মেকআপ যেভাবে করবেন?
বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতকালের মেকআপ কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। এ সময় সব ধরনের ত্বকেই কিছুটা পরিবর্তন আসে।
ত্বকের দ্বিতীয় স্তর ডার্মিসে ঘামগ্রন্থির কাজ কম হয়, ফলাফল ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না। আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা না থাকায় মেকআপে সহজেই ফাটল ধরে।
শীতকালে মেকআপ কীভাবে করলে ভালো হবে, সেটাই জানালেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
মেকআপের আগে?
সাজের আগে ত্বককে প্রস্তুত করতে হবে শীতকালের শুষ্ক ত্বককে মেকআপের উপযোগী করতে ক্লিনজা টোনার। ময়েশ্চারাইজার-প্রাইমার সিটিএমপি পদ্ধতি লাগানোর পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি, তিনি বলেন, এই চার ধাপ অনুসরণ না করলে মেকআপ ঠিকমতো বসে না।
ত্বকেও উজ্জ্বলতা আসে না। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেছে নেওয়া উচিত তেলবিহীন ফেসওয়াশ আর স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ ক্লিনজার।
কিন্তু সব ধরনের ত্বকের জন্যই বেছে নিতে হবে ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ টোনার কারণ, মুখ পরিষ্কার করার পর।
সব ধরনের ত্বকেই আর্দ্রতার প্রয়োজন পড়ে ময়েশ্চারাইজারের ক্ষেত্রে তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করাই ভালো। বাজারে সাধারণত জেল, তেল ও সিলিকনভিত্তিক প্রাইমার পাওয়া যায়।
যেকোনো ধরনের ত্বকেই মানায় জেলভিত্তিক প্রাইমার এটি ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখতেও সহায়তা করে। তবে যাদের ত্বকে ব্রণের দাগ আছে, তাঁরা বেছে নিতে পারেন সিলিকনভিত্তিক প্রাইমার।
ফাউন্ডেশন?
মেকআপের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো ফাউন্ডেশন ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া জরুরি। শীতকালের জন্য সবচেয়ে ভালো ডুয়েল ফিনিশ ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন।
এই ফাউন্ডেশন পরিমাণে লাগে খুবই অল্প, কিন্তু সব ধরনের ত্বকেই খুব ভালোভাবে মিশে যায়। আলাদাভাবে।
বলতে গেলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেছে নিতে পারেন তেলবিহীন ফাউন্ডেশন, তেমনি স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য বেছে নিতে পারেন ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ ফাউন্ডেশন।
পাউডার?
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর এটিকে ত্বকে স্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় পাউডার এ ক্ষেত্রে সব ধরনের ত্বকেই ব্যানানা পাউডার।
বা হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাউডার ব্যবহারের পর ত্বক বেশি শুষ্ক দেখালে সেটিং স্প্রে দিয়ে পাউডার ও ফাউন্ডেশনকে সেট করে নিতে হবে।
চোখের সাজ?
চোখের সাজের ক্ষেত্রে ম্যাট ফিনিশ আইলাইনার ব্যবহার করাই শ্রেয় চোখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করতে পারেন।
ভলিউম মাসকারা। আজকাল চোখের সাজে গ্লসি আইশ্যাডো বেশ জনপ্রিয়। এর ব্যবহারে চোখে চলে আসবে ভিন্নতা।
চোখের বেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বাদামি রঙের গ্লসি আইশ্যাডো, এর ওপর হালকা শিমার দিলেই চোখের সাজ সম্পূর্ণ।
ঠোঁটের সাজ?
শীতকালে আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাব ও শরীরে পানিশূন্যতার জন্য ঠোঁট শুকিয়ে যায় শুকনো ঠোঁটে কোনো সাজই ভালো লাগে না।
এ সময় ঠোঁটে আর্দ্রতাযুক্ত লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
এরপর ব্যবহার করতে পারেন গ্লসি লিপস্টিক। কারণ, চোখের মতোই, ঠোঁটের সাজেও চলছে গ্লসি লুকের আধিপত্য।
হাইলাইটার?
মুখের ত্বক নরম ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে হাইলাইটার স্কিন টোন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে হাইলাইটার। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেছে নিতে পারেন পাউডার হাইলাইটার আর শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তরল হাইলাইটার।
মেকআপের পর সবশেষে ফিক্সিং স্প্রে দিয়ে পুরো মেকআপটিকে ঠিক করে নিতে হবে, এতে মেকআপটিও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
শীতের হালকা মেকআপ?
পোশাকের সঙ্গে মানানসই মেকআপ অনেক বেশি জরুরি কিন্তু শীতের পোশাকের সঙ্গে সাজগোছের বিষয়টি অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন।
শীতের পোশাকের সঙ্গে কেমন মেকআপ হবে, সেটি খেয়াল রাখতেই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।
পোশাকের সঙ্গে মেকআপ ঠিক রাখতে কী কী করবেন, সেটি নির্ভর করে সময়ের ওপর। তাই সময় এবং পোশাকের ধরন বুঝেই সারতে হবে শীতের মেকআপ।
মুখের মেকআপ : শীতকালে মুখের মেকআপ করার সময় একটু বেশি যতœ নিতে হবে, বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক।
মেকআপের আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাদের স্কিন ড্রাই, তাদের মুখ পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
সাধারণ থেকে অয়েলি স্কিন যাদের, তারা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। মুখে মৃত কোষ থাকলে, অল্প বেসন গুলে আলতো করে স্ক্রাবিং করে নেবেন।
যাদের মুখে ওপেন পোর্স বা সূক্ষ্ম ভাঁজ আছে, তারা অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত টোনার দিয়ে টোনিং করবেন।
এবার নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে মিলিয়ে লিকুইড ফাউন্ডেশন নিন মুখে হালকা ভেজা ভাব থাকা অবস্থায়।
ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ফাউন্ডেশনে মিশিয়ে, নিজের মুখে এবং ঘাড়ে ভালো করে মেখে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে, ফাউন্ডেশন যেন ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়।
মেকআপ করে দিনের বেলা বাইরে বেরুতে হলে মনে রাখবেন, শীতেও কিন্তু সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
তাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সানস্ক্রিন মিশিয়ে নিতে হবে এবার ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে পুরো মুখে মেখে নিতে হবে।
তবে খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে, শীতকালে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। ব্লাশার ব্যবহার করতে চাইলে, স্কিনটোনের সঙ্গে মানাবে এমন শেডই ব্যবহার করবেন।
চোখের মেকআপ : শীতে যেহেতু ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নেই, তাই চোখের মেকআপ ডার্ক হতেই পারে। যাদের শুষ্ক ত্বক, তারা প্রথমে চোখের পাশ ভালো করে ময়েশ্চারাইজড করে নেবেন।
ভ্রু যদি ঘন না হয়, তা হলে চুলের রঙের চেয়ে তিন শেড হালকা রঙের আই ব্রো পেনসিল ভ্রুতে বুলিয়ে নিতে পারেন অথবা কালচে খয়েরি রঙের আইশ্যাডোও ভ্রুতে লাগাতে পারেন।
এবার ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে আইশ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের অংশ থেকে আইশ্যাডো ক্রমশ গাঢ় থেকে ভ্রুর দিকে হালকা হবে।
ভ্রুর নিচে হালকা কিন্তু উজ্জ্বল রঙের (সিলভার, পিচ) হাইলাইটার লাগাতে পারেন। শীতকালে উজ্জ্বল রঙের আইশ্যাডো দেখতে বেশ ভালো লাগে।
তবে গায়ের রং চাপা হলে লাল, গোলাপি এবং গাঢ় শেডগুলো ব্যবহার না করাই ভালো, মেরুন, ব্রোঞ্জ, হালকা গোল্ডেন এবং যেকোনো ন্যাচারাল রংও আপনি লাগাতে পারেন।
এবার আই-লাইনারের তুলি দিয়ে উপরের চোখ মনমতো করে এঁকে নিন। এখন কিন্তু চোখ টেনে আঁকার স্টাইলটা বেশ চলছে। তবে চোখ খুব বড় হলে সরু করে লাইনার লাগাবেন।
যাদের চোখ ছোট, তারা চোখের কোণ থেকে শুরু করে চোখের বাইরে একটু বের করে লাইনার পরতে পারেন।
এতে চোখ বড় দেখাবে। এবার নিচের চোখে কাজল পেনসিল বুলিয়ে নিন। মাসকারার ব্রাশ দিয়ে ভালো করে আইল্যাশগুলো উপরের দিকে তুলে দিন।
ঠোঁটের মেকআপ : সুন্দর ঠোঁট মুখকে আরও সুন্দর করে, তাই না? কিন্তু শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি বড় সমস্যা। তাই শীতে ঠোঁট সর্বদা ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে।
মেকআপের সময় ঠোঁট ফাটা থাকলে, কিন্তু কোনো মেকআপ ভালো দেখাবে না। প্রথমে লিপলাইনার দিয়ে সুন্দর করে ঠোঁট এঁকে নিন। যাদের ঠোঁট পাতলা, তারা বাইরের দিক দিয়ে ঠোঁট এঁকে নেবেন।
ঠোঁট পুরু হলে ভেতরের দিক দিয়ে বর্ডার করবেন এবং অতিরিক্ত অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নেবেন। এবার লিপ লাইনার এবং পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে লিপস্টিক লাগান।
যাদের গায়ের রং চাপা বা ঠোঁট কালচে তাদের গ্লসি ন্যাচারাল রং ভালো লাগে। যারা ফর্সা, তারা গাঢ় থেকে হালকা যেকোনো রংই পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।
শীতের জন্য গ্লসি লিপস্টিক হলে সবচেয়ে ভালো। এ সময় ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ভুলেও ব্যবহার করতে যাবেন না,ঠোঁট আরও শুকনো দেখাবে।
যারা গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক পরতে পছন্দ করেন না, তারা লিপস্টিকের বদলে ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের মেক-আপ টিপস?
শীত যেন মেক-আপের জন্য পারফেক্ট সময় আর এখন শীত মানেই তো বিয়ের সিজন। আজ এই পার্টি তো কাল ঐ পার্টি লেগেই আছে। কিন্তু শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে থাকে খসখসে।
ফলে মেক-আপ বসতে চায় না আর ভালো দেখায় না। তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে শীতের মেক-আপ নিয়ে কিছু টিপস।
ক্লিঞ্জিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং এই রুটিন মেনে চলতে হবে রোজ, শুধু মেক-আপের আগে নয়। যেদিন মেক-আপ করবেন সেদিন মুখে লাগান আপনার প্রিয় কোন প্যাক, যা ত্বক নরম ও আর্দ্র রাখবে।
পাকা পেঁপে /পাকা কলা ও মধু দিয়ে তৈরি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ উৎসবের আগে করে, নিতে পারেন পার্লার ফেসিয়াল অনেকের বিয়ে হচ্ছে এই মৌসুমে।
শ্বশুড়বাড়িতে নানা রকম দাওয়াত আর উৎসব লেগেই থাকে সেখানে বাড়িতে তৈরি প্যাক তৈরির সুযোগ নাও থাকতে পারে।
সাথে রাখুন রেডিমেড প্যাক যেমন- হিমালয়া হারবাল ফেয়ারনেস ফেসপ্যাক /মাড প্যাক /ফ্রুট প্যাক।
মেক-আপ শুরুর পূর্বে ত্বকে লাগিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার। শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত ত্বকে।
অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ও কম্বিনেশন ত্বকের টি জোনে অয়েল ফ্রি ও বাকি অংশে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগান।
শীতে ম্যাট ফিনিসের বদলে ডিউই /শাইনি ফিনিস দেয় এমন ফাউন্ডেশন বেশি কার্যকর। অনেকের ক্ষেত্রেই শীতে গায়ের রঙ ১-২ টোন উজ্জ্বল দেখায়।
ফলে সামারে ব্যবহৃত ফাউন্ডেশনের শেড ম্যাচ করে না ও ডার্ক দেখায় তাই শীতে স্কিন টোনের সাথে শেড মিলিয়ে নেয়া জরুরী।
MAC Studio Sculpt SPF 15 Foundation, Make up Forever- HD Foundation, True Match Foundation, Maybelline Fit Me Foundation শীতে ত্বকের উপযোগী কিছু ফাউন্ডেশন। দাম পড়বে ১৬০০-৩০০০ টাকা।
বিবি ক্রিম?
হালকা মেক-আপ করতে চাইলে ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন বিবি ক্রিম। গার্নিয়ার বিবি ক্রিম এই শীতে সব ধরনের ত্বকের উপযোগী।
- কন্সিলার?
ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ ও ডার্ক স্পট ঢাকতে বেছে নিন লিকুইড বা ক্রিম কন্সিলার।
Revlon age defying spa concealer,Maybelline fit me concealer বেছে নিতে পারেন। দাম পড়বে ৪৫০-৭০০ টাকা।
- কমপ্যাক্ট পাউডার?
শীতে বেছে নিন একটু ভারী ধরনের ক্রিম কমপ্যাক্ট পাউডার, যাতে অয়েল কন্টেন্ট বেশি থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না।
MAC Studio Careblend Pressed Powder(৩০০০-৩৫০০), L’Oreal – True Match Super-Blendable Powder(২০০০-২৫০০),
Inglot Cream Powder(১৬০০) Revlon Touch & Glow Moisturizing Pressed Powder(৮০০-১০০০) টাকা।
আইশ্যাডো?
শীতে চোখের সাজে বেছে নিন ফ্রস্টি, শিমারী আইস্যাডো স্মোকি লুক বেশ মানাবে শীতের রাতের পার্টিতে।
আইশ্যাডো লাগানোর পূর্বে লাগান ক্রিম কন্সিলার ও আইপ্রাইমার। আইশ্যাডো দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি এটি আর্দ্রতাও দেবে।
পাউডার আইশ্যাডোর বদলে ক্রিম আইশ্যাডো বেছে নিতে পারেন শীতে ত্বক ফ্যাকাশে ও প্রানহীন লাগে। তাই মেক-আপে যোগ করুন গাঢ় রঙ শীতে বেছে নিন গাঢ় শেডের আইশ্যাডো।
যেমন- কপার, বারগন্ডি, গাঢ় নীল ও সবুজ, চকোলেট ব্রাউন এসব রঙ। M.A.C paint pot, Maybelline color tattoo ভালো মানের ক্রিম আইশ্যাডো।
মাদের শীতকাল মোটামুটি বৃষ্টিহীন, আর ঘামও কম হয়, তাই ওয়াটার প্রুফ মাসকারা না হলেও চলে। কালোর পাশাপাশি গাঢ় বাদামি বা নীল রঙের মাসকারাতেও রাঙ্গাতে পারেন চোখ।
চোখের ল্যাশ লাইন ও ওয়াটার লাইনে কাজল পরুন মোটা করে। চোখ ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
- ঠোঁটের সাজ?
দামী সুন্দর লিপস্টিক পরলেন অথচ ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা, সেক্ষেত্রে ভালো দেখাবে না একদমই। লিপস্টিক পরার আগে ঠোঁটে ভালো মানের লিপবাম লাগান।
লিপস্টিকের বদলে ব্যবহার করতে পারেন টিন্টেড লিপবাম আর শাইনি-গ্লসি লিপগ্লস লাগানোর উপযুক্ত সময়তো শীতই।
- যেমন-NYX Lip Cream, Maybelline super stay, Revlon lip butter, MUA lip-gloss.
- ব্লাশ-অন?
ব্লাশ শীতের মেক-আপের প্রধান আইটেম শীতের ফ্যাকাশে ত্বককে রঙ্গিন করতে বেছে নিন ব্লাশ। যাদের রঙ ফর্সা ও আন্ডারটোন পিংক, তারা বেছে নিন গোলাপি বা কোরাল শেড।
হলুদ আন্ডারটোন ও চাপা রঙ হলে- পিচ, টেরাকোটা শেড গুলো বেশি মানাবে। পাউডার ব্লাশ-অনের বদলে বেছে নিন ক্রিম ব্লাশ।
যেমন- NYX, MUA, E.L.F এর ক্রিম ব্লাশ-অন। পাবেন ৩৫০-৮০০ টাকার মধ্যে। এই শীতে গাঢ় আর শাইনি মেক-আপে হয়ে উঠুন সতেজ। রঙ্গিন আর ঝলমলে।
লেখকের মন্তব্য?
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর উপকৃত হয়ে থাকে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url