মেয়েদের ক্রিকেটে বেতন বেড়েছে, কিন্তু কত?

মেয়েদের ক্রিকেটে বেতন বেড়েছে, কিন্তু কত

নারী ক্রিকেটারদের বেতনবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ছাড়া এখন থেকে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাসও পাবেন খেলোয়াড়েরা। গতকাল বিসিবির ১৬তম সভায় বেতনবৃদ্ধি ও বোনাস এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভাশেষে বিসিবির দেওয়া সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ জন খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় চুক্তি এবং ৩০ জনকে জাতীয় চুক্তিতে নেওয়া হয়েছে। নারী ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন চারটি গ্রেডে।

এর মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন ২০২৩-২৪ মৌসুমের চেয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন বেড়েছে মাসে ১০ হাজার টাকা করে।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন নিগার সুলতানা, ফারজানা হক, ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার। তাঁরা মাসে পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে।

সর্বনিম্ন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা স্বর্ণা আক্তার, দিশা বিশ্বাসরা পাবেন মাসে ৬০ হাজার টাকা করে।

বিসিবি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে আরও ৩০ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় চুক্তিতে নেওয়া হয়েছে। এটি পুরুষদের ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের চুক্তির আদলে তৈরি। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররাই জাতীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এর মধ্যে সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদরা আছেন। জাতীয় চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধির বাইরে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য বোনাসও অনুমোদন করা হয়েছে এবার। ওয়ানডেতে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ থেকে ৩-এর মধ্যে থাকা দলের বিপক্ষে প্রতিটি জয়ের জন্য বোনাস ১ লাখ টাকা।

র‌্যাঙ্কিংয়ের ৪ থেকে ৬ নম্বর দলের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৭৫ হাজার এবং ৭ থেকে ৯ নম্বর দলের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে বোনাস দেওয়া হবে। একই বোনাস প্রযোজ্য হবে সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রেও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের বোনাস যথাক্রমে ৫০ হাজার (র‍্যাঙ্কিংয়ের ১-৩), ৩৫ হাজার (র‍্যাঙ্কিংয়ের ৪-৬) ও ৩০ হাজার টাকা (র‍্যাঙ্কিংয়ের ৭-৯)। সিরিজ জিতলেও পাওয়া যাবে সমপরিমাণ বোনাস।

মোটের ওপর ছেলেদের ক্রিকেটের তুলনায় মেয়েদের ক্রিকেটের বেতন-বোনাস অবশ্য কমই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পুরুষ ক্রিকেটে সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছে ২১ খেলোয়াড়কে।

পাঁচ ক্যাটাগরির মধ্যে সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা নাজমুল হোসেন প্রতি মাসে টেস্টের জন্য সাড়ে ৪ লাখ, ওয়ানডের জন্য ২ লাখ এবং টি-টোয়েন্টির জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।

৩-০ এর চেয়েও বড় যা পেল মেয়েরা?

বিশাল বড় কিছুর জন্য সামনে বড় লক্ষ্য থাকা চাই। তাতে লক্ষ্য পূরণ হোক বা না হোক, অন্তত একটু বেশি পথ এগোনো যায়।

আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে সিরিজটার কথাই ধরুন। আজ ৩-০তে জেতা এই সিরিজ বাংলাদেশ শুরু করেছিল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি দেখতে দেখতে। সে স্বপ্ন পূরণ করতে আরও দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে নিগার সুলতানার দলকে।

তবে এটাও তো ঠিক, বিশ্বকাপ খেলার অনুপ্রেরণা আয়ারল্যান্ড সিরিজে কিছুটা হলেও তাঁতিয়ে দিতে পেরেছিল তাদের। হয়তো সেটারই ফল ৩-০

সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক নিগার বলেছিলেন, বিশ্বকাপ অনেক পরে। তার আগে এই সিরিজটা তারা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের ধবলধোলাইয়ের পর এখন তিনি দাবি করতেই পারেন, তাঁরা সফল। সামনে এখন জানুয়ারির ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর।

ম্যাচ ধরে ধরে খেলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিতে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের অন্তত দুটি জিতলেই আগামী বছর জুলাইয়ে ভারতে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ।

মিরপুরে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজ শেষ ম্যাচটাও বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে সহজে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক গ্যাবি লুইসের ফিফটির (৭৯ বলে ৫২) সৌজন্য ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৮৫ রান করেছিল আইরিশ মেয়েরা।

জবাবে বাংলাদেশ নারী দল ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে ৭৫ হাতে রেখেই। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ফারজানা হক আর শারমিন আক্তার যেভাবে খেলছিলেন, জয়টা কেন ৯ উইকেটেই এল না, সে আফসোস থাকতেই পারে বাংলাদেশের।

সিরিজের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের বড় প্রাপ্তি ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। এমনিতে ব্যাটিংটাই এই দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। বড় শট খেলার সামর্থ্যই বলুন বা এক-দুই করে রান বাড়ানো, কোনোটাই খুব একটা সুবিধার নয়।

তার ওপর গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের তিন ম্যাচে একবারও তিন অঙ্ক দেখেনি বাংলাদেশের মেয়েদের ইনিংস। ৯৫, ৯৭, ৮৯—এই ছিল অবস্থা।

এরপরের সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ করে ফেলল ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর ২৫২ রান। ম্যাচ জিতল ১৫৪ রানে, যা কিনা নিজেদের সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ডও।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের ১৯৩ তাড়া করে ৬.১ ওভার বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় সিরিজ জয়ই। এরপর আজ ৭ উইকেটের জয়ে হলো ৩-০।

তিন ওয়ানডের সিরিজে প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ নারী দল এর আগে একবারই ধবলধোলাই করেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে নারী দলের বিপক্ষে এসেছিল সেই জয়।

ব্যাটিংয়ের কথা যেহেতু আলাদা করে বলাই হচ্ছে, শারমিন আক্তারের কথাটা বিশেষভাবে না বললেই নয়। প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৩ এবং মিরপুরে আজ শেষ ম্যাচে ৮৮ বলে ৭২ রান।

ম্যাগুইয়ারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেওয়ার আগে মেরেছেন ১১ বাউন্ডারি। ব্যাট হাতে শারমিনের ধারাবাহিকতাকে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বদলে যাওয়া ধারার সঙ্গে মেলাতে পারেন।

অথবা বিষয়টা এভাবেও দেখা যায় যে, শারমিন বদলে গেছেন বলেই বদলে গেছে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং।

২০২২ সালের পর ফর্মের অভাবে দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন । মাঝে গত বছরের জুলাইয়ে মিরপুরে ভারত নারী দলের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়ে শারমিন করেছিলেন ০ আর ২।

মাঝে কিছুদিন বর্তমানে জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন। এরপর এই সিরিজে দলে ফিরে শারমিন ফিরে পেলেন নিজেকেও।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা ফিরে পাওয়ায় কৃতিত্ব দিতে হবে ওপেনার ফারজানা হক এবং অধিনায়ক নিগারকেও। সিরিজের তিন ম্যাচে ফারজানার রান ৬১, ৫০ ও ৬১।

আজ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনিং সঙ্গী মুর্শিদা খাতুনকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে শারমিনের সঙ্গে ফারজানার ১৪১ রানের জুটিতেই জয়ের কাছে চলে যায় বাংলাদেশ নারী দল।

এরপর অবশ্য এক ওভারের ব্যবধানে বিদায় নিয়েছেন শারমিন, ফারজানা দুজনই। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশের জয়টা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সময়ের ব্যাপার।

প্রথম দুই ম্যাচে ২৮ ও ৪০ রান করা নিগার আজ অপরাজিত ১৮ বলে ১৮ রান করে। সোবহানা মুশতারিকে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন তিনিই।

ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে পাওয়ার বৃত্তান্তে মারুফা-নাহিদাদের বোলিং কৃতিত্বটা কি হারিয়ে যাচ্ছে? বোলিংটাই কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েদের শক্তির জায়গা এবং এবারও সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বোলাররা।

ঘরের মাঠের কন্ডিশনে আইরিশ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে শৃঙ্খল পরিয়ে রাখতে আজও সফল তিন লেগ স্পিনার রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তার।

প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও আজ ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাহিমাই সবচেয়ে সফল। আর কৃপণ বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে অফ স্পিনার সুলতানা খাতুন ২ উইকেট নিয়েছেন ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে।

রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। বেশ কয়েকজন পরিচালকের পদত্যাগ এবং ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত পাঁচটি বোর্ড সভা হয়েছে।

এই সভায় দেশের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। কেবল তাই নয়, নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি এবং উইনিং বোনাসও বাড়তে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। বেশ কয়েকজন পরিচালকের পদত্যাগ এবং ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত পাঁচটি বোর্ড সভা হয়েছে।

২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের নতুন বেতন কাঠামো প্রয়োগ করা হবে জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

বিসিবির বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, নারী দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ছে মাসে ২০ হাজার টাকা হারে।

ফলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ২০ হাজার এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ টাকায়।

এ ছাড়া ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতনও ১০ হাজার টাকা করে বাড়ছে। নতুন বেতন কাঠামোয় ‘সি’ ক্যাটাগরি ৭০ হাজার এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির জন্য মাসে ৬০ হাজার টাকা।

বরাদ্দ করা হয়েছে, একইসঙ্গে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ও উইনিং বোনাসও বাড়ছে আকর্ষণীয় অঙ্কে।

এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, এখন থেকে নারী ক্রিকেটাররা ১–৩ নম্বর র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলকে হারাতে পারলে প্রতি ওয়ানডেতে ১ লাখ টাকা করে পাবে। এ ছাড়া ৪–৬ র‌্যাঙ্কিংধারীদের বিপক্ষে ৭৫ হাজার এবং ৭–৯ নম্বরে থাকা দলের সঙ্গে জিতলে পাবে ৫০ হাজার টাকা।

টি-টোয়েন্টিতে ১–৩ নম্বরের দলকে হারালে ৫০হাজার, ৪–৬ নম্বর দলের বিপক্ষে ৩৫ হাজার এবং ৭–৯ র‌্যাঙ্কিংয়ের দলকে হারালে ৩০ হাজার টাকা করে পাবে।’ এই দুই ফরম্যাটে সিরিজ জিতলেও একইভাবে বোনাস দেওয়া হবে জাতীয় নারী দলকে।

এর আগে ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন,

এ ক্যাটাগরি : নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারজানা হক পিংকী ও নাহিদা আক্তার,
বি ক্যাটাগরি : ফাহিমা খাতুন, শামীমা সুলতানা, শারমিন আক্তার সুপ্তা, মুর্শিদা খাতুন, মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান।

সি ক্যাটাগরি : সোবহানা মোস্তারি, লতা মন্ডল, জাহানারা আক্তার ও সোমা আক্তার
ডি ক্যাটাগরি : দিশা বিশ্বাস, সুলতানা খাতুন, দিলারা আক্তার ও সাথী রানি

এদিকে, নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ১৮ জন থাকলেও, আরও ৩০ জন রয়েছেন ঘরোয়া চুক্তির অধীনে।

নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি?

নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের বেতনবৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল ১৬ তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে আরও ৩০ ক্রিকেটারের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে বোর্ড সভায়। পাশাপাশি এখন থেকে পুরুষ দলের মতো ম্যাচ জয়ের বোনাসের কথাও জানিয়েছেন।

সম্প্রতি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। সেই দলের কোচিং স্টাফসহ প্রত্যেক সদস্যকে পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদের বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নারী ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৮ জন।

এর বাইরে আরও ত্রিশজনকে চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জাতীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার খবর জানান বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।

নতুন এই চুক্তি নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তি একটা আছে আপনারা জানেন।

এর সঙ্গে আরও ত্রিশ জন ক্রিকেটারকে, ছেলেদের যেমন জাতীয় লিগ যারা খেলে তাদের চুক্তি আছে, তেমনই ত্রিশজন মেয়ের জন্য একটা চুক্তি আনব আমরা।

পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন পারিশ্রমিকের অঙ্ক, চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা ও জয়ের বোনাসের পরিমাণও জানিয়েছে বিসিবি।

৪ জন ‘এ’ গ্রেডে আছেন যারা পাবেন সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক পারিশ্রমিক। এছাড়া ১ লাখ টাকা পাবেন ‘বি’ গ্রেডে থাকা ৬ জন, ৭০ হাজার টাকার ‘সি’ গ্রেডের ৪ জন ও ৬০ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ‘ডি’ গ্রেডে আছেন ৪ জন।

এ’ ও ‘বি’ গ্রেডে ২০ হাজার এবং ‘সি’ ও ডি গ্রেডে বাড়ানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে।

জাতীয় চুক্তিভুক্ত ত্রিশ ক্রিকেটার: সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, ইশমা তানজিম, ফারিহা ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার। শারমিন সুলতানা, রুবাইয়া হায়দার, ফারজানা আক্তার, সুরাইয়া আজমিম।

নিশিতা আক্তার, শম্পা বিশ্বাস, জান্নাতুল ফেরদৌস, সাবিকুন নাহার, সানজিদা আক্তার।

ফাতেমা জাহান, রেয়া আক্ত্র, মিষ্টি রানি, জান্নাতুল ফেরদৌস, আয়েশা আক্তার, ফুয়ারা বেগম, মোসাম্মত ঈভা। সুমাইয়া আক্তার, জান্নাতুল মাওয়া, দিপা খাতুন, আফিয়া আসিমা, উন্নতি আক্তার, তাজ নেহার, শরিফা খাতুন।

এর বাইরে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন দলের কারো বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ জয় করলে ১ লাখ টাকা, ৪ থেকে ৬ র‌্যাঙ্কিংয়ের। দলগুলোর বিপক্ষে জয়ে ৭৫ হাজার এবং ৭ থেকে ৯ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে জিতলে ৫০ হাজার টাকা করে বোনাস পাবেন প্রত্যেক ক্রিকেটার।

টি-টোয়েন্টিতে এই অঙ্ক যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩৫ হাজার ও ৩০ হাজার। এর সঙ্গে সিরিজ জিতলেও একই পরিমাণ টাকা বোনাস পাবেন তারা।

জেসুসের জোড়া গোলে আর্সেনালের বড় জয়?

জেসুসের জোড়া গোলে আর্সেনালের বড় জয়

ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। এমন পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে দলটি। এই ম্যাচে আর্সেনালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

বাকি তিন গোল করেন কাই হাভার্ৎজ, গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি এবং ডেকলান রাইস।
দারুণ এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল।

একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লিগ কাপে গেল বুধবার ৩-২ গোলে জয়ের দেখা পাওয়া মিকেল আর্তেতার দল এবার জিতল ৫-১ ব্যবধানে। সেই ম্যাচে জেসুস পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। আর এই ম্যাচে করলেন জোড়া গোল।

ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে লিড এনে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ক্রিস্টালের ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে তা জালে পাঠান তিনি। লিডে যাওয়ার ৫ মিনিট পর গোল হজম করে আর্সেনাল। ১১ মিনিটে ইসমাইলা সার প্যালেসের হয়ে সমতা ফেরান।

প্যালেসের সমতা ফেরানো গোলের তিন মিনিট পর কর্নার থেকে পাওয়া বল জোরালো শটে জালে পাঠিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জেসুস।

৩৮ মিনিটে আরও একবার এগিয়ে যায় আর্সেনাল দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন কাই হাভার্ৎজ। বিরতিতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্তেতার দল।

ক্রিস্টাল প্যালেস বেশ কয়েকবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু আর্সেনালের গোলরক্ষক দাভিদ রায়ার দৃঢ়তায় বারবার ব্যর্থ হয় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে জেসুসের শট ফিরিয়ে দেন প্যালেসের গোলকিপার। তবে ফিরতি বলে গোল করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ৮৪ মিনিটে ডেকলান রাইস দুর্দান্ত শটে পঞ্চম গোলটি করেন।

১৭ ম্যাচে ৯ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট পাওয়া আর্সেনালের অবস্থান তৃতীয়। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে চেলসি। ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।

লেখকের মন্তব্য ?
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর উপকৃত হয়ে থাকে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন।

সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url