অনলাইনে যেভাবে টাকা আয় করা যায়?
আপনি কি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। তাছাড়া আমাদের এই পোস্টে আপনাকে কোটি টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কেও অবগত করানো হবে।
অনলাইনে যেভাবে টাকা আয় করা যায়?
প্রযুক্তি আমাদের জীবন ও কর্মে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। দুনিয়াজুড়ে বাড়ছে অনলাইন জগতের প্রতি নির্ভরতা। অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জনের নানান পথ তৈরি হয়েছে। এসব কাজ যেমন আরামদায়ক, তেমনি সৃজনশীলও বলা যায়।
শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণী কিংবা নিয়মিত চাকরি করছেন এমন ব্যক্তিরাও অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে বসে অনলাইনে যেভাবে ডলার বা টাকা আয় করবেন, তা জানতে আমরা আলাপ করেছি তেমনই কিছু পেশাদার ব্যক্তির সঙ্গে। চলুন জেনে নিই কীভাবে অনলাইনে আয় করা যায়।
আধেয় বা কনটেন্ট তৈরি করে আয় করুন?
এক দশকের বেশি সময় ধরেই অনলাইনে বড় ধরনের টাকা আয়ের সুযোগ আছে। আপওয়ার্ক, ফাইবারসহ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে ঢুঁ মারতে পারেন কনটেন্ট-সংক্রান্ত সুযোগ দেখতে। এ ছাড়া ফেসবুক বা লিংকডইন থেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কনটেন্ট তৈরির কাজের খোঁজ পাবেন।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহফুজ কায়সার বলেন, ‘এখন অনলাইনে নানান ধরনের কনটেন্টের চাহিদা। যে পরিমাণ চাহিদা, সেই পরিমাণ কনটেন্ট লেখক নেই। তাই নিজের মধ্যে সেই গুণ থাকলে কাজে লেগে পড়তে পারেন আপনিও।
কনটেন্টের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনি সেখান থেকে পারিশ্রমিক পাবেন। সাধারণ ভিডিও চিত্রনাট্য তৈরি বা ফেসবুকে নিয়মিত লেখার মাধ্যমে, মাসে ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকা আয় সম্ভব।
আইটি উদ্যোক্তা মাহামুদুল হাসান মাসুম বলেন ফ্রিল্যান্স ডিজাইন সোশ্যাল মিডিয়া। রিমোট ডেটা এন্ট্রির মতো কাজ করে টাকা আয়ের সুযোগ আছে এসব কাজের জন্য।
যে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে হবে বিষয়টি এমন নয় আপনি চাইলে ইউটিউবের ভিডিও দেখেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। সাধারণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেই এসব কাজ শুরু করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট?
এখন ফেসবুকের মাধ্যমে এফ–কমার্স বিস্তৃত হচ্ছে আবার ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্যাশন ও ডিজাইননির্ভর উদ্যোগের বিকাশ ঘটছে। উদ্যোক্তারা এসব প্ল্যাটফর্মে নিজেদের পণ্য ও সেবা বিক্রির কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজের ও টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
নারী উদ্যোক্তা ও অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম অরাম বাংলাদেশের প্রধান নিশাত আনজুম বলেন, আমাদের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে পণ্যের অর্ডার আসে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট, ছবি বা ভিডিও শেয়ারের বিষয়গুলো যেনতেনভাবে করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে তরুণেরা কাজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে মাসে ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব ঘরে বসে।
নিজের হাতের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেই আপনি সেসব সেরে নিতে পারবেন। কেউ কেউ আরও দক্ষ লোকবল খোঁজেন, যাঁদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুকের নানা পোস্ট তৈরি, পোস্ট আপলোড, কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি করেন। এসব পেজের ম্যানেজার হিসেবে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার নয়।
ডিজাইন করে আয়ের সুযোগ?
যাঁদের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আছে, তাঁরা ডিজাইননির্ভর সৃজনশীল কাজে মাসে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। ক্যানভা বা অ্যাডোবি প্রিমিয়ার, ইনডিজাইনের মতো সফটওয়্যারের ব্যবহার জানা থাকলে বড় বড় প্রজেক্টেও কাজের সুযোগ থাকে।
ইয়েলো র্যাপটর ডিজাইন স্টুডিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য আহমেদ বলেন, একটু দক্ষতা থাকলে ব্র্যান্ড ডিজাইন, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, থ্রিডি মডেল বা ক্যারেক্টার ডিজাইনের মতো কাজের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ আছে।
আইটি উদ্যোক্তা জি এম আরাফাত আকবর বলেন, নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে কোর্স তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। ডেটা এন্ট্রি ও অনলাইন কাস্টমার সাপোর্টের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা যায়। রিমোট জব, ফ্রিল্যান্সিং, আইটি বা আইটিইএস সার্ভিস বা সফটওয়্যার এক্সপোর্টের মতো কাজ জানা থাকলে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন।
গিগ ইকোনমিতে যুক্ত হোন?
এখন তো প্রযুক্তিনির্ভর অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। ফুড ডেলিভারি বা রাইড শেয়ারিংয়ের মতো সুযোগ বিস্তৃত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয়ের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অ্যাপনির্ভর বিভিন্ন সেবার জন্য রাইডার হিসেবে কাজের সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি গিগ ইকোনমির পরিপ্রেক্ষিতে এমন অ্যাপনির্ভর সেবায় সেবা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন।
যাঁরা পেশাজীবী, গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালাতে পারেন, তাঁরা অ্যাপের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিং সেবা দিতে পারেন।’ এসব কাজ করেও মাসে ১০ থেকে ২০ টাকার টাকা আয় করা যায় পড়াশোনার সময়টুকু বাঁচিয়ে।
ব্লগ তৈরি করে অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করুন?
পশ্চিমা দুনিয়ায় অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং ভীষণ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে বসেও সেসব দেশের অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করতে পারেন। অনলাইনে কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপরে বিশদ লিখে সেই ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ই–কমার্সের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।
সেই বিজ্ঞাপন থেকে গ্রাহকেরা কোনো পণ্য কিনলে তখন আপনি নির্ধারিত অর্থ পাবেন। আপনি যে বিষয়ে জানেন কিংবা লিখতে পারেন, সেই বিষয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন। এখন দেশীয় অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করছে। আপনি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
ভিডিওতে অর্থ আয়ের সুযোগ?
এখন তো সবাই মোবাইলে ভিডিও তৈরি করতে পারেন বলা যায়। শুধু ভিডিও তৈরি নয়, মোবাইলে ভিডিও সম্পাদনার সুযোগ আছে। আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে, সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করেও অর্থ আয়ের সুযোগ আছে। বিভিন্ন ভিডিও ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শেয়ারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অর্থ আয়ের সুযোগ আছে।
ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বা ফেসবুক থেকে ভিডিও বানিয়ে আয় করতে চাইলে অবশ্য শুরুতে আপনাকে কিছুটা পরিশ্রম করতে হবে। মানে লেগে থাকতে হবে ভালো কনটেন্ট বানাতে পারলে দ্রুত আপনার ভিউ বাড়বে, আর আপনি ডলারে আয় শুরু করতে পারবেন।
মধ্যম মানের ইউটিউবার হয়েও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন ঘরে বসে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ভিডিও রিভিউ করে অর্থ আয় করা যায়। এসব কাজ যাঁরা করেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য রিভিউ করার আগে একটা নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি হয়। এভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকাও আয় করা যায়।
ভাড়া যখন নতুন আয়ের মাধ্যম?
এখন অনলাইনের মাধ্যমে এয়ারবি এনবি বা কাউচসার্ফিং ধারণা বেশ জনপ্রিয়। আপনার বাড়ি কিংবা ঘরের অব্যবহৃত অংশ অনলাইনে ভাড়া দিয়ে পর্যটক আকর্ষণ করতে পারেন। এতে বিদেশি পর্যটকেরা আপনার বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনার কোনো সাইকেল বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থাকলেও তা অনলাইনে ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এসব মাধ্যম থেকেও ভাড়া বাবদ ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
অনলাইন শিক্ষকতা?
অনেক বিদেশি বাঙালি আছেন, যাঁরা সন্তানদের বাংলা শেখাতে চান। আপনার উচ্চারণ ভালো হলে, আবৃত্তির নেশা থাকলে এ কাজ করে আপনি পেতে পারেন ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকাও। অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র পড়িয়েও ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। জ্যামের শহরে বাইরে না বেরিয়ে টাকা আয়ের এ সুযোগ কাজে লাগাবেন নাকি।
ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করার উপায়?
ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত এক্টিভ ইনকাম কি সেই সম্পর্কে। এক্টিভ ইনকাম হলো এমন একটি ইনকাম ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আপনি দিনের টাকা দিনে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনি যদি আজকে একটা কাজ করেন বা পোস্ট লিখেন তাহলে সেই পোস্ট লিখার জন্য নির্ধারিত টাকাটি আপনি আজকেই পেয়ে যাবেন। আর আপনি যদি কাজ না করেন তাহলে টাকা পাবেন না।
বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটে থাকা ব্যক্তিদের কাছে আপনার লেখা পোস্ট, আপনার বানানো ছবি এবং আপনার এডিট করা ভিডিও সহজেই সেল দিতে পারবেন। কিংবা আপনি তাদের সাইটে পোস্ট লিখে এক্টিভ ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ওয়েবসাইটের নাম হল।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়?
বর্তমানে প্রচুর মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে অ্যাক্টিভ ইনকাম করলেও এমন অনেক মানুষ আছে যারা ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনা করে। যার ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে চাই। যদি আপনিও তাদের মধ্যে একজন হন তাহলে অবশ্যই এই টপিকটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি জানতে পারবেন যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই সবার প্রথমে আপনার যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট। হ্যাঁ, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি নিজের ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে। যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে কাজ না করেও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। কিভাবে চলুন সেটিও জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মালিকরা প্রথমদিকে এমন ভাবে কাজ করেছে যে, এখন তারা বসে থেকেই মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে পাচ্ছে। আপনিও পারবেন যদি আপনি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানেন এবং আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন এবং সেখানে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখতে লিখতে যেদিন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসছে সেদিন আপনি গুগল এডসেন্স এপ্লাই করতে পারেন। যার ফলে গুগল এডসেন্স আপনাকে যে এড গুলো দিবে সে এড আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং সেই অ্যাডগুলো আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করার ফলে যেই আপনার ওয়েবসাইটে আসুক না কেন আপনার যেকোনো পোস্ট চালু করলে সবার প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাড দেখতে পাবে।
যার ফলে প্রতি মাসে গুগল এডসেন্স আপনাকে ডলার দিবে যেটা আপনি আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন। এখন সেটা আপনার পরিশ্রম পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। আপনি প্রথমদিকে যত পরিশ্রম দিবেন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরও তত বেশি আসবে এবং আপনি ততটাই দ্রুত এডসেন্স এপ্লাই করতে পারবেন। এডসেন্সে এপ্লাই করার পরেও আপনি যদি প্রচুর কাজ করেন এবং প্রচুর কন্টেন্ট লিখে রাখেন।
যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে এবং আপনি পরবর্তীতে আরামে বসে থেকেই মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে এই ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম।
ব্লগিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় অনলাইন ইনকামের উপায়?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর পরের ব্লগিং এর অবস্থান বলা যায় কেননা বর্তমানে প্রচুর মানুষ ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু এক কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। আপনিও করতে পারবেন যদি আপনি একটু পরিশ্রম ও ধৈর্য দিতে পারেন। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে ব্লগিংয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দনীয়তা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে জানতে হবে যে ব্লগিং কি।
ব্লগ হল এমন একটি ডাইরি বা খাতা যেখানে ব্লগার তার মনের ভাব, পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে। যা পড়ে মানুষ উপকৃত হতে পারে। এই ব্লগিং করে প্রচুর মানুষ খুব সহজেই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছে। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ব্লগিং করে কিভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়। এমন প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি নিজে ওয়েব সাইটে ব্লগিং করতে পারেন তাহলে একসময় আপনি প্রতি মাসে ফিক্সড ইনকাম হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করেও পেতে পারেন। আর যদি আপনারা এক্টিভ ইনকাম করতে চান তাহলে পূর্বে যেই সাইটগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সাইটগুলোতেই অন্যের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
তাহলে আপনি যদি ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সেটি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সেই বিষয়ে কোনো কোর্স করে নিবেন কিংবা আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও কোর্স করে নিতে পারেন। তাহলে আশ করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে ব্লগিং করে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে ব্লগিং করে আয় করা আপনার সবচেয়ে সহজ হতে পারে।
কোটি টাকা আয় করার উপায়?
উপরে বর্ণিত সকল কাজ করে আপনি খুব সহজেই মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন উপরে এমন কিছু বিষয় বা টপিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি সেগুলো না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাকি কথাগুলো পড়বেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কোন কাজগুলো করলে আপনি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন।
উপরে বর্ণিত ফ্রীলান্সিং, ব্লগিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউটিউবিং এবং রিসলিং করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তাছাড়া উপরে বর্ণিত নিজের কোচিং সেন্টার থেকে, কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে, পাইকারি ব্যবসা ইত্যাদি করে আপনি অফলাইন থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনি চাইলে এ সকল বিষয়ে অবলম্বন করে সহজেই কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়?
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় ব্লগিং করে আয় ঘরে বসে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। ঘরে বসে হন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় কন্টেন্ট রাইটার/ আর্টিকেল লিখে আয় করুন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কি কি উপায় অবলম্বন করলে বা কোন কোন বিষয়ে জানা থাকলে বা ইনকাম করতে পারলে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে কোটি টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারবেন। যদি আপনি এগুলো সঠিক নিয়মে করতে পারেন তাহলে এগুলো হতে পারে আপনার জন্য কোটি টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম।
মোবাইলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
হ্যাঁ মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিছু কাজ করতে পারেন। যেমন ইউটিউব, কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
বাংলাদেশের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি ?
ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং সাইট আপওয়ার্ক ফাইভার ফ্রিল্যান্সার ডট কম পিপল পার আওয়ার গুরু ডট কম।
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে, যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, লেখালেখি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি এবং অন্যান্য। ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর-গুলির গুরুত্ব বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতা উপর নির্ভর করে।
বর্তমানের সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম। অনলাইনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বা বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
পোস্ট ট্যাগ ?
আশা করছি আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। যে কোন ইনকামটা করলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে এবং কোন ইনকামটার মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি এই পোস্টে এমন কোন লাইন থাকে বা এমন কোন বিষয় থাকে যেটা আপনি বুঝতে পারছেন না। সেই বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে অবগত করুন যোগাযোগ পেইজ বা কমেন্টের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান কোনটি?
ইশিখনে ক্লাসের সুবিধাসমূহ: ঢাকার স্বনামধন্য, দক্ষ ও পেশাদার অনলাইন প্রফেশনাল, ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তা কর্তৃক ক্লাস।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে?
বিনামূল্যে: অনলাইনে অনেক বিনামূল্যের রিসোর্স আছে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। যেমন ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ব্লগ পোস্ট ওয়েবসাইট অনলাইন কোর্স প্রিমিয়াম। অনলাইন কোর্স ৳2,000 ৳20,000.প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান: ৳10,000 ৳50,000.।
লেখকের মন্তব্য?
আপনি কি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। তাছাড়া আমাদের এই পোস্টে আপনাকে কোটি টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কেও অবগত করানো হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম,হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url