শিশুদের শীতকালীন ডায়রিয়া হলে যা করতে হবে?

শিশুদের শীতকালীন ডায়রিয়া হলে যা করতে হবে

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ এই ডায়রিয়া, প্রতিরোধে যা করতে হবে।

শিশুর পানিশূন্যতা বোঝার উপায়?

উপরোল্লিখিত লক্ষণগুলোর যে কোনো একটি থাকলেই শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে। শিশুকে বেশি করে খাওয়ার স্যালাইন ও তরল খাবার, যেমন ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, টক দই, ঘোল, ফলের রস ও লবণ-গুড়ের শরবত খেতে দিন। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, স্যালাইন তা পূরণ করে।

মেয়েদের গর্ব অবস্থায় কি করনীয় ?

গর্ভবতী মায়ের জন্য দরকার সুষম খাদ্যতালিকা এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত ও খাদ্যঘাটতি দূর করা সম্ভব। এ সময় প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে মওসুমি ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে।

কেনা শাক-সবজি, ফলমূল বাজার থেকে আনার পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে খেলে ফরমালিনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এ সময় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।

পরিমিত হালকা ধরনের কাজ?

নারীর গর্ভকালীন সময়ে প্রথম দু-তিন মাস ও শেষের তিন মাস অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে হালকা হাঁটাচলা করা উচিত। ভারী জিনিস বহন করা বা তোলা যাবে না পিচ্ছিল স্থানে হাঁটা যাবে না এবং সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ঘুম?

এ সময় দিনের বেলা কমপক্ষে দু-ঘণ্টা ঘুম বা বিশ্রাম এবং রাতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক ঘুমানো বা বিশ্রামের সময় বাঁ-কাত হয়ে শোয়া ভালো। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আরামদায়ক, সহজে পরিধানযোগ্য ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। সঠিক মাপের এবং নরম জুতো পরতে হবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই হিল পরিহার করা উচিত।

ভ্রমণ?

গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দীর্ঘ ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো উঁচু-নিচু পথ কিংবা ঝাঁকির আশঙ্কা আছে। এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর সকালে ও বিকেলে কিছু সময়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে। ভ্রমণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো, এতে শরীর সুস্থ ও মন প্রফুল্ল থাকে, তাই ফুলের বাগান, লেকের পাড়, পার্ক- এসব স্থানে ভ্রমণ করা উচিত।

শরীরের বিশেষ যত্ন ও রোগ-প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ?

এ সময় নিয়মিত প্রতিদিন সাবান দিয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে এবং হাত-পায়ের নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। গর্ভকালে মায়েদের দাঁতগুলো বেশ নরম হয়ে যায়, তাই দাঁত ও মাড়ির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চার থেকে আট মাসের মধ্যে অবশ্যই টিটেনাসের টিকা দিতে হবে এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, চিকেন পক্স ইত্যাদি ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে থাকতে হবে।

বিশেষ সতর্কতা?

অতিরিক্ত আবেগ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ভয়, রোগ-শোক ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই এসব এড়িয়ে ভালো চিন্তা করতে হবে। প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস স্বামীর সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা যাবে না পানিশূন্যতা রোধে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক।

আপনার প্রথম তিনমাসের নির্দেশিকা?

গর্ভাবস্থার প্রথম ১৩ সপ্তাহের জন্য পরামর্শ
অভিনন্দন - আপনি মা হতে চলেছেন! বাবা বা মা হওয়া একটি রোমাঞ্চকর এবং ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা। তবে মাঝে মাঝে এটিকে অপ্রতিরোধ্য মনে হতে পারে এবং আপনার মনে সম্ভবত অনেক ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। এটা প্রত্যাশিত এবং গর্ভাবস্থায় এই নির্দেশিকাটি আপনার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগী হবে বলে আমরা মনে করি।

গর্ভাবস্থার প্রথম ১৩ সপ্তাহ সময় আপনার শরীর ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে এবং পরিবর্তিত হবে। ঠিক একইভাবে আপনার সন্তানের ক্ষেত্রেও এমনটি হবে। আপনারা যেহেতু একসাথে এই আশ্চর্যজনক যাত্রা শুরু করেছেন, সেহেতু যেসব বিষয় আপনাকে জানতে হবে সেগুলো এখানে রয়েছে।

আপনার শরীরের ভেতরে নতুন একটি জীবন বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আপনার শরীরে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন ঘটতে চলেছে।

বমি-বমি ভাব বা ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলো আপনি অনুভব করা শুরু করতে পারেন বা আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে । এমনটিও আপনি অনুভব করতে পারেন! আপনার শরীরের ভাষা শুনুন এবং প্রয়োজন অনুসারে আপনার রুটিন পরিবর্তন করুন। প্রতিটি নারী যেমন আলাদা, একই ভাবে প্রতিটি গর্ভাবস্থার, অভিজ্ঞতাও আলাদা।

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ ?

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ

নিয়মিত ঋতুচক্র (মাসিক) হয় এমন নারীদের জন্য ঋতুচক্র (মাসিক) হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া হ’ল গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ। কখনও কখনও রক্তস্রাব হতে পারে এতে হাল্কা ঋতুচক্র (মাসিক) বা দাগ কাটার মতো রক্ত দেখা যায়। তবে এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এমন রক্তস্রাব দেখতে পান, তবে আপনার অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্লান্তি, বমি-বমি ভাব বা ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো নিচের কিছু লক্ষণ আপনার ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ?

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তন আপনার পুরো শরীরকে প্রভাবিত করবে। যদিও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই একরকম নয়, তবে প্রথম তিন মাস আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
লক্ষণগুলো নিম্নরূপ?
  • স্তন নরম হয়ে যাওয়া
  • মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া
  • বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাতকালীন অসুস্থতা)
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
  • চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • মাথাব্যথা করা
  • বুকজ্বালা করা
  • পায়ে খিল ধরা
  • পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীতে ব্যথা হওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া

নিজের যত্ন?

গর্ভাবস্থার শুরুর দিকের লক্ষণগুলো, বিশেষ করে বলতে গেলে, অস্বস্তিকর হতে পারে কিছুটা স্বস্তির জন্য। প্রথমে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যাচাই করার পরে এই কৌশলটি ব্যবহার করে দেখুন। মনে রাখবেন, অগ্রাধিকার এবং হাতের কাছে যে জিনিসগুলো সহজলভ্য আপনার সিদ্ধান্তটি সবসময় তার ভিত্তিতেই নেয়া উচিত। বমি-বমি ভাব বা বমির ক্ষেত্রে আদা, কেমোমিল, ভিটামিন বি৬ এবং/বা আকুপাংচার করার চেষ্টা করুন।

পায়ে খিল ধরার ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম বা ক্যালসিয়াম নিয়ে দেখতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যসেবা। প্রদানকারীর পরামর্শ অনুসারে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনেও যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে স্বস্তি পেতে গমের তুষ বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় সম্পূরক খাদ্যের ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনার পুরো গর্ভাবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ যতক্ষণ আপনি এটি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ততক্ষণই আপনার দৈনিক শারীরিক কার্যক্রম চালিয়ে যান গর্ভাবস্থায় আপনি যত বেশি সক্রিয় থাকবেন।

আপনার পরিবর্তিত শরীরের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া ততটাই সহজ হবে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার। এবং আপনার সন্তানের ক্রমবর্ধমান শরীরের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করুন শাকসবজি, মাংস, শিম। বাদাম পাস্তুরিক্রিত দুধ এবং ফলমূল সহ বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনি, যে পর্যাপ্ত শক্তি, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করুন।

আপনার সন্তানের বৃদ্ধি ঘটছে কীভাবে?

এই সময়টি আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম তিন মাসে আপনার সন্তানের, শরীর আকার নিতে শুরু করে এসব প্রাথমিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শারীরিক বিকাশের মধ্যে রয়েছে।
  • মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড
  • কানের ভেতরের অংশ
  • কার্ডিয়াক টিস্যু
  • যৌনাঙ্গ
  • আঙ্গুলের নখ
  • যকৃৎ
  • চোখের পাতা
  • অগ্ন্যাশয়
  • কিডনি
  • হাত, পা এবং অন্যান্য অঙ্গগুলোর জন্য কার্টিলেজ
  • মুখ, চোখ এবং নাকের পেশী
  • আঙুল এবং পায়ের আঙ্গুল
  • শ্বাসতন্ত্র
ভ্রূণের বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তবে প্রথম তিনমাসের সময়, প্রথম মাসের শেষে। আপনার সন্তান প্রায় ০.৬৪ সেন্টিমিটার (০.২৫ ইঞ্চি) [(চালের দানার চেয়ে ছোট)] লম্বা হবে। এবং ১২ সপ্তাহের শেষে এটি বেড়ে প্রায় ১০ সেন্টিমিটার (৪ ইঞ্চি) হবে ও ওজন হবে ২৮ গ্রাম [ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে প্রাপ্ত তথ্য]। আপনার নিজ দেশের তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে আপনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিন।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে আমার কখন দেখা করা উচিত?

যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে দেখা করা উচিত তবে, গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে। আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কমপক্ষে একবার দেখা করার জন্য সময় নির্ধারণ করা উচিত। আপনার নিজ দেশে পরামর্শের জন্য, অনুগ্রহ করে আপনার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করুন।

যেসব বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ?

যেহেতু প্রত্যেক নারীর গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতা ভিন্ন, সেহেতু নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে কথা বলতে হবে।

মারাত্মক খিল ধরা৩৮ (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে জ্বরদুর্গন্ধযুক্ত যোনি স্রাবপ্রস্রাবে যন্ত্রণাযোনিপথে রক্ত। বের হওয়ামারাত্মক বমি-বমি ভাব আপনি কেমন বোধ করছেন আপনার শরীরের ভেতরে নতুন। একটি জীবন বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আপনার শরীরে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন ঘটতে চলেছে।

বমি-বমি ভাব বা ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলো আপনি অনুভব করা শুরু করতে পারেন বা আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটিও আপনি অনুভব করতে পারেন! আপনার শরীরের ভাষা শুনুন এবং প্রয়োজন অনুসারে আপনার রুটিন পরিবর্তন করুন। প্রতিটি নারী যেমন আলাদা, একই ভাবে প্রতিটি গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতাও আলাদা।

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ?

নিয়মিত ঋতুচক্র (মাসিক) হয় এমন নারীদের জন্য ঋতুচক্র (মাসিক) হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া হ’ল গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ। কখনও কখনও রক্তস্রাব হতে পারেএতে হাল্কা ঋতুচক্র (মাসিক) বা দাগ কাটার মতো রক্ত দেখা যায়। তবে এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এমন রক্তস্রাব দেখতে পান, তবে আপনার অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্লান্তি, বমি-বমি ভাব বা ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো নিচের কিছু লক্ষণ আপনার ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ?

সাধারণ লক্ষণ

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তন আপনার পুরো শরীরকে প্রভাবিত করবে। যদিও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই একরকম নয়, তবে প্রথম তিন মাস আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
  • লক্ষণগুলো নিম্নরূপ
  • স্তন নরম হয়ে যাওয়া
  • মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া
  • বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাতকালীন অসুস্থতা)
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
  • চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • মাথাব্যথা করা
  • বুকজ্বালা করা
  • পায়ে খিল ধরা
  • পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীতে ব্যথা হওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া

নিজের যত্ন?

গর্ভাবস্থার শুরুর দিকের লক্ষণগুলো, বিশেষ করে বলতে গেলে, অস্বস্তিকর হতে পারে কিছুটা স্বস্তির জন্য। প্রথমে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যাচাই করার পরে এই কৌশলটি ব্যবহার করে দেখুন। মনে রাখবেন অগ্রাধিকার এবং হাতের কাছে যে জিনিসগুলো সহজলভ্য আপনার সিদ্ধান্তটি সবসময় তার ভিত্তিতেই নেয়া উচিত।

বমি-বমি ভাব বা বমির ক্ষেত্রে আদা, কেমোমিল, ভিটামিন বি৬ এবং/বা আকুপাংচার করার চেষ্টা করুন।

পায়ে খিল ধরার ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম বা ক্যালসিয়াম নিয়ে দেখতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর। পরামর্শ অনুসারে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনেও যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে স্বস্তি পেতে গমের তুষ বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় সম্পূরক খাদ্যের ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনার পুরো গর্ভাবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ যতক্ষণ আপনি এটি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ততক্ষণই আপনার দৈনিক শারীরিক কার্যক্রম চালিয়ে যান গর্ভাবস্থায় আপনি যত বেশি সক্রিয় থাকবেন।

আপনার পরিবর্তিত শরীরের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া ততটাই সহজ হবে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্রমবর্ধমান শরীরের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করুন। শাকসবজি, মাংস, শিম, বাদাম, পাস্তুরিক্রিত দুধ এবং ফলমূল সহ বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর খাবার। গ্রহণের মাধ্যমে আপনি যে পর্যাপ্ত শক্তি, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করুন।

প্রকৃতিতে শীত জেঁকে বসেছে শীত এলেই ঠান্ডা-কাশির পাশাপাশি শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়
ডায়রিয়া খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। দুই বছরের নিচে শিশুর ডায়রিয়ার প্রধান কারণ রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এই ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা দেখা দিলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে। শিশুর প্রস্রাব কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, এমনকি শিশুর প্রাণহানি হতে পারে।

শিশুকে বেশি করে খাওয়ার স্যালাইন ও তরল খাবার, যেমন ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, টক দই ঘোল ফলের রস। ও লবণ-গুড়ের শরবত খেতে দিন ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়।

স্যালাইন তা পূরণ করে সম্পূর্ণ এক প্যাকেট ছাড়া গুলাবেন না এতে লবণের মাত্রা কমবেশি হতে পারে। এবং শিশুর মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে প্রতিবার পায়খানার পর ১০ থেকে ১৫ চামচ স্যালাইন শিশুকে খেতে দিন। পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিন।

শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের কম হয়, তাহলে তাকে বারবার মায়ের দুধ খেতে দিন শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হলে। বুকের দুধের পাশাপাশি পরিবারের খাবার অবশ্যই দিতে হবে অনেক পরিবার ডায়রিয়া হলে শিশুকে। মাছ, মাংস, ডাল, কলা, শাকসবজি খেতে দেয় না শুধু চালের গুঁড়া, বার্লি বা জাউভাত খেতে দেয়।

অসুস্থ অবস্থায় স্বাভাবিক খাবার খেতে না দিলে পরে শিশুর অপুষ্টি দেখা দিতে পারে কাঁচকলা সেদ্ধ করে নরম ভাতের সঙ্গে। চটকে দিন বা খিচুড়ির সঙ্গে কাঁচকলা দিন সারাদিন কমপক্ষে ছয়বার, অর্থাৎ তিন-চার ঘণ্টা পরপর শিশুকে খাবার দিন। অল্প করে দিলে শিশুর পক্ষে খাবার হজম করা সহজ হবে, ১৫ দিনের জন্য জিঙ্ক সিরাপ বা বড়ি খেতে দিন।

লেখকের মন্তব্য?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন।

সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url