গভীর রাত পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করেন জেনে নিন কী হয়?

ভূমিকা?

গভীর রাত পর্যন্ত স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির মধ্যে রয়েছে ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল। মনোযোগের সময় কমে যাওয়া, হৃদরোগ, বর্ধিত চাপ, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং স্থূলতা।

রাতের মধ্যে স্ক্রিন টাইম আপনার ঘুমের সময়সূচী এবং মান নষ্ট করতে পারে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম আপনাকে পরের দিন ক্লান্ত। অস্থির এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে গভীর রাতে স্ক্রিন টাইমের অন্যান্য নেতিবাচক দিকের মধ্যে রয়েছে। ঘুমাতে অসুবিধা, মেজাজের পরিবর্তন, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, উচ্চ চাপের মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধি।

স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়, ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে এবং উদ্দীপক কন্টেন্ট মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত ব্যস্ত রাখে। ধীরে ধীরে এটি ক্লান্তি, চাপ এবং এমনকি দীর্ঘমেয়াদী মস্তিষ্কের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গভীর রাত পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করেন জেনে নিন কী হয়

ঘুমানোর আগে রিল স্ক্রলিং কীভাবে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে?

ঘুমানোর আগে অনলাইনে রিল স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত থাকাকালীন মস্তিষ্ক ক্লান্ত হওয়ার পরিবর্তে সতর্ক অবস্থায় থাকে। এটি ডোপামিন এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে যা শিথিল করা কঠিন করে তুলতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, বিষণ্ণতা, বিলম্বিত ঘুমের সময়সূচী এবং মানসিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

স্ক্রিন থেকে নীল আলো এবং মেলাটোনিন উৎপাদনের মধ্যে যোগসূত্র?

ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদন এবং ঘুম চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। মস্তিষ্ক দ্বারা নিঃসৃত ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন নীল আলোর কারণে ব্লক হয়ে যেতে পারে যার ফলে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়া কঠিন হয়ে পড়ে। এটি কেবল ঘুমকেই প্রভাবিত করে না বরং অনিদ্রাও সৃষ্টি করতে পারে, ঘন ঘন ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালের ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং অনুসারে, নীল আলোর সংস্পর্শে সবুজ আলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে মেলাটোনিন দমন করা হয় এবং সার্কাডিয়ান রিদম দ্বিগুণ স্থানান্তরিত হয়।

রাতে ইমোশনাল বা আকর্ষণীয় কন্টেন্ট দেখার প্রভাব?

ঘুমানোর আগে উদ্দীপক, তীব্র, নাটকীয় বা ইমোশনাল কন্টেন্ট দেখলে তা স্ট্রেস হরমোনকে ট্রিগার করতে পারে। এর ফলে উদ্বেগ, নার্ভাসনেস, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং এমনকী দুঃস্বপ্নও দেখা যায়।

রাতের বেলা স্ক্রলিং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় অবদান রাখে?

রাতের বেলা ক্রমাগত নেতিবাচক খবর বা কন্টেন্ট লুপে দেখার অভ্যাস আপনাকে দুঃখিত, চিন্তিত, চাপযুক্ত, বিরক্ত, হতাশ এবং উত্তেজিত করে তুলতে পারে। এই অস্থিরতা ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে, যার ফলে বিষণ্ণতা বা অনিদ্রা হতে পারে।

এটি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে?

রাতে অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং আপনার স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ঘুমের মান খারাপ হয়ে যায় যা মনোযোগ, ধীর প্রতিচ্ছবি ক্রিয়া। ভুলে যাওয়া, প্রেরণার অভাব, বিভ্রান্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে।

ঘুমানোর আগে নিয়মিত রিল স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি?

গভীর রাত পর্যন্ত স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির মধ্যে রয়েছে ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল। মনোযোগের সময় কমে যাওয়া, হৃদরোগ, বর্ধিত চাপ, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং স্থূলতা।

আপনার যা করা উচিত?

  • ১. ঘুমানোর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে স্ক্রিন ব্যবহার করা বাদ দিন।

  • ২. যদি ঘুমিয়ে পড়ার জন্য বিনোদন দরকার হয় তাহলে বই পড়ার চেষ্টা করুন।

  • ৩. প্রশান্তিদায়ক সঙ্গীত শোনাও সহায়ক হতে পারে।

  • ৪. সর্বদা নাইট মোড ব্যবহার করুন এবং উত্তেজক কোনোকিছু দেখা এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানিয়েছেন মোবাইল কম ব্যবহার করতে হবে। অধিক সময় ফোন নিয়ে বসে থাকলে স্ট্রেস বাড়ে এবং এ থেকে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।

আসুন জেনে নিই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের শারীরিক ক্ষতি?

আসুন জেনে নিই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের শারীরিক ক্ষতি

১. প্রতি রাতে মানুষের ৭-৮ ঘন্টার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

২. রাতে ঘুমানোর আগে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাদের ঘুম কমে যেতে পারে এতে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতি হতে পারে।

৩. রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর স্মার্টফোনের নীল আলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এতে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল আলো সরাসরি চোখে আঘাত করে ফলে চোখের কোষের ক্ষতি হয় ও চোখে ব্যথা অনুভব হয়।

৪. আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

৫. রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে,এছাড়া ঘুমের অভাবে চিন্তা শক্তি ও শারীরিক শক্তিও কমে যেতে পারে।

৬. ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে এর প্রধানত সমস্যা হল চোখের সমস্যা যখন আমরা রাতে ফোনের দিকে চেয়ে থাকি তখন ফোন থেকে। একটা যে আলোর রোশনি বের হয় সেটা আমাদের চোখের উপরে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে এভাবে তাকিয়ে থাকলে পারে। আমাদের দৃষ্টি শক্তির উপর বেশ প্রভাব পড়ে এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পরে তখন আপনি চোখের ঝাপসা দেখতে থাকব।

গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে?

গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন অনেকেই বালিশের পাশে রেখেই ঘুমাচ্ছেন, আবার ঘুম থেকে উঠেই ফোন ব্যবহার করছেন। এতে একদিকে যেমন আপনার চোখের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যের আরও নানান ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, না বুঝেই অনেকে কাজটি করছেন।

ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত স্মার্টফোনের ব্যবহার বিশেষত বিছানায় শুয়ে মোবাইল দেখার অভ্যাস রীতিমতো বিপজ্জনক। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করে করে সময় কেটে যায় কিন্তু এর বিপদ সম্পর্কে খুব কম মানুষই সচেতন। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত পরামর্শ দেন যাতে কেউ ঘুমোনোর আগে বিছানায় শুয়ে ফোনের দিকে না তাকান, কারণ এতে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

শুয়ে থাকা অবস্থায় আমরা যখন ফোন ব্যবহার করি তখন আমাদের হাত অনেকক্ষণ এক জায়গায় আটকে থাকে। এই ধরনের ভঙ্গিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করার জন্য মানুষের শরীর প্রস্তুত নয় এতে বিশেষ করে ঘাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়াও ফোনের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার জন্য মানুষের ঘাড় সামনের দিকে খানিকটা বেঁকে থাকে, এর ফলে ‘সার্ভিকাল স্ট্রেন’ হতে পারে, যা সাধারণত ‘টেক্সট নেক’ নামে পরিচিত।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, একটি বালিশ ব্যবহার করা যেতে পারে যেটি মাথা, ঘাড় এবং মেরুদণ্ডে একটা সামঞ্জস্য আনবে। যদি একপাশ ফিরে শুয়ে থাকেন কেউ তবে মেরুদণ্ডের কোণ ঠিক রাখতে হবে, দুই পায়ের মাঝে একটি বালিশ রাখা যেতে পারে।

এছাড়া দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে উজ্জ্বল স্ক্রিন এবং আশেপাশের পরিবেশের মধ্যে একটা বৈসাদৃশ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনার জন্য চোখকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়, ফলে তার উপর চাপ বাড়ে।

বিছানায় দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারের কারণে চোখের ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা অন্ধকারে দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহার, অজান্তেই করছেন নিজের সর্বনাশ?

স্মার্টফোন ব্যবহার যেমন প্রয়োজন, তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি আমরা অনেকেই ঘুমানোর আগে রাত। জেগে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সময় কাটাই এতে রয়েছে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতি। রাত জেগে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে আটকে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমে বুঁদ থাকার অভ্যাস রয়েছে। অনেকের, এতে নিজের অজান্তেই দৃষ্টিশক্তি ও চোখের ক্ষতি করছেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন। মোবাইল ফোন যে নীল আলো ছড়ায়, রুমের লাইট নিভিয়ে দেয়ার কারণে রাতে সেটি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে যায়, এটি শুধু দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিই করে না, পাশাপাশি শরীরের ওপর বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আসুন জেনে নিই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের শারীরিক ক্ষতি?

১. প্রতি রাতে মানুষের ৭-৮ ঘন্টার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

২. রাতে ঘুমানোর আগে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাদের ঘুম কমে যেতে পারে এতে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতি হতে পারে।

৩. রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর স্মার্টফোনের নীল আলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এতে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল আলো সরাসরি চোখে আঘাত করে ফলে চোখের, কোষের ক্ষতি হয় ও চোখে ব্যথা অনুভব হয়।

৪. আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

৫. রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে,এছাড়া ঘুমের অভাবে চিন্তা শক্তি ও শারীরিক শক্তিও কমে যেতে পারে।

৬. ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

মোবাইল ফোন রাত্রে বালিশের পাশে রেখে ঘুমানো শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকর?

মোবাইল ফোন রাত্রে বালিশের পাশে রেখে ঘুমানো শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকর

কি দরকার মশাই মোবাইলটা বালিশের পাশে রাখার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এইসব পরেরদিন হবে রাতে কেন। নাকি দেড় জিবি ইন্টারনেটের মধ্য 500mb বাকি আছে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো টা কি ঠিক।

রাতে কাউকে মেসেজ করলেন i lo.. U আপনি দেখতে পাচ্ছেন মেসেজটা দেখা হয়ে গেছে কিন্তু কোন রিপ্লাই আসছে না। তাহলে কি আপনার সেই রাতে ঘুম হবে মোবাইলটাকে বালিশের পাশে রেখে শুধু মনে হবে কখন মোবাইলে একটা বেল বেজে ওঠে।

অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করেন না৷ অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বা পাশে রাখার অভ্যাস রয়েছে, অনেকের৷ অনেকেই আবার ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান।

যারা এ কাজ করেন তারা ঘুমানোর আগে বালিশের পাশে কিংবা বিছানার ওপর না রেখে কিছু দূরে কোনো কিছুর ওপরে ফোনটি রাখুন। এতে ফোনের রেডিয়েশন থেকে ঘুম নষ্ট হবে না যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন আপনাকে উঠে গিয়ে ফোন বন্ধ করতে হবে, তাই অলসতা সহজেই কেটে যাবে।

মোবাইল ফোন বালিশের পাশে না রেখে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখলে ঘুম ভালো হয় বালিশের পাশে বা নিচে পড়ে থাকা। ফোনটিতে কল এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় বিছানায় ফোন সঙ্গী করে ঘুমানোর এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি থেকে। মুক্তি পেতে এবং শান্তিমতো ঘুমাতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ফোন পাশে রেখে ঘুমান, আগে সেটা বন্ধ করতে হবে ফোন থেকে নীল রঙের যে আলো নির্গত হয়। তা মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে বলে ঘুম নষ্ট হয় যদিও কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাব থেকেও । এ ধরনের আলো নির্গত হয় কিন্তু ঘুমানোর আগে আপনার ছোট স্মার্টফোনটির ব্যবহারে ক্ষতি বেশি হয়।

গান শুনতে শুনতে ঘুম?

অনেকেই মোবাইল ফোনে গান চালিয়ে তা শুনতে শুনতে ঘুমান দেখা যায়, মোবাইল ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে তা কানে দিয়ে ঘুমানোর আগে গান চালান অনেকেই।

অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন। বা গেম খেলেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভালো নয়, এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। আপনার ফোন ব্যবহার সীমিত করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন নিয়ে যাবেন না হাতের কাছে ফোন থাকলে তা বারবার ব্যবহার করার আগ্রহ বাড়বে। আপনার ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখুন যেখানে চার্জার, হেডফোন বা অন্যান্য টুকিটাকি দরকারি জিনিসপত্র রাখেন। আপনার মোবাইল ফোনটিও সেখানেই রেখে দিতে পারেন। যাতে মস্তিষ্ক কিছুতেই বিক্ষিপ্ত না হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোন ও মস্তিষ্কের মধ্যে অল্প তফাৎ থাকলে তা ঘুমের পরিমাণ ও ঘুমের মান দু’য়ের ওপরেই প্রভাব ফেলে ৷ ফোন কাছে নিয়ে শুলে তা আমাদের স্নায়ুকে উত্তেজিত রাখে৷ অবচেতনে আমরা পরের ফোন অথবা। ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করে থাকি, যা আমাদের বেশিক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতে দেয় না ৷

রাতের অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনের আলো মানুষের চোখের রেটিনার পক্ষে ক্ষতিকারক এই আলোই আমাদের মস্তিষ্ককে জানান দেয়। ফোন অথবা ম্যাসেজ আসার প্রাথমিক খবর এই আলো তন্দ্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে নিঃসরণ হতে বাধা দেয় ৷

চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?

চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যাবহার করলে সেটা অতিরিক্ত গরম হতে পারে যার ফলে অনেক সময় ফোন বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটে।

মোবাইল যখন চার্জে থাকে তখন সেখানে ভোল্টেজ স্টেপ ডাউন করতে হয় কারন মোবাইল এর ব্যাটারি থাকে সাধারণত ৫ ভোল্ট এর হয়। এই স্টেপ ডাউন প্রসেস এ কিছুটা পাওয়ার ব্রিক বা এডাপ্টার এ হয় আর বাকিটা ফোনে হয়, এই কাজে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় যার ফলে মোবাইল ফোন গরম হয়ে যায়।

এখন তার উপর যদি আপনি সেটা ব্যাবহার করেন ঐ সময় এর প্রসেসর কাজ করা শুরু করবে সেটা আরো গরম করে তুলবে আপনার ফোনকে। আর খলনায়ক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি হল অত্যন্ত দাহ্য ও বিস্ফোরক জিনিষ। সে যদি সেই গরম সহ্য করতে না পারে তবে আপনার ফোন বিস্ফোরন এর সম্ভাবনা আছে।

পোস্ট ট্যাগ ?

তবে আশার কথা হল বাজারে কিছু দামি চার্জার আছে যেগুলোয় সম্পূর্ণ ভোল্টেজ স্টেপ ডাউন পাওয়ার ব্রিকে হয়ে থাকে। OnePlus ফোনের সাথে প্যাকেটে দেওয়া Dash / Warp চার্জার হল এমনই চার্জার এমনকি, এ কোম্পানি আপনাকে চার্জের সময় ফোন ব্যাবহার করতেও উৎসাহিত করে।

লেখকের মন্তব্য ?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url