বেগুন খেলে কমবে ওজন ভাল থাকবে হার্ট?

প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী বেগুন।ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। বেগুন ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে নরম ভাবে এনে দেয় বেগুন বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় কোলন ক্যানসারের আক্রমণ ঠেকায় বেগুন। বেগুনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি-সিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় হার্টের ধমনি ভাল থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।
বেগুন খেলে কমবে ওজন ভাল থাকবে হার্ট

সুগন্ধী গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়িই হোক কিংবা ঘরে ভাজা মুড়ি সবের সঙ্গেই যার নাম এক সঙ্গে উচ্চারণ হয় তা হল বেগুন। এক হাত লম্বা বেগুনিই হোক, বা গোল গোল করে কাটা বেগুন ভাজা নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এত দিন যাকে কুটকুট করে বলে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন জানেন কী তারও আছে প্রচুর খাদ্যগুণ।

বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় কোলন ক্যানসারের আক্রমণ ঠেকায় বেগুন। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যা খিদে কমাতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা খাই খাই রোগে ভোগেন তাঁরা বেগুন খেলে কমবে ওজন বেগুনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি-সিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় হার্টের ধমনি ভাল থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়। পটাসিয়াম এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় বেগুন খেলে রক্তচাপ ঠিক থাকে। বেগুনে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিক রোগীরা অনায়াসে বেগুন খেতে পারেন, বেগুন খেলে রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক থাকে।

বেগুনে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের পরিমান কমিয়ে দেয়। শুধু হার্টই নয় মস্তিষ্কও ভাল রাখে বেগুন বেগুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিন্টস মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখে। প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জল মজুত থাকায় বেগুন খেলে ত্বক সজীব এবং উজ্জ্বল থাকে। বলিরেখা আটকে দেয় বেগুন।

বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যা খিদে কমাতে সাহায্য করে বেগুনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি সিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। পটাসিয়াম এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় বেগুন খেলে রক্তচাপ ঠিক থাকে।

নিয়মিত বেগুন খেলে ক্ষতি না কি লাভ?

গুণ না থাকলেই বেগুনের সঙ্গে তুলনা করার রেওয়াজ প্রচলিত আছে আমাদের দেশে সত্যি কি তাই? বেগুন নামের সবজিতে কী কোনো গুণই নেই! বেগুনের ইংরেজি প্রতিশব্দ এগপ্লান্ট এগ বা ডিমের মতোই নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজিটি। নাম বেগুন হলেও গুণের যেন কমতি নেই এই সবজির।

বেগুন ভাজা, যে কোনো তরকারি তৈরি কিংবা মাছ রান্না করতে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে এই প্রয়োজনীয় সবজিটি। এটি রান্না করা তরকারিকে আরও সুস্বাদু করে তোলে। যদি অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে তবে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন এই সবজিকে। কেননা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কাজ করে বেগুন।

যেমন ডায়েটে নিয়মিত বেগুন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এই গাছের শিকড় কাজে লাগে হাঁপানি রোগীদের চিকিৎসায়। যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে এই সবজিটিকে প্রতিদিনের খাবারে ঠাঁই দিতে পারেন। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি।

আপনার শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে কিংবা ওজন কমাতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন বেগুন। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। তাই এই খাবার হজম হতে দেরি হয়। খাবার হজম হতে দেরি হওয়ায় খিদেও অনেকটা কমে আসবে আপনার। শরীরকে ফিট রাখতেও তাই প্রতিদিন খেতে পারেন বেগুন। হার্টের সুরক্ষাতেও দারুণ কাজ করে এ বেগুন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসকদের হেলথলাইনের, পেজ থেকে আরও জানা যায়। চমক দেয়ার মতো ৭ টি পুষ্টিগুণ লুকিয়ে রয়েছে বেগুনে এগুলো হলো উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লো ক্যালরি, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ভিটামিন কে এবং সি।

বেগুনের এসব উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই বেগুনের সব পুষ্টি পেতে তরকারি বা ভাজা রান্না না করে ভর্তা হিসেবে খেতে পারেন এই উপকারী সবজিটি।

এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে পারে। এটি ফোলাভাব এবং গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া কালোজিরা খাদ্য থেকে পুষ্টির শোষণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

আরও কী কী উপকার পেতে পারেন জেনে নিন?

আরও কী কী উপকার পেতে পারেন জেনে নিন

  • ১। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে কালোজিরা
  • ২। বাতের ব্যথায় স্বস্তি দিতে সহয়তা করে এটি
  • ৩। সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে কালোজিরা খুব উপকারী
  • ৪। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে
  • ৫ কাঁচা কালোজিরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে
  • ৬ হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
  • ৭ কাঁচা কালোজিরা খাওয়া পর গবেষণায় দেখা গেছে, তারা কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, নির্দিষ্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এবং এমনকি বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ৮ কালোজিরা খনিজ, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস
  • বেগুন খাওয়ার উপকারিতা?
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যেসব সবজি থাকে, তার মধ্যে বেগুন অন্যতম সহজে কাটা ও রান্না করা যায় বলে এর কদর সব জায়গায়। শুধু রান্না করাই সহজ নয়, এটি খেতেও সুস্বাদু বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা স্বাদের খাবার। বেগুন ভাজা, বেগুন ভর্তা, বেগুনের তরকারি- কতভাবেই না খাওয়া যায়! পুষ্টিগুণে ভরা এই সবজির উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

অ্যালার্জির সমস্যায় যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন?

সবার সব খাবারে অ্যালার্জি হয় না। কারও দুধ জাতীয় খাবার খেলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় তো কারও আবার চিংড়ি খেলে। তােই অ্যালার্জির সমস্যায় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত তা বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারে না।

বিশ্বব্যাপী খাদ্য অ্যালার্জির ওপর ইউরোপ্রেভাল একটি গবেষণা করে। সেই গবেষণায় প্রকাশ হয়েছে কিছু খাবারের নাম সেগুলো থেকে এলার্জি হতে পারে যারা প্রায়ই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন, তারা কিছু খাবার এড়িয়ে চলবেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে?

দুধ?

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো এই দুধ কিন্তু দুধ খেলে সবার ক্ষেত্রে তা সমানভাবে কাজ করে না। কারণ কারও কারও এটি খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গরুর দুধ খেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে দুধ এড়িয়ে চলবেন।

ডিম?

ডিমও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার এটি দুধের মতোই প্রয়োজনীয় একটি খাবার অল্প মূল্যে প্রোটিন পেতে চাইলে ডিমের বিকল্প নেই। কিন্তু যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ডিম এড়িয়ে চলাই ভালো, বিশেষ করে শিশুরা ডিম খেলে অ্যালার্জিতে বেশি ভুগে থাকে।
  • চীনা বাদাম?
চীনা বাদাম বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা একটি খাবার কিন্তু এই বাদাম এবং এর তৈরি যেকোনো খাবার অনেকের জন্য অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে, শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গম বা গমের আটার তৈরি খাবার?
আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও এর পরপরই অবস্থান রয়েছে গম বা গমের আটার তৈরি খাবারের এটি উপকারীও। কিন্তু এই জাতীয় খাবার খেলে অনেকের মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় ,তাই যারা আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন তারা গম বা গমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলবেন।
  • শেল ফিশ?
শেল ফিশ হলো সেই ধরনের মাছ যেগুলো শক্ত খোসা দ্বারা ঢাকা থাকে বিভিন্ন প্রকারের শেল ফিশ যেমন চিংড়ি। কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবারে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে কারণ এগুলোর শক্ত খোল রয়েছে, এ জাতীয় খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের।

কিছু ফল ও সবজি?

অনেকে মনে করেন সবজি বা ফলে হয়তো অ্যালার্জির সমস্যা হয় না এটি ঠিক নয়। কারণ বেগুন, ওল, কচুর, টমেটোর জাতীয় কিছু সবজি থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। কারও কারও আবার অনেকের ক্ষেত্রে আম, আপেল, শসা খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যালার্জির ভয় থাকলে এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বেগুন কারণ বেগুনে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা অক্ষতভাবে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যায়। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তারা নিয়মিত বেগুন রাখুন খাবারের তালিকায়। এতে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে দূরে থাকবে ডায়াবেটিসও।

পলিফেনল বা প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ পাওয়া যায় বেগুনে। এসব উপাদান শরীরে চিনির শোষণ কমায় এবং ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগুনের ভূমিকা তাই মূখ্য।

বেগুনে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এক ধরনের রঙ্গক যা থেকে বেগুনের রং ফুটে ওঠে। এই যৌগ বিশেষভাবে উপকারী কারণ এটি কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এই সবজিতে অনেক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে যেগুলো ক্যান্সার কোষের সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করে। বেগুনে সোলাসোডিন র‌্যামনোসিল গ্লাইকোসাইডস (এসআরজি) নামক একটি যৌগ টিউমার কোষকে মেরে ফেলতে এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি কমাতে পারে।
  • বেগুন খেলে কি ক্ষতি হয়?
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা বেগুনে উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে। যাদের পেটের আলসার, হাইপারঅ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে
কিডনি রোগী বেগুনে অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • বেগুন খেলে কি কিডনি খারাপ হয়?
তথ্য: কিডনিতে পাথর আছে এমন রোগীদের টমেটো, পেয়ারা, বেগুন, ভেজিটেবল ইত্যাদি বীজযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত নয় কারণ বীজ পাথর গঠনের সম্ভাবনা বাড়ায় না।

বেগুন কাদের খাওয়া উচিত নয়?

বেগুন কাদের খাওয়া উচিত নয়

হজমের সমস্যা: হজমের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও বেগুন এড়িয়ে চলতে বলা হয়। পাইলস: যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও বেগুন খাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।হাঁটুর ব্যথায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও বেগুন এড়িয়ে চলা উচিত।
  • বেগুন খেলে কি গ্যাস হয়?
সারা দিন বিভিন্ন ভাবে বেগুন খেলে দেখা দিতে পারে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা গ্যাসের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত বেগুন এক দিনে না খাওয়াই ভাল।
  • বেগুন কি পুরুষের পক্ষে ক্ষতিকর?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নাসুনিন রক্তে আয়রনের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে, যখন এটি খুব বেশি থাকে। প্রচুর আয়রন হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ, বিশেষ করে পুরুষদের এবং যাদের জরায়ুতে ঋতুস্রাব হয় না। তাদের ক্ষেত্রে যারা কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার চান তাদের জন্য বেগুন একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
  • বেগুন খেলে কি উপকার হয়?
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যা খিদে কমাতে সাহায্য করে তাই যাঁরা খাই খাই রোগে ভোগেন তাঁরা বেগুন খেলে কমবে ওজন। বেগুনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি-সিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় হার্টের ধমনি ভাল থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।
  • কিডনি রোগীর জন্য কোন সবজি ভালো?
শাকসবজি: ফুলকপি, পেঁয়াজ, বেগুন, শালগম প্রোটিন: চর্বিহীন মাংস (মুরগি, মাছ), ডিম, লবণ ছাড়া সামুদ্রিক খাবার। কার্বোহাইড্রেট: সাদা রুটি, ব্যাগেল, স্যান্ডউইচ বান, লবণ ছাড়া ক্র্যাকার, পাস্তা পানীয়: জল, পরিষ্কার ডায়েট সোডা, মিষ্টি ছাড়া চা।
  • শসা খেলে কি কিডনিতে পাথর হয়?
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন রিসার্চ অনুসারে, শসায় মাঝারি পরিমাণে সাইট্রেট থাকে, যা নির্দিষ্ট ধরণের কিডনি পাথর, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর গঠনে বাধা দেয়। সাইট্রেট স্ফটিকগুলিকে একসাথে লেগে থাকা এবং বড় পাথর গঠনে বাধা দিতে সাহায্য করতে পারে।

  • যষ্টিমধু কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?
কিডনি রোগ: প্রচুর পরিমাণে লিকোরিস খাওয়া কিডনি রোগকে আরও খারাপ করতে পারে। যৌন সমস্যা বেশি পরিমাণে লিকোরিস খাওয়া যৌনতার প্রতি আগ্রহ কমাতে পারে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED) আরও খারাপ করতে পারে।
  • বেগুন কি ক্ষতিকর?
বেগুনের আসলে পুষ্টিগুণ অনেক ভালো এবং (অপরাধের দৃষ্টিকোণ থেকে) এগুলোকে অবমূল্যায়ন করা হয়। এটি হল: ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস আপনার প্রস্তাবিত দৈনিক গ্রহণের ১০% ১০০ গ্রামেরও কম বেগুনে পাওয়া যায়, বি ভিটামিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, বিশেষ করে বি১।
  • বেগুন কাদের খাওয়া উচিত নয়?
হজমের সমস্যা: যারা নিয়মিত হজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন তাদের বেগুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি বদহজমের কারণ হতে পারে। বিষণ্ণতা: যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং এর জন্য ওষুধ খাচ্ছেন তাদের বেগুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
  • বেগুনে কি কি ভিটামিন আছে?
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি আপনার, শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে কিংবা ওজন কমাতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন বেগুন।

বেগুন খেলে কি গ্যাস হয়?

তিনি উল্লেখ করেছেন যে ব্রোকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং বাঁধাকপি ক্রুসিফেরাস পরিবারের সদস্য এবং গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। বেগুন, মরিচ, আঙ্গুর এবং তরমুজের মতো অন্যান্য খাবারেরও একই প্রভাব থাকতে পারে , তবুও তারা একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।
  • বেগুন খেলে কি পেট খারাপ হয়?
টমেটো, আলু, বেগুন এবং মরিচের মতো অন্যান্য নাইটশেডগুলিতে অ্যালকালয়েড থাকে, অথবা ল্যাকটিন নামক। এক ধরণের কার্বোহাইড্রেট-বাঁধাই প্রোটিন থাকে যা কিছু মানুষের মধ্যে প্রদাহ এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই মাত্রাগুলি সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের উপর প্রভাব ফেলার জন্য খুব কম, ব্রাউন বলেন।

বেগুন খেলে জিহ্বায় ঝিনঝিন হয় কেন?

বেগুন খেলে জিহ্বায় ঝিনঝিন হয় কেন

বেগুনের প্রতি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া খুব কমই রিপোর্ট করা হয়েছে এবং টমেটো এবং ঘাসের পরাগরেণুর প্রোটিনের সাথে ক্রস। রিঅ্যাক্টিভিটির কারণে এটি ঘটে মৌখিক অ্যালার্জি সিন্ড্রোম বেগুনের অ্যালার্জির লক্ষণগুলি হালকা থেকে। গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে এবং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে মুখে চুলকানি বা ঝিনঝিন করা। ঠোঁট, জিহ্বা বা গলা ফুলে যাওয়া।
  • বেগুন বেশি খেলে কি হয়?
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের প্রায় ২৯ শতাংশ পাওয়া যায় ৪৫৮ গ্রাম বেগুনে। তবে অত্যধিক হারে বেগুন খেলে বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৩) বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট ,শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালেট প্রবেশ করার ফলে পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • বেগুন খেলে কি কিডনিতে পাথর হয়?
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরিতে ভূমিকা রাখে তাই, কিডনিতে পাথরের ইতিহাস আছে এমন রোগীদের ঘন ঘন বেগুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
  • বেগুন খেলে কি কাশি বাড়ে?
হিস্টামিন হল আমাদের কোষে পাওয়া একটি রাসায়নিক যা বিভিন্ন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি পেশী সংকোচন এবং শ্লেষ্মা উৎপাদনের মাধ্যমে শ্বাসনালী বন্ধ করে দিতে ভূমিকা পালন করে ,কাশির সময় হিস্টামিন সমৃদ্ধ সবজি এড়িয়ে চলা উচিতবেগুন।
  • বেগুন খেলে শরীর খারাপ হয় কেন?
কিছু লোকের ক্ষেত্রে, বেগুন খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন চুলকানি, ফোলাভাব এবং ত্বক লাল হয়ে যাওয়া। এটি গুরুতর ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি বা ডায়রিয়ার কারণও হতে পারে, এছাড়াও, বেগুনে সোলানিন থাকে, যা বেশি পরিমাণে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
  • পান কি কিডনির জন্য ভালো?
পান পাতা একটি বহুমুখী উদ্ভিদ যা ত্বক, চুল এবং সামগ্রিক শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করে। প্রতিদিন পান পাতা খেলে চিনির মাত্রা কমতে পারে এবং হজমে সহায়তা করে পরিমিত পরিমাণে পান পাতা গ্রহণ নিরাপদ। এবং কার্যকর উপকারিতা প্রদান করতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে পান পাতা, খেলে লিভার বা কিডনির সমস্যা হতে পারে।

কাঁচা পালং শাক কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?

অতিরিক্ত পটাশিয়াম এড়াতে রান্না করা শাকের চেয়ে কাঁচা সুইস চার্ড, পালং শাক এবং বিট শাক বেশি পছন্দনীয়। তবে, এই খাবারগুলি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন, কারণ এগুলিতে অক্সালেটের পরিমাণও বেশি, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মধ্যে, অক্সালেট কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • শসা খেলে কি কিডনি ভালো থাকে?
শসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্যানিন, যার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রদাহ কিডনিতে পাথরের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শসার জলে থাকা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনিতে পাথরের সাথে সম্পর্কিত কিছু অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
  • বেগুন খেলে কি ওজন বাড়ে?
বেগুনের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে যাঁরা নিয়মিত বেগুন খান। তাঁদের ওজন চট করে বাড়ে না বেগুনের মধ্যে থাকা ফাইবার ডায়াবেটিসের, রোগীদের জন্যও উপকারী।

পোস্ট ট্যাগ?

বেগুন লুটিনের একটি ভালো উৎস এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং অন্ধত্বের প্রধান কারণ অতএব, বেগুন চোখকে মুক্ত র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে উপকারী হতে পারে ।

লেখকের মন্তব্য ?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url