যে সব খাবার ত্বক উজ্জ্বলে সহায়তা করে?
ভূমিকা?
অনেকেই মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক চায় কিন্তু অনেক সময় নিয়মিত যত্ন আর নামি-দামি কসমেটিকস ব্যবহারের পরও ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না, ত্বক ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস পর্যাপ্ত ঘুম আর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভীষণভাবে জড়িত।
কিছু খাবার আছে যা খেলে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে এগুলো হলো।
সঠিক খাবার ত্বকের বাহ্যিক সমস্যা কমিয়ে আনে অনেকটাই এমন কিছু খাবার আছে, যা থেকে আপনার ত্বক পুষ্টি পাবে। শুরুটা করতে হবে সময় থাকতেই! বলিরেখা, দাগ-ছোপ, মেছতা যতটা না বয়সের প্রভাব। তার চেয়েও বেশি হয় ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে এই রশ্মি ত্বকের কোলাজেন স্ট্র্যান্ড দুর্বল করে দেয়, ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।
পানি? সুন্দর ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি খেলে ত্বকের কোমলতা উজ্জ্বলভাব বৃদ্ধি পায়। ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য। প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিত।
গ্রিন টি?
গ্রিন টি শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায়ই নয় বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও দারুণ কার্যকর এ কারণে এখন শুধু পানীয় হিসেবে নয়। এটি ব্যবহার হচ্ছে রূপচর্চার সামগ্রী হিসেবেও গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নানাবিধ এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-সহ বেশকিছু উপাদান যা ত্বকের জন্য।
খুবই উপকারী শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে গ্রিন টি এ ছাড়া ত্বকের দাগ–ছোপ, কাটা দাগ, লালচে ভাব কমাতেও এটি সাহায্য করে।
টমেটো?
ত্বকের যত্নে টমেটো ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক টমেটোতে 'লাইসোপিন' নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও শুষ্কভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করে, এটি সানস্ক্রিন হিসেবেও দারুণ কার্যকর।
গাজর?
নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক হবে সজীব ও উজ্জ্বল গাজর ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাছাড়া গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়, ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
বাদাম? বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন-ই খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে আরও সজীব ও লাবণ্যময় করে তুলবে।
কলা?
ত্বক ভালো রাখার জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী এতে থাকা ভিটামিন-এ, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিনতা দূর করতেও কার্যকর।
ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ? মাছের চর্বি শরীরের জন্য খারাপ নয় যেসব মাছে ফ্যাটি এসিড (ওমেগা-৩) আছে নিয়মিত। এ ধরনের মাছ খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের উপকার হবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে প্রাকৃতিক তেল আছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার? নিয়মিত নাশপাতি, বাদাম ও মটরশুঁটি খেলে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে অনেকখানি।
সবুজ শাকসবজি?
সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্না করা সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবে কাঁচা সবজিও ত্বকের জন্য উপকারী।
ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত খান কিছু খাবার?
ত্বকের হাল ফেরাতে অনেকেরই ভরসা প্রসাধনী নিয়মিত প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকের ভোল বদলে যাবে, এমন বিশ্বাস মনে গেঁথে আছে অনেকেরই। ত্বকের বাহ্যিক বদল আনতে বিভিন্ন সংস্থার রকমারি প্রসাধনী সাময়িক কার্যকরী হতে পারে।
তবে সেই বদল একেবারেই দীর্ঘ মেয়াদী নয় কয়েক দিন পরে আবার ত্বকের হাল যে তিমিরে ছিল, সেখানেই ফিরে যায়। তাই শুধু বাইরে নয়, ত্বকের যত্ন নিতে হবে ভিতর থেকে ভিতর এবং বাইরে ত্বকের ভোল দিতে চাইলে, কিছু খাবার খেতে পারলে ভালো।
পালংশাক?
ত্বকে পুষ্টি জোগায় ভিটামিন সি আর পালংশাকে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে পালংশাক সূর্যেপর ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে পালংশাক। নিয়ম করে যদি এই শাক খাওয়া যায়, তা হলে ত্বকের আরও অনেক সমস্যা চটজলদি মিটে যাবে।
অ্যাভোকাডো?
বলিরেখার সমস্যা দূর করতে অ্যাভোকাডোর জুড়ি মেলা ভার অ্যাভোকাডোয় রয়েছে ভিটামিন ই, ডি, কে এবং এ। অ্যাভোকাডো ত্বকের কোষ মেরামতিতে সাহায্য করে ত্বকের পুষ্টি কোলাজেন সরবরাহ বাড়ায় অ্যাভোকাডো। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচতে ভরসা হতে পারে অ্যাভোকাডো।
মাশরুম?
ত্বকের জন্য মাশরুম খুব উপকারী কারণ মাশরুমে কপারের পরিমাণ অনেক বেশি কপার ত্বকের কোলাজেন। প্রোটিন এবং ইলাস্টিনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে তবে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে রোজ রোজ মাশরুম খাওয়া ঠিক হবে না, তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই ভাবে যত্ন নিলে ঠোঁট হয়ে উঠবে গোলাপের পাপড়ির মতো কোমল?
গোলাপের মতো গোলাপি এবং কোমল ঠোঁট মুখের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে আবার সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী যে সব মহিলার ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো। গোলাপি এবং কোমল, তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবতী হন যদিও এই ধরনের ধারণা নিয়ে একাধিক বিতর্কও রয়েছে। তবে আকর্ষণীয় ঠোঁট যে মুখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা আশা করি বলে দিতে হবে না।
শুষ্ক পরিবেশে ঠোঁট বেশি ফাটে তাই যত্নও বেশি নিতে হয় শুষ্কতার হাত থেকে ঠোঁটকে বাঁচাতে চাইলে ঘন ঘন ঠোঁটে জিভ বোলানোর অভ্যাস। সবার আগে ত্যাগ করুন বার বার ঠোঁটে হাত দিয়ে মৃত কোষ ছিঁড়বেন না। বদলে লিপবাম বা ক্রিম মাখুন প্রতিদিন স্নানের সময় নাভি পরিষ্কার করুন এবং তাতে তেল দিন, ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হবে।
লিপ স্ক্রাবার?
মুখের মতো নিয়মিত ঠোঁটে স্ক্রাব করাও জরুরি যে কোনও তেল যেমন, নারকেল, অলিভ, জোজোবা, পেট্রোলিয়াম জেলি, শিয়া বাটারে নুন অথবা চিনির মিশ্রন লিপ স্ক্রাবার হিসেবে আদর্শ।
যেসব খাবারে ত্বক থাকবে ভালো?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভেতরকার পরিবর্তনের ছাপ পড়ে ত্বকের ওপরে ফলে স্বাভাবিক সমস্যা রূপ নেয় বলিরেখায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মেছতা এবং হারিয়ে যেতে থাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পরিমিত পুষ্টি, নিয়মিত যত্ন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
এ ছাড়া শরীরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও ত্বকের ক্ষতির আরেকটি কারণ। বাহ্যিক এসব ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ত্বকের দরকার অভ্যন্তরীণ পুষ্টি।
প্রতিদিন যেসব খাবার খাওয়া হয় তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে খাবারের ভূমিকা রয়েছে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে প্রতিদিনকার খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রঙের সবজি, টকজাতীয় খাবার, পরিষ্কার পানীয়। প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশ কার্যকর কোনো কারণে এগুলো পাওয়া না গেলে ভিটামিন সি ট্যাবলেট। মাছের তেলের ট্যাবলেট ও কোলাজেন পাউডার খাওয়া যেতে পারে বিকল্প হিসেবে।
ত্বকের আর্দ্রতা ও সজীব ভাব বাড়াতে?
প্রতিদিন পাতিলেবুর রস মুখে লাগালে দাগ-ছোপ হালকা হবে লেবু, হলুদ, বিট খাবার তালিকায় থাকলে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। হলুদের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ কমতে সহায়তা করে। খালি পেটে হলুদ। পানির মিশ্রণ পান করা খুব উপকারী বিটে ভিটামিন এ এবং সি আছে, যা ত্বকে প্রাকৃতিক পুষ্টি জোগায়।
আখরোট ওমেগা-থ্রি চর্বির ভালো উৎস একে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার খাবারে বাদাম যোগ করা হলে তা ত্বক সুন্দর এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে বয়সের ছাপ দূর হয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় দুই বেলার খাবারের মাঝে নাশতা হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। অথবা নাশতা করার সময় বাদাম খাবারে যোগ করতে পারেন।
এতে আপনার ত্বক আর্দ্র থাকে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে নিয়মিত মাশরুম খাওয়া যেতে পাতে। এটা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে মাশরুমের তুলনা নেই।
টান টান ত্বকের জন্য?
টমেটোতে রয়েছে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের গুণ সূর্যের প্রতি সংবেদনশীলতা কমাতেও টমেটো সহায়তা করে। ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ব্রণ কমায়। ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন টমেটোর স্যুপ খেতে পারেন। প্রতিদিন দুই চা-চামচ পরিমাণ জলপাই তেল খাবার তালিকায় থাকলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
এ ছাড়া সালাদ এবং রান্নার তেল হিসেবেও জলপাই তেল বেশ উপকারী প্রতিদিন গ্রিন–টি পান করলে ত্বক মসৃণ ও নমনীয় হয়। গ্রিন–টিতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে, এ ছাড়া ভিটামিন ই সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর বীজও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
সালাদ সকালের নাশতা সবজি হিসেবেও এই বীজ খেতে পারেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন পাওয়া যায় ডিম ও বিভিন্ন মাছ থেকে। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ত্বক সুন্দর করতে মাছের তেলও উপকারী এ ছাড়া খাবারের স্বাদ বাড়াতে চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়।
এটা ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে চিয়া ওমেগা-থ্রি ফ্যাট, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ এগুলো ত্বকে বলিরেখা পড়া ধীর করে। সংক্রমণ কমায় এবং স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা দেয় সারা রাত চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করা যেতে পারে।
পরামর্শ?
জিংক ত্বকে নতুন কোষ গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রেস্টুরেন্টের খাবারের প্রতি যাঁদের ঝোঁক আছে, ত্বক সুন্দর রাখতে সেগুলো বাদ দিতে হবে। কী খাবেন, তার পাশাপাশি কী খাবেন না, সেটা জানাও জরুরি। তেল–মসলায় তৈরি খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি সব দিক থেকেই ক্ষতিকর প্রখর রোদ এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- খাবারের সময়টা নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পানি ও দুটি করে ফল রাখার চেষ্টা করুন।
- শরীরচর্চা করুন, মন ভালো রাখুন।
স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বকের জন্য 12টি সেরা খাবার?
আমাদের ত্বক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের মোট শরীরের ওজনের এক-সপ্তমাংশ গঠন করে। এটি একটি সুপারহিরো হিসাবে কাজ করে, সূর্য, ঠান্ডা, জীবাণু এবং ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে আমাদের রক্ষা করে। যদিও ক্রিম এবং সানব্লক সাধারণ অভ্যাস, এটি লক্ষণীয় একটি স্বাস্থ্যকর খাবার বজায় রাখুন উজ্জ্বল ত্বক অর্জনের একটি গোপন পথ হিসাবে কাজ করে।
সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা -3 ফ্যাট এবং ভিটামিন এ, সি এবং ই এর মতো পুষ্টি উপাদানগুলি ত্বকের জন্য প্রতিশোধকের মতো। তারা এটিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া, এর বাউন্সিনেস হারানো এবং সূর্যের দ্বারা আহত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খাবার?
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
1 সূর্যমুখী:
স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খাবার নিয়ে আলোচনায় আপনি সূর্যমুখী বীজ বাদ দিতে পারবেন না। এই বীজগুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং প্রোটিনের মিশ্রণ রয়েছে। এই পুষ্টির সংমিশ্রণটি আপনার স্বাদের কুঁড়ি এবং ত্বকের অখণ্ডতা, কোলাজেন উত্পাদন এবং সামগ্রিক ত্বকের প্রাণশক্তির জন্য একটি ব্যাপক সহায়তা ব্যবস্থা।
2 আখরোট:
আখরোট আপনার ত্বকের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার ওমেগা -3 সহ প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডগুলিতে প্রচুর। তারা ত্বকের প্রদাহ কমায় এক আউন্স আখরোট জিঙ্কের দৈনিক মূল্যের 8% সরবরাহ করতে পারে। যা ত্বকের বাধা ফাংশন এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জিঙ্ক ছাড়াও। আখরোট অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম, তাদের ত্বকের পুষ্টিকর প্রোফাইল বাড়ায়।
3 চর্বিযুক্ত মাছ:
চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল এবং হেরিং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আপনার খাদ্য হতে পারে। ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রচুর পরিমাণে, এই মাছগুলি ত্বকের পুরুত্ব, স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে পারে।
Omega-3s এছাড়াও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, এইভাবে UV-প্ররোচিত সংবেদনশীলতার বিরুদ্ধে ত্বককে শক্তিশালী করে। চর্বিযুক্ত মাছ হল ভিটামিন ই এর একটি নির্ভরযোগ্য উৎস যা ত্বককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে। অধিকন্তু, চর্বিযুক্ত মাছে পাওয়া জিঙ্ক, প্রদাহ, সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য এবং নতুন ত্বকের কোষগুলির সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করে।
4 মিষ্টি আলু:
উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য মিষ্টি আলু হতে পারে আপনার খাবার এগুলি বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। একটি উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি। বিটা-ক্যারোটিন (ভিটামিন এ-এর পূর্বসূরি) ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
একটি মাত্র 100 গ্রাম বেকড মিষ্টি আলু পরিবেশন করলে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা ছয় গুণের বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকে একত্রিত করে, সূর্যের এক্সপোজারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি করে। এবং রোদে পোড়া, কোষের ক্ষতি এবং শুষ্ক, কুঁচকে যাওয়া ত্বকের বিকাশ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
5 গোলমরিচ:
বেটা-ক্যারোটিনের একটি ব্যতিক্রমী উৎস বেল মরিচ ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য সেরা খাবার হতে পারে। তারা ভিটামিন সি-এর শীর্ষস্থানীয় অবদানকারী, ত্বকের দৃঢ়তা এবং শক্তি বজায় রাখার জন্য, কোলাজেন উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
6 অ্যাভোকাডো:
আপনি যদি আপনার ত্বকের জন্য সেরা খাবার খুঁজছেন, একটি পছন্দ হতে পারে অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত চর্বি। ত্বকের নমনীয়তা এবং আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য অ্যাভোকাডোতে সম্ভাব্য সূর্য। প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্যযুক্ত যৌগও রয়েছে, যা ত্বককে UV ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা বলিরেখা এবং বার্ধক্যের লক্ষণ হতে পারে।
এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং সি রয়েছে, যা ত্বকের শক্তি এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে ভিটামিন সি একটি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে সূর্য এবং পরিবেশগত কারণগুলির দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, এইভাবে অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
7 ব্রকোলি:
আপনি যদি উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খাওয়ার জন্য কোন খাবার খুঁজছেন, ব্রকলি আপনার পছন্দ হতে পারে। এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এবং সি এবং জিঙ্কের মতো খনিজগুলির সাথে একটি ত্বক-পুষ্টিকারী পাওয়ার হাউস। এতে লুটেইন এবং সালফোরাফেন রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং সম্ভাব্য ক্যান্সার-বিরোধী প্রভাব রয়েছে।
8 সয়া:
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সয়া আপনার খাদ্য খাদ্যের একটি উপাদান হতে পারে সোয়া এর আইসোফ্ল্যাভোনস। যা ইস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিচিত বলিরেখা কমাতে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। মসৃণ, স্থিতিস্থাপক ত্বকের জন্য পোস্টমেনোপজাল মহিলারা ত্বকের শুষ্কতার উন্নতি এবং কোলাজেন বৃদ্ধি দেখতে পারেন। আইসোফ্লাভোনগুলি অভ্যন্তরীণ কোষ এবং ত্বক উভয়কে ইউভি বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।
9 সবুজ চা:
গ্রিন টি ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সেরা খাবার হতে পারে এটি ত্বকের সুরক্ষা এবং অ্যান্টি-এজিং সুবিধা দেয়। সবুজ চা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা, পুরুত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
কি খাবার আপনার ত্বকের জন্য ভালো করে?
আপনার ত্বকের জন্য ভালো খাবারগুলিতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পানি মতো পুষ্টি থাকে। এই পুষ্টিগুলি ত্বকের হাইড্রেশন, স্থিতিস্থাপকতা, ক্ষতি মেরামত এবং পরিবেশগত কারণগুলির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
পোস্ট ট্যাগ?
এ ছাড়া রঙিন সবজি, দই, অ্যালোভেরার শরবত ইত্যাদি খাবারও ত্বক প্রাণবন্ত রাখে চেষ্টা করুন নিয়মিতভাবে এগুলো খাওয়ার। মিষ্টি আলুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে এর অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান ত্বকের দাগছোপ কমায়। কলায় রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও প্রচুর পানি।
লেখকের মন্তব্য?
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ সর্বশক্তিমান
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url