সকালে খালি পেটে কালোজিরার ৮ উপকারিতা?

প্রতিদিন সকালে কালোজিরা খেলে জাদুকরী প্রভাব পড়বে আপনার শরীরে সকাল সকাল খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে। খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার পর গবেষণায় দেখা গেছে, এটি হজমে সাহায্য করে।

এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে পারে এটি ফোলাভাব এবং গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া কালোজিরা খাদ্য থেকে পুষ্টির শোষণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সকালে খালি পেটে কালোজিরার ৮ উপকারিতা

আরও কী কী উপকার পেতে পারেন জেনে নিন?

  • ১ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে কালোজিরা।
  • ২ বাতের ব্যথায় স্বস্তি দিতে সহয়তা করে এটি।
  • ৩ সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে কালোজিরা খুব উপকারী।
  • ৪ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ৫ কাঁচা কালোজিরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ৬ হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
  • ৭ কাঁচা কালোজিরা খাওয়া পর গবেষণায় দেখা গেছে, তারা কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, নির্দিষ্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এবং এমনকি বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ৮ কালোজিরা খনিজ, ভিটামি এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস।

প্রতিদিন কি পরিমাণ কালোজিরা খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ (প্রায় ৫ গ্রাম) কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। এর বেশি খাওয়া হলে তা শরীরে গ্যাস্ট্রিক বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, সকালে খালি পেটে ১ চা চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খান।

  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া খুবই উপকারী এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে কালোজিরা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং এটি পেটের ফোলাভাব ও গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া খাদ্য থেকে পুষ্টির শোষণে কালোজিরা সাহায্য করতে পারে।
  • কালোজিরা খেলে কি রক্ত হয়?
কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন।
  • কালোজিরা খেলে কি ওজন বাড়ে?
এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে ওজন কমায় যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি। মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। পান করে দারুণ উপকার পাবেন।
  • টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়?
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়? টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে আজমা, অ্যালার্জি এর মতো শরীরের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, ওজন কমাতে ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়, এজন্য প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • কালোজিরা খেলে কি বুকের দুধ বাড়ে?
  • কালোজিরা খেলে কি বুকের দুধ বাড়ে

যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে কালোজিরা নিয়মিত কালোজিরা খেলে। তা স্তনদুগ্ধ বাড়াতে সাহায্য করে এতে শিশুও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় সেইসঙ্গে, শিশুর দৈনিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে কালোজিরা।
  • কালোজিরা ভেজানো পানি খেলে কি হয়?
এটি জয়েন্টের ব্যথাতেও উপকারি এবং এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে দারুণ কার্যকরী এটি নিয়মিত খেলে। শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে চিকিৎসকরা আরও জানান যে, কালোজিরা একটি গ্লাসে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন৷। তারপর সকালে উঠে তা ছেকে খেয়ে নিন৷ সকালে খালি পেটে এই পানি খেলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে, শরীরও হবে চাঙ্গা।
  • মেয়েদের হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার?
সাধারণ হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা পুরুষদের জন্য প্রতি ডেসিলিটারে 14 থেকে 17 গ্রাম এবং মহিলাদের জন্য 12 থেকে 15 গ্রাম প্রতি ডেসিলিটারের মধ্যে। ক সম্পূর্ণ রক্ত ​​গণনা (CBC) পরীক্ষা রক্তের কোষের সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্দেশ করে।
  • কালোজিরা ও কালোজিরা কি একই?
কালোজিরা বা কালাজিরা ভারতের একটি প্রাচীন মশলা নাইজেলা স্যাটিভা নামে একটি উদ্ভিদের বীজ, যা ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হত। এই বীজগুলি কালঞ্জি, হিমালি জিরা বা কালা জিরালের মতো বিভিন্ন নামেও পরিচিত।
  • শরীরে রক্ত বৃদ্ধির উপায় কি?
মাংস খাবেন যে কারণে আমাদের রক্তে দ্রুত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে প্রাণিজ প্রোটিন। ফল খান নিয়মিত সাইট্রাস জাতীয় রসালো ফল যেমন লেবু, কমলা, আম ইত্যাদি ফলে থাকে ভিটামিন সি। সামুদ্রিক মাছ খেলে মিলবে উপকার ডাল জাতীয় শস্য সবজি খাওয়ার উপকারিতা শস্য জাতীয় খাবার ডিম খান নিয়মিত।

জেনে নিন কালোজিরা খাওয়ার ৩৭ টি উপকারিতা?

জেনে নিন কালোজিরা খাওয়ার ৩৭ টি উপকারিতা

সাধারণত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরার আরো কিছু নাম আছে, যেমন- কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে। নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম nigella sativa।

যে নামেই ডাকা হোক না কেন এই কালো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে। শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। আসুন কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

১। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি?

এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেবন। যা দুশ্চিন্তা দূর করে এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে।

কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়, এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়, যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

২। মাথা ব্যাথা নিরাময়ে?

১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন।

৩। সর্দি সারাতে?

এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেবন এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়, সর্দি বসে গেলে কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন।

একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।

৪। বাতের ব্যাথা দুর করতে?

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন।

৫। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে?

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল, সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করা।

৬। হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে?

এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেবন এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।

৭। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে?

প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যের তাপে কমপক্ষে আধঘন্টা অবস্থান করতে হবে। এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেবন করা যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।

৮। অর্শ রোগ নিরাময়ে?

এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবন করা।

৯। শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে?

যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমসসায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেবন করুন।

১০। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে?

ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালোজিরা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল। এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।

১১। জৈব শক্তি বৃদ্ধির জন্য?

কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায় প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন, এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার ৪/৫ সপ্তাহ সেবন করুন, তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

১২। অনিয়মিত মাসিক/স্রাব রোগের ক্ষেত্রে?

এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেবন করুন যা শতভাগ কার্যকরী ।

১৩। দুগ্ধ দানকারি মা’দের দুধ বৃদ্ধির জন্য?

যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালোজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া একচা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন। যা শতভাগ কার্যকরী।

১৪। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে?

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে

ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয় এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে। যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট, তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার। তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগা, এক সপ্তাহের মধ্যে, লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

১৫। গ্যাষ্ট্রীক বা আমাশয় নিরাময়ে?

এক চা-চামচ তেলসমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন।
১৬। জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দুর করতে?
একগ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেবন করুন।

১৭। রিউমেটিক এবং পিঠেব্যাথা দুর করার জন্য?

কালোজিরার থেকে যে তেল বের করা হয় তা আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

১৮। শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরা?

দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের। কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয় তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

১৯। মাথা ব্যথা দুর করতে?

মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
২০। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে?
মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

২১। হজমের সমস্যা দুর করতে?

হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন এভাবে প্রতিদিন দু তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে। হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

২২। লিভারের সুরক্ষায়?

লিভারের সুরক্ষায় কালোজিরার ভেষজটি অনন্য। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে।
২৩। চুল পড়া বন্ধ করতে?
কালোজিরার খেয়ে যান, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।

২৪। দেহের সাধারণ উন্নতি?

দেহের সাধারণ উন্নতি

নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। এছাড়া অরুচি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, জ্বর, শরীর ব্যথা, গলা ও দাতে ব্যথা, পুরাতন মাথা ব্যথা। মাইগ্রেন, চুলপড়া, খোসপঁচড়া, শ্বেতি, দাদ, একজিমা, সর্দি, কাশি, হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

এটি মূত্র বর্ধক ও উচ্চরক্তচাপ হ্রাসকারক,গ্যাসট্রিক, আলসার প্রতিরোধক, ভাইরাস প্রতিরোধক, টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমিনাষক, রক্তের রক্ষাকারক, যকৃতের বিষক্রিয়ানাষক, এলার্জি প্রতিরোধক, বাতব্যথা নাশক।

অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী। জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দুর করার জন্য কালোজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু।

এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় এবং দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে। এছাড়া শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না। তিলের তেলের সঙ্গে কালোজিরা বাঁটা বা কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।

২৫। দাঁত ব্যথা নিরাময়ে?

দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

২৬। শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনে?

  • তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপূর্ণ নিদ্রা হয়।

২৭। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা

কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি করে। ১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১ চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

২৮।পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারে?

কালোজিরায় থাইমোকুইনিন থাকে যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে।

২৯। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে?

কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।

৩০। কিডনির পাথর ও ব্লাডার?

২৫০ গ্রাম কালোজিরা ও সমপরিমাণ বিশুদ্ধ মধুর সাথে কালোজিরা উত্তমরূপে গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে। দুই চামচ মিশ্রণ আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধাকাপ তেল সহ পান করতে হবে, কালোজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা সেবন করতে পারেন।

৩১। চোখের ব্যথা দুর করতে?

রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে। একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবন আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ, সেবন।

৩২। উচ্চ রক্তচাপ?

যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে সাথে খাবেন গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময়। কালোজিরা ভর্তা খান এ উভয়পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন সারা দেহে রসুন ও কালোজিরা তেল মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন ভালো মনে করলে, পুরাতন রোগীদের ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়।

৩৩। ডায়রিয়া?

মুখে খাবার স্যালাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় একচামচ কালোজিরা তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর মূল আরকও পরীক্ষনীয়।

৩৪। জ্বর?

সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন, কালোজিরা ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিকঅ্যাসিড) সংমিশ্রন করে দেয়া যেতে পারে।

৩৫। স্নায়ুবিক উত্তেজনা?

কফির সাথে কালোজিরা সেবনে দূরীভূত হয়।
৩৬। উরুসদ্ধি প্রদাহ স্থানটি ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩ দিন সন্ধ্যায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান এবং পর দিন সকালে ধুয়ে নিন।

লেখকের মন্তব্য ?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url