থা থেকেই আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীতে টিকে রয়েছেন।
পৌত্তলিক যুগে আরবের ইহুদীরা এবং পূজারীরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে ঘোর বিরোধিতা শুরু করে। এ সময় ইসলামের অবস্থা চরম বিপর্যয় পতিত হয়? আরবের মক্কা নগরীতে এই ইহুদি উপজারীদের বিরোধিতা করত একটি দল। এ দলটির নাম হল হানিফ সম্প্রদায়। তারা মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করত না এবং যারা তা পালন করত তাদের বাধা প্রদান করত, তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করত।
তারা একত্ববাদী ওপর বিশ্বাসী ছিল? সে সময় প্রাক ইসলামী যুগে আরব নগরীতে প্রায় ছয় জন হানিফ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইসলামের একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে হানিফ সম্প্রদায় কারণ তারা এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিল। প্রতিটা মুসলিমের বিশ্বাস যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা এক তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালা। পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে সবাইকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন।
হানিফ সম্প্রদায় কারা ব্যাখ্যা করা হলো?
হানিফ সম্প্রদায় কারা ব্যাখ্যা করো যদি কেউ এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তাহলে আমরা অনেকেই এটির উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারবো না যদি জানা না থাকে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছে যে হানিফ সম্প্রদায় হলো মুসলিমদের একটি দল। যেহেতু মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন দলে বিভক্ত রয়েছে কারণ এক এক জন ভিন্ন ভিন্ন ইমামকে অনুসরণ করে থাকে।
প্রাক ইসলামিক যুগে এক ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন ছিল। কারণ তারা মূর্তিপূজা অংশগ্রহণ করত এবং অনেকেই ইহুদি ছিল। সে সময় একটি দল ছিল যারা এক ঈশ্বরের বিশ্বাসী ছিল এবং তারা নিজস্ব স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করত এবং মূর্তি পূজার ঘোর বিরোধিতা করত? আরব জাহেলিয়াতের অন্ধকারচ্ছন্ন যুগে ও এমন একটি দল ছিল সর্বউত্তম।
তারাই হল হানিফ সম্প্রদায়? তারা ছিল সংখ্যায় ছয় জন। ১২ জন হানিফ সম্প্রদায় অনুসরণ করত এটা ইবনে হিশাম তার উল্লেখ করা সিরাতে, আমাদের প্রিয় রাসূলুল্লাহ ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, তারা সংখ্যায় অনেকটাই কম ছিল কিন্তু কম থাকা সত্ত্বেও এই হানিফ সম্প্রদায় এক ঈশ্বর বিশ্বাস করত। তারা সব সময়ই মূর্তিপূজার বিরোধিতা করেছিল।
হানিফ সম্প্রদায় কি?
হানিফ সম্প্রদায় কি? চলুন এ বিষয়ে আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিই। যদি হানিফ সম্প্রদায়ের সম্পর্কে জানতে না পারেন আপনি কখনোই হানিফ সম্প্রদায়ের ব্যাখ্যা বা পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবেন না। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজেদেরকে হানিফ সম্প্রদায় দাবি করে থাকে।
আরবের মক্কা নগরীতে প্রাক ইসলামিক যুগে হানিফ সম্প্রদায় ছিল সবচাইতে উত্তম ও উৎকৃষ্ট সম্প্রদায়। কারণ তারা প্রাক ইসলামিক জাহিলাতের অন্ধকারছন্ন যুগেও তারা মূর্তি পূজা ত্যাগ করে এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা সে সময় মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করতেন না এবং যারা মূর্তিপূজায় অংশগ্রহণ করত তাদের ঘোর বিরোধিতা করত?
তারা সাধারণ জীবন যাপন করতে পছন্দ করত? ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের ধর্মের সকল নীতি অনুসরণ করতো এবং এক আল্লাহ তাআলার অনুগত করত। এটাই হানিফ সম্প্রদায়। বর্তমান সময়ে এই সম্প্রদায় তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে আপনি যদি ঠিকভাবে খুজেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় জানতে চান তাহলে অনেকেই খুঁজে পাবেন।
হানিফ নামের বাংলা অর্থ কি?
হানিফ নামের বাংলা অর্থ কি? অনেকেই আছেন যারা হানিফ নামটি অনেক পছন্দ করেন কিন্তু হানিফ নামের বাংলা অর্থ কি সে বিষয়ে জানেনা। হানিফ বিশেষ করে ছেলেদের নাম হয়ে থাকে? বাংলাদেশে দেশে হানিফ নামের অনেক ছেলে রয়েছে? কিন্তু হানিফ নামের বাংলা কি এ বিষয়ে অনেকে জানেন না।
হানিফ নামের বাংলা অর্থ একেশ্বরবাদী? ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসী, ধর্মপ্রাণ মুসলমান। হানিফ নামটি যেমন সুন্দর তেমনি হানিফ নামের অর্থ অনেক সুন্দর মুসলিম পরিবারে যারা ছেলেদের নাম খুঁজছেন, তারা হানিফ নামটি রাখতে পারেন। ছেলেদের জন্য হানিফ নামটি অনেক মানানসই।
কাদিয়ানী সম্প্রদায় কারা?
হানিফ সম্প্রদায় কারা এ বিষয়ে তো জানা হলো? এবার চলুন কাদিয়ানী সম্প্রদায় কারা এ বিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে নিন। কারণ আমরা অনেকেই হানিফ সম্প্রদায় কারা এবং কাদিয়ানী সম্প্রদায় কারা এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানিনা। প্রাক ইসলামিক যুগ পাঞ্জাবের কাদিয়ান থেকে এই ঘটনার উৎপত্তি হয়েছে বলে এ সম্প্রদায়ের লোকজনকে কাদিয়ানী বলা হয়।
কাদিয়ানী হলো আহমদিয়া মুসলিম? আহমদীয়া মুসলিম জামাতের অনুসারী যারা রয়েছে তারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে দাবী করেন। কিন্তু যারা সুন্নি মুসলমান ছিল তারা আহমদিয়াদের অমুসলিম বলে দাবি করত? এই কাদিয়ানী সম্প্রদায় নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বিরোধীতার রয়েছে।
হানিফ নামের ইসলামিক অর্থ কি?
হানিফ নামের ইসলামিক অর্থ কি? এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো যারা হানিফ নামটি পছন্দ করেন এবং যারা মুসলিম পরিবার থেকে হানিফ। নামটি পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই নামের অর্থ এবং এই নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কারণ আমরা যে নাম গুলো পছন্দ করে থাকি এই নাম গুলোর অবশ্যই একটি অর্থ থাকে।
হানিফ নামের ইসলামিক অর্থ হল ধর্মপ্রাণ মুসলমান, একেশ্বরবাদী? হানিফ বিশেষ করে ছেলেদের নাম তাই। আপনার পরিবারের ছোট ছেলে শিশুর জন্য হানিফ নামটি বেশ চমৎকার এবং এর ইসলামিক অর্থ অনেক সুন্দর। আপনি যদি আপনার সন্তানকে একজন ধার্মিক, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান এবং তার নামটি ভালো রাখতে চান তাহলে এই নামটি রাখতে পারেন।
হানিফ নামের ছেলেরা কেমন হয়?
হানিফ নামের ছেলেরা কেমন হয়? এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। আসলে যাদের হানিফ নামটি পছন্দ হয়ে থাকে তারা হানিফ নামের বিভিন্ন অর্থ এবং হানিফ নামের ছেলেরা কেমন হয়ে থাকে এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অনেক পিতা-মাতা আছে যারা একটি নাম পছন্দ করে এবং সেই নামের ছেলেরা কেমন হয়? এই বিষয়ে জানতে চাই। আসলে এই বিষয় গুলো কখনো আগে থেকে জানা যায় না।
এখন আপনি যদি নাম দিয়ে আপনার সন্তান কেমন হবে এটি বিবেচনা করতে যান তাহলে সম্পূর্ণ মূর্খতার কাজ। নাম শুধু মানুষের পরিচয় বহন করে তা ছাড়া আর কিছুই নয়? হ্যাঁ, এটা ঠিক যে নাম দিয়ে অনেক মানুষের মানসিকতা এবং রুচি প্রকাশ পায়। এখন আপনি যদি হানিফ নামটি পছন্দ করে থাকেন এবং আপনার পুত্র অথবা ভাই, আত্মীয়-স্বজনের ক্ষেত্রে রাখতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে রাখতে পারেন।
হানিফ একটি সুন্দর নাম এবং আমাদের বাংলাদেশে হানিফ নামের অনেক ছেলে রয়েছ তবে হানিফ নামের ছেলেরা কেমন হবে? সে বিষয়ে সঠিকভাবে কেউই আমরা বলতে পারব না। কারণ হানিফ নামের অনেক ছেলে রয়েছে অনেকেই ভালো এবং অনেকেই খারাপ। নাম দিয়ে কখনোই কাউকে বিচার করা যায় না যে তার ব্যবহার কেমন হবে।
হানিফ নামের ছেলেরা কেমন হবে সেটি নির্ভর করবে তার চরিত্রের উপরে তার আচার-আচরণ পারিবারিক শিক্ষার উপরে। তাই কাউকে নাম দিয়ে নয় তার গুণ দিয়ে বিচার করতে বা চিনতে শিখুন আপনি যদি আপনার সন্তানের ক্ষেত্রে এই নামটি রাখেন। এবং আপনার সন্তানকে ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করেন তাহলে কখনোই আপনার সন্তান খারাপ হবে না।
হানিফা নামের অর্থ কি?
হানিফা নামের অর্থ কি? এ বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক। হানিফা সাধারণত স্ত্রীলিঙ্গ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে হানিফা নামটি ব্যবহার হয়ে থাকে। যারা কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা হয়েছে অথবা হবে কিন্তু তাদের নাম পছন্দ হয় না তাহলে তারা সুন্দর একটি নাম হানিফা রাখতে পারে। এই নামটি ইসলামী একটি নাম এবং এই নামের অর্থ খুবই সুন্দর? চলুন প্রথমে এই নামের অর্থ সম্পর্কে জেনে নেই।
হানিফা নামের অর্থ হলো প্রকৃত বিশ্বাসী? হানিফা নামটি যখন সুন্দর হানিফা নামের অর্থ বেশ সুন্দর। পৃথিবীতে একজন মানুষের নামে যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমন গুরুত্ব রয়েছে তার অর্থের। আপনার নাম সুন্দর কিন্তু অর্থ সুন্দর না তাহলে এটা মোটেও ভালো দিক নয়। তাই অর্থ বুঝে আপনার সন্তানের জন্য সুন্দর নাম রাখুন? নামটি যেমন সুন্দর এবং অর্থ যেন সুন্দর হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
হানিফ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস?
ইসলামপূর্ব তমসাচ্ছন্ন যুগে আরবের মদিনা নগরীতে মুষ্ঠিমেয় লোক সৃষ্টিকর্তার একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল যখন। সমগ্র আরবে অধিকাংশ লোক একেশ্বরবাদের কথা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিল তখন হানিফ সম্প্রদায়ের লোকেরা আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ধর্মীয় জীবনযাপন করতেন। এ সম্প্রদায় মানবরচিত কল্পিত, চিন্তা চেতনা ও বিশ্বাসকে ছুঁড়ে দিয়েছিল এবং কোনো প্রকার মূর্তিপূজায় তারা অংশগ্রহণ করতেন না।
হানিফ কারা ছিলেন?
ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনে হানিফ? প্রকৃত একেশ্বরবাদীদের (বিশেষ করে আব্রাহাম) জন্য একটি আরবি উপাধি, যারা ইহুদি, খ্রিস্টান বা মূর্তিপূজক ছিলেন না । শব্দটি একটি সিরিয়াক শব্দ থেকে ধার করা হয়েছে বলে মনে হয়। যার অর্থ বিধর্মী এবং সম্প্রসারণে সংস্কৃতির একজন হেলেনাইজড ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে।
আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে কি বুঝ? অথবা, আইয়্যামে জাহেলিয়া কি?
ইসলামের আবির্ভাব মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা? ইসলাম পূর্ব আরবের সামাজিক জীবন অনাচার কুসংস্কার নিষ্ঠুরতা ও নানা পাপাচারে পরিপূর্ণ ছিল। ঐ সময়ে আরবে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা বিদ্যমান ছিল? এ বিশৃঙ্খলা অবস্থাকে 'আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ বলা হয়েছে।
আইয়ামে জাহেলিয়াঃ ইসলাম পূর্ব যুগকে সাধারণভাবে 'আইয়ামে জাহেলিয়া' বা অন্ধকার যুগ বলা হয়? আরবি ভাষায় 'আইয়াম' শব্দের অর্থ যুগ বা সময়। এবং 'জাহেলিয়া' অর্থ অন্ধকার যুগ, কুসংস্কার, অজ্ঞাত ইত্যাদি? সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে অজ্ঞতার যুগ বা অন্ধকার যুগ বুঝায়।
সে যুগে আরবে কোন প্রকার কৃষ্টি, ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় চেতানা ছিল না তবে প্রকৃত পক্ষে ইসলাম পূর্ব আরবীয়দের অজ্ঞ বলে অবহেলা করা যায় না। অজ্ঞ এই অর্থে বলা হয় সে যুগে আরবে কোন ধর্মপ্রচারক? সমাজসংস্কারক শান্তি স্থাপনকারী ছিল না এবং আল্লাহ সম্পর্কে তারা অজ্ঞ ছিল।
আইয়ামে জাহেলিয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে এমন একটি সময়কাল কে বুঝায় যখন আরবে কোন বিধিবিধান ছিল না। কোন ধর্মপ্রচারক ছিল না কোম ধর্মগ্রন্থ ছিল না ঐতিহাসিক ওয়েলহাউসিন এর মতে। আরবের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবন আদিম অবস্থায় ছিল? কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে, হযরত আদম (আ) এর সৃষ্টিকাল হতে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (স) এর নবুয়ত।
প্রাপ্তি পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কালকে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ বলা হয় কিন্তু এ মতবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আরব ঐতিহাসিকদের মতে, হযরত ঈসা (আ) এরপর হতে ইসলামের আবির্ভাব পর্যন্ত প্রায় ছয় শতাব্দী সময়কাল্কে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ বলা হয়। ঐতিহাসিক নিকলসন বলেন ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ববর্তী এক শতাব্দীকালকে অন্ধকার যুগ বলা হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে অজ্ঞতা বা বর্বরতা যুগ বুঝায়? জাহেলিয়া আরবদের মধ্যে কিছু ভালো গুণ থাকলেও তুলনা মূলকভাবে খারাপ গুণের পরিমাণই বেশি ছিল। সে জন্য অধিকাংশ একমত যে, হযরত মুহাম্মদ (স) এর আবির্ভাবের পূর্বে আরবের যে অবস্থা তা ছিল আইয়ামে জাহেলিয়া।
লেখকের মন্তব্য?
হানিফ সম্প্রদায় কারা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে? আপনি যদি হানিফ সম্প্রদায়ের সম্পর্কে কোন ধরনের ধারণা না রাখেন। এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। বর্তমান সময়ে মুসলিমদের বেশ কয়েকটি দল বিভক্ত হয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হানিফ সম্প্রদায়।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে হানিফ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস হলো তারা এক আল্লাহতালা অর্থাৎ এক সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস করে থাকে। তারা কখনোই মূর্তি পূজা করত না সব সময় মূর্তি পূজার বিরোধীতা করে এসেছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে হানিফ সম্প্রদায়ের মুসলিম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে?
আশা করি আপনারা বিস্তারিত ভাবে হানিফ সম্প্রদায়ের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি নিয়মিত এই ধরনের তথ্য জানতে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন?
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহু সর্বশক্তিমান
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url