রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবার খেলে?

ভূমিকা?

এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার শরীরে লোহার ঘাটতি। হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রনসমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, খেজুর, শতমূলী ইত্যাদি।

হিমোগ্লোবিন মূলত রক্তে অবস্থিত প্রোটিন এটি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে, এই হিমোগ্লোবিনের কারণেই রক্ত লাল হয়।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবার খেলে

হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হল দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন মাথা ব্যথা শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

একজন পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। নারীদের রক্তে ১২-১৫.৫/১৬ গ্রাম। তবে অনেকেরই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে।

প্রাণিজ খাদ্য?

কলিজা, ডিম, দুধ, মাংসের মতো প্রাণিজ খাদ্য থেকে খুব সহজে হিম (হিমোগ্লোবিনের অপ্রোটিন অংশ হিম+গ্লোবিন) তৈরি হয়। এবং তা শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয় উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সেই পরিমাণে হিম তৈরি হতে পারে না, বলে প্রাণিজ উৎসকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার?

ভিটামিন সির অভাব হলেও রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এগুলো লৌহ শোষণে সহায়তা করে ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে।

রঙিন সবজি ও ফল? ডালিম, আপেল, বিট, লাল আঙ্গুর, ব্রকলি এগুলোতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক। এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।

সামুদ্রিক মাছ?

  • সামুদ্রিক মাছ থেকে লৌহ পাওয়া যায়, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী।
  • যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে?
রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে, সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা। প্রয়োজন কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঝিম ধরা, ক্ষুধামান্দ্য ও দ্রুত হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম হয়, তবে রক্তাল্পতা বা এর চেয়েও মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে নারীদের ঋতুচক্রের সময় গর্ভাবস্থায় শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় রোগ থেকে সেরে ওঠার মুহূর্তে লৌহের বেশি দরকার হয়,সম্প্রতি এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা বাড়ানোর উপায় বর্ণনা করা হয়েছে।,দেখে নিন কী খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে।

লৌহযুক্ত খাবার?

শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা
গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি।

ভিটামিন সি?

ভিটামিন সি-এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারেতা ছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া লোহা পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি (ব্রকোলি), আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড?
ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান সবুজ পাতাযুক্ত সবজি। কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

বিট? হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম এর পুষ্টিমান শরীরের লাল রক্তকণিকা বাড়ায়।

আপেল? দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।

ডালিম? আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান।

হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে?

হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে নানা সমস্যা হয় যেমন- দুর্বলতা, নিঃশ্বাসে সমস্যা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার ইত্যাদি। এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

পরীক্ষার পর রক্তে হিমোগ্লোবিন কম পাওয়া গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।

ডিম শরীরে সুস্থতা ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত ডিম খেতে হবে এতে থাকা আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করে। ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পুষ্টি শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সেদ্ধ ডিম বেশ উপকারী।

মাংস: আমাদের রক্তে দ্রুত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে প্রাণিজ প্রোটিন সব ধরনের লাল মাংসই এর অন্যতম উৎস। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে নিয়মিত গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা খেতে পারেন, এগুলো আয়রনের ভালো উৎস।

হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন জরুরি অন্য কোনো সমস্যার কারণে আগে থেকে এ ধরনের খাবার নিষেধ থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। এদিকে মুরগির মাংস রেড মিট না হলেও, তা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন পৌঁছে দিতে পারে।

ফল: সাইট্রাস জাতীয় রসালো ফল যেমন লেবু, কমলা, আম ইত্যাদি ফলে থাকে ভিটামিন সি আমাদের শরীরে আয়রন দ্রুত শোষণ করার জন্য। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভিটামিন সি তাই এ ধরনের ফল খেলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের গতি বাড়ে, এর পাশাপাশি খেতে অন্যান্য ফলও।

ডাল: ছোলা, সয়াবিন ও বিনজাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর আয়রন যারা নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন তাদের কাছে সয়াবিন একটি জনপ্রিয় খাবার। এ সয়াবিন থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারও তৈরি করা যায় এ ধরনের খাবার খেলে, তা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।

সবজি: প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সবজি রাখা জরুরি এটি শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিনের ঘাটতিও দূর করে। ব্রোকলি, আলু, কুমড়া, টমেটো, বিটরুট ইত্যাদি সবজিতে থাকে আয়রন। খাদ্য তালিকায় এসব সবজি রাখুন।

শস্য জাতীয় খাবার: রক্তশূন্যতায় ভুগলে চাল, গম, বার্লি কিংবা ওটস জাতীয় খাবার খেলে উপকার পাবেন, কারণ এসব খাবার আয়রন সমৃদ্ধ। সেইসঙ্গে এসবে থাকে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেটসও।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করে যেসব খাবার?

রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করে যেসব খাবার

আপনার শরীরের রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ এক ধরনের প্রোটিনই হচ্ছে হিমোগ্লোবিন এটি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে। এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে এই হিমোগ্লোবিনের কারণেই রক্ত লাল হয়ে থাকে। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হচ্ছে দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয় এর মধ্যে অ্যানিমিয়া অন্যতম। এ ছাড়া আপনার মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

একজন পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম নারীর রক্তে ১২-১৫.৫/১৬ গ্রাম। তবে অনেকের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে, তবে কিছু খাবার খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক হয়ে যায়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার?

আপনার শরীরে ভিটামিন সির অভাব হলেও রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এগুলো লৌহ শোষণে সহায়তা করে, ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।

প্রাণিজ খাদ্য? প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে আছে কলিজা, ডিম, দুধ ও মাংস এই প্রাণিজ খাদ্য থেকে খুব সহজে হিম (হিমোগ্লোবিনের অপ্রোটিন অংশ হিম+গ্লোবিন) তৈরি হয়। এবং তা শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয় উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সেই পরিমাণে হিম তৈরি হতে পারে না, বলে প্রাণিজ উৎসকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ফলিক অ্যাসিড? ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবার খেলে?

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা, নিঃশ্বাসে সমস্যা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসা। হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

পরীক্ষার পর রক্তে হিমোগ্লোবিন কম পাওয়া গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক?

আমাদের রক্তে দ্রুত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে প্রাণিজ প্রোটিন সব ধরনের লাল মাংসই এর অন্যতম উৎস। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে নিয়মিত গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা খেতে পারেন, এগুলো আয়রনের ভালো উৎস হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন জরুরি।

অন্য কোনো সমস্যার কারণে আগে থেকে এ ধরনের খাবার নিষেধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। এদিকে মুরগির মাংস রেড মিট না হলে তা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন পৌঁছে দিতে পারে।

ফল খান নিয়মিত? সাইট্রাস জাতীয় রসালো ফল যেমন লেবু, কমলা, আম ইত্যাদি ফলে থাকে ভিটামিন সি আমাদের শরীরে আয়রন দ্রুত শোষণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভিটামিন সি। তাই এ ধরনের ফল খেলে, হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের গতি বাড়ে। এর পাশাপাশি খেতে পারেন আপেল, বেদানা, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, তরমুজ ইত্যাদি ফলও।

ডাল জাতীয় শস্য? ছোলা, সয়াবিন ও বিনজাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর আয়রন যারা নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন তাদের কাছে সয়াবিন একটি জনপ্রিয় খাবার। এই সয়াবিন থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারও তৈরি করা যা, এ ধরনের খাবার খেলে তা রক্তে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।

সবজি খাওয়ার উপকারিতা?

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সবজি রাখা জরুরি এটি শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিনের ঘাটতিও দূর করে। ব্রোকলি, আলু, কুমড়া, টমেটো, বিটরুট ইত্যাদি সবজিতে থাকে আয়রন, এ ধরনের সবজি নিয়মিত রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়।

রক্ত বাড়ায় কোন সবজি?

পালং শাক, কেল এবং সুইস চার্ডের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। একটি খনিজ হিমোগ্লোবিন ফুসফুসে অক্সিজেনের সাথে আবদ্ধ হয়, এবং এটি সারা শরীরের টিস্যুতে বহন করে।

আয়রন সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয় এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা যায়।

দুধ খেলে কি হিমোগ্লোবিন বাড়ে? দুধে খুব বেশি পরিমাণে আয়রন না থাকলেও এতে প্রায় সব রকমের ভিটামিন আছে এছাড়াও দুধে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। এই খাদ্য উপাদানগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে, তাই রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য নিয়মিত দুধ খাওয়া উপকারী।

কি কি ফল খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে?

কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এগুলো লৌহ শোষণে সহায়তা করে। ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে ডালিম, আপেল, বিট, লাল আঙ্গুর, ব্রকলি এগুলোতে রয়েছে আয়রন। ক্যালসিয়াম ও ফাইবার, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত, রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।

রক্তের জন্য কোন ফল ভালো?

কমলালেবু, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যার মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েডও রয়েছে। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফল খাওয়া আপনার ধমনীর রক্তচাপ এবং শক্ত হয়ে যাওয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। একই সাথে রক্ত ​​প্রবাহ এবং নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন উন্নত করতে পারে।

তোফু খেলে কি হিমোগ্লোবিন বাড়ে?

আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি অপরিহার্য উপাদান, একটি প্রোটিন যা লাল রক্ত ​​কণিকায় অক্সিজেন পরিবহন করে। মসুর ডাল, কলিজা, পালং শাক এবং তোফু সব খাবার যা আয়রন সরবরাহ করে
আয়রনের ঘাটতি মাথা ঘোরা, ক্লান্তি এবং এমনকি রক্তশূন্যতা হতে পারে।

আপেল খেলে কি হিমোগ্লোবিন বাড়ে? হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপেল একটি সুস্বাদু এবং উপযুক্ত বিকল্প কারণ এটি সবচেয়ে বেশি আয়রন সমৃদ্ধ ফলগুলির মধ্যে একটি ডালিম। প্রোটিন এবং ফাইবারের পাশাপাশি আয়রন এবং ক্যালসিয়াম উভয়েরই একটি সমৃদ্ধ উৎস। এর পুষ্টিগুণ এটিকে হিমোগ্লোবিনের নিম্ন স্তরের লোকেদের জন্য একটি নিখুঁত উৎস করে তোলে।

হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি দুর্বলতা হয়? ক্তাল্পতা হলো শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন বহন করার জন্য পর্যাপ্ত সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের অভাবের সমস্যা। হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া একটি প্রোটিন যা ফুসফুস থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন বহন করে। রক্তাল্পতা থাকলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

শসা খেলে কি হিমোগ্লোবিন ভালো থাকে?

শসা খেলে কি হিমোগ্লোবিন ভালো থাকে

ফলাফল: শসা গ্রুপে টেস্টউইলকক্সন পরীক্ষা (? = 0.05) ব্যবহার করে পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে। যে হিমোগ্লোবিন হ্রাস এবং প্লেটলেট বৃদ্ধির উপর p = 0.000। উপসংহার: দেউই সার্তিকা জেনারেল হাসপাতালে। প্রিক্ল্যাম্পসিয়া রোগীদের হিমোগ্লোবিন হ্রাস এবং প্লেটলেট বৃদ্ধির উপর শসার প্রভাব রয়েছে।

কিভাবে খেজুর খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে? খেজুর এবং কিশমিশে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন সি এর মিশ্রণ অন্যদিকে, ডুমুরগুলিতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফোলেটের গুণাগুণ রয়েছে। সকালে এক মুঠো শুকনো ডুমুর এবং কিশমিশ এবং দুই বা তিনটি খেজুর খেলে। তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত হয়।

দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়?

হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য। আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যাবশ্যক চর্বিহীন মাংস, মুরগি, মাছ, ডাল। পালং শাক এবং কেল জাতীয় শাকসবজি, এপ্রিকট এবং কিশমিশের মতো শুকনো ফল এবং শক্তিশালী সিরিয়ালের মতো খাবার বেছে নিন।

পোস্ট ট্যাগ?

মাছ: মাছ, বিশেষ করে স্যামন এবং ম্যাকেরেলের মতো তৈলাক্ত মাছ , আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম এবং বীজ: বাদাম, আখরোট এবং চিয়া বীজ সহ বাদাম এবং বীজ আয়রন, ফোলেট এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর যা সুস্থ রক্তের মাত্রা বজায় রাখে।

লেখক এর মন্তব্য?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আর উপকৃত হয়ে থাকল, অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো, আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ সর্বশক্তিমান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url