হোস্টেলের খাবার তালিকা?

বাংলাদেশের ২০ টি জনপ্রিয় খাবারের তালিকা

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নিজস্ব জনপ্রিয় খাবারের ভাণ্ডার রয়েছে এমনকি কিছু খাবার তার জেলার নামেই সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে। যেমন আমরা বিষয়ে জানি যা পুরো দেশ জুড়েই বিখ্যাত। এমন আরও অনেক খাবার আছে যা প্রমাণ করে যে আমরা ভোজন রসিক সংস্কৃতিমনা মানুষ। নিচে বাংলাদেশের ২০ টি জনপ্রিয় খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশের ২০ টি জনপ্রিয় খাবারের তালিকা

বাঙালি একটি ভোজন প্রিয় জাতি যদিও আমরা আমাদের মাছে ভাতে বাঙালি বলি তবে এই দুইটি বাদেও আমাদের খাদ্য তালিকায় আরও অনেক মুখরোচক খাবার আছে। নিচে বাংলাদেশের ২০ টি জনপ্রিয় খাবারের সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো।

বিরিয়ানি

বিরিয়ানি একটি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী খাবার বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এর অসাধারণ স্বাদ এবং গন্ধের কারণে সারা দেশে এর জনপ্রিয়তা সবার তুঙ্গে। বিয়ে বাড়ি থেকে ছোট বড় সকল আচার-অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি না থাকলে কোন আনন্দই হয় না।

 বাংলাদেশের মধ্যে পুরান ঢাকা বিরিয়ানির জন্য সব থেকে বেশি বিখ্যাত। এখানে আপনি বিভিন্ন প্রকৃতির বিরিয়ানি এবং পোলাও পাবেন। তাছাড়া পুরো দেশের যে কোনো জায়গায় রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেতে পারবেন।

মোরগ পোলাও

মোরগ আর পোলাও এর চাল দিয়ে তৈরি পোলাওকে মোরগ পোলাও বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে এই খাবার পাওয়া যায়। সাধারণত মোরগকে চারভাগ করে তার অংশ আলাদা রান্না করে প্লেট ভর্তি পোলাও এর ভেতরে দিয়ে দেওয়া হয়।

 পরবর্তীতে লেবু ও শসা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। দাম এবং স্বাদের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায় যে কত অল্প খরচে এরকম একটি ফুল মিল খাওয়া যায়।

চটপটি

বাংলাদেশে যতগুলো স্ট্রিট ফুড আছে চটপটি তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার। সাধারণত রাস্তার ধারে বা কোনো দৃষ্টিনন্দন জায়গায় চটপটির দোকান পাওয়া যায়। চটপটি তৈরি করা হয় ছোলার ডাল, ফুচকার পাঁপর, ডিম এবং তেঁতুলের টক দিয়ে যা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং স্পাইসি। তাছাড়া মেয়ে মানুষ চটপটি খেতে পুরুষের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি পছন্দ করে।

ফুচকা

চটপটি যেমন বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুড হিসেবে অনেক জনপ্রিয় ঠিক তেমনি ফুচকা এ দেশের মানুষের পছন্দের খাবার। ছোট থেকে বড় সবাই তেঁতুলের টক ভর্তি করা একেকটি ফুচকা মুখে পুরে চোখ বন্ধ করে স্বাদ গ্রহণ করে। 

যাইহোক, ফুচকা তৈরি করা হয় পাঁপর, আলু ভর্তা, শসা, ডিম ও তেঁতুলের টক দিয়ে। সাধারণত প্রতিটি ফুচকা পাঁপরের ভেতরে ফুঁটা করে তার মধ্যে আলু, ডিম এবং শসা মিলিয়ে তৈরি করা ভর্তা রাখা হয়। তারপর তা তেঁতুলের জলে ডুবিয়ে খাওয়া হয়।

হালিম

তন্দুরি রুটি বা নান রুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য হালিম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। রুটি ছাড়াও আপনি এমনি বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে হালিম খেতে পারবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুড হিসেবে খাসির এবং গরুর হালিম পাওয়া যায়। আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে খাসি বা গরু দিয়ে তৈরি হালিম খেতে পারেন।

খিচুড়ি

ভুনা খিচুড়ি একটি অসাধারণ খাবারের নাম এটি একটি অনেক জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার। ভুনা খিচুড়ির একটি বিশেষত্ব হলো এটি আপনি খালি অথবা যে কোন মাংস দিয়েই খেতে পারবেন। বৃষ্টির দিনে এই খিচুড়ির কোনো বিকল্প নাই।

 যাইহোক ভুনা খিচুড়ি তৈরি করার জন্য আপনার চাল, ডাল, তেল সহ অন্যান্য রান্নার উপকরণ প্রয়োজন পরবে। এর স্বাদ আরও বৃদ্ধি করতে আপনি সাথে মাংস মিশ্রণ করে দেখতে পারেন।

দই

দই একটি দুগ্ধজাত খাবার বগুড়ার দই পুরো দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় কারণ এই দই স্বাদে হয় মিষ্টি এবং হজম শক্তি বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কোনো অনুষ্ঠানে ভারী খাবার খাওয়ার পর একটু দই খেলে অস্বস্তি লাগে না। তাছাড়া টক দই ব্যবহার করে অনেক সুস্বাদু রান্না করা যায়।

রসমালাই

রসমালাই একটি দুগ্ধজাত মিষ্টি জাতীয় খাবার রসমালাই তৈরি করা হয় দুধের ছানার সাথে হালকা একটু ময়দা এবং চিনি মিশ্রণ করে। এটি দেখতে যেমন রসালো হয় তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু। ছোট থেকে বড় সবাই রসমালাই খেতে পছন্দ করে। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান বাদেও রেস্টুরেন্টে উন্নতমানের রসমালাই পাওয়া যায়।

মেজবানি গরুর মাংস

মেজবানি গরুর মাংসের মেজবান নামটি এসেছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা থেকে সেখানে অতিথি আপ্যায়নের প্রথাকে মেজবানি বলা হয়। যাইহোক মেজবানি গরুর মাংস রান্না করার জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এর সাথে সাথে একটি বিশেষ উপকরণ দিতে হয় যা খাবারের স্বাদ অনেকগুণ বৃদ্ধি করে।

কাবাব

কাবাব একটি মোঘল আমলের সুস্বাদু খাবারের নাম বর্তমান সময়ে পুরো দেশ জুড়ে এর স্বাদের জন্য কাবাব অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাংসের পাশাপাশি মাছ দিয়েও নানা পদের কাবাব তৈরি করা যায়।

 বাংলাদেশে সব থেকে বেশি শিক কাবাব, টুন্ডা কাবাব, টিক্কা কাবাব, রেসমি কাবাব, বটি কাবাব, টেংরি কাবাব সহ অনেক মাছের কাবাব জনপ্রিয়।

ইলিশ মাছ

ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় মাছ


আমরা জানি বাঙালি মানে হলো মাছে ভাতে বাঙালি এবং ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। নদী মাতৃক দেশে ইলিশ মাছ অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা অতিথি আপ্যায়নে ইলিশ মাছের নানান পদ পরিবেশন করা হয়। এই মাছের সাথে আমাদের সবার অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে।

বাকরখানি

বাকরখানি একটি সকাল এবং বিকালের নাস্তা খাওয়ার আইটেম এই খাবার পুরান ঢাকায় সব থেকে বেশি প্রচলিত। বাকরখানি তৈরি করা হয় আটা/ময়দা, লবণ, তেল এবং চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এ কারণে এই খাবার মিষ্টি ও নোনতা দুই ভাবেই পাওয়া যায়। অন্যদিকে দুধ চায়ের সাথে বাকরখানি খেতে অনেক সুস্বাদু।

মাংসের কালাভুনা

মাংস দিয়ে তৈরি করা এটি একটি বিশেষ খাবার দেশের বিভিন্ন খাবার হোটেলে প্রখ্যাত মাংসের কালাভুনা পাওয়া যায়। সাধারণত কালাভুনা বলতে আমরা গরু ও খাসির মাংস বিশেষ পদ্ধতিতে রান্না করে পরিবেশন করাকে বুঝি। এটিও একটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কিন্তু জনপ্রিয় খাবার।

শুঁটকি

বিভিন্ন মাছের শুঁটকি আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুঁটকি যেমন সুস্বাদু তেমনি এতে রয়েছে অনেক অনেক পুষ্টিগুণ। সাগর এলাকায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি পাওয়া যায় যা খেতে অনেক সুস্বাদু। অনেকেই নিজস্বভাবে বাসায় মাছের শুঁটকি তৈরি করে ভুনা হিসেবে বা তরকারিতে দিয়ে খেতে পছন্দ করে।

চিংড়ি মাছের মালাইকারী

বড় বড় চিংড়ি মাছের সাথে নারিকেল মিশিয়ে চিংড়ি মাছের মালাইকারী রান্না করা হয়। এটি দেখতে যেমন রসালো তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে এই চিংড়ি মাছের মালাইকারী এর স্বাদের কারণে অনেক বেশি জনপ্রিয়।

পিঠা

পিঠা বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার বিশেষ করে শীতকালে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয়। সাধারণত আমাদের দেশে পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা সহ আরও অনেক প্রকারের পিঠার প্রচলন আছে।

বিভিন্ন ফল

এদেশের জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস সহ আরও অনেক সুস্বাদু ফল রয়েছে। বিদেশি ফলের পাশাপাশি বাংলাদেশে দেশি ফল ব্যাপকহারে জনপ্রিয়।

লাচ্চি

গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরম থেকে শরীরকে রক্ষা করার জন্য লাচ্চি অদ্বিতীয় দই, চিনি, পানি ও গুঁড়া দুধ মিলিয়ে লাচ্চি তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে তা বরফের সাথে বা ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করা হয়। রেস্টুরেন্টগুলোতে লাচ্চি অনেক কমন একটি বিষয়।

বোরহানি

পুদিনা পাতা এবং দই সংমিশ্রণ করে বোরহানি নামক একটি অতুলনীয় পানীয় তৈরি করা হয়। ভারী খাবার খাওয়ার পর বোরহানি পান করলে শরীরের অস্বস্তি দূর হয় এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এখানে বাংলাদেশের বিখ্যাত ২০টি খাবারের নাম এবং এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি লেখাটি পরে আপনি আমাদের খাবারের প্রাচুর্যটা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

বগুড়ার দই কেন বিখ্যাত দই খাওয়ার উপকারিতা ও রেসিপি

বগুড়ার দই কেন বিখ্যাত দই খাওয়ার উপকারিতা ও রেসিপি

দই আমাদের দেশের অনেক বিভিন্ন অনুষ্ঠান অথবা অতিথি আপ্যায়নের জন্য দই ব্যবহার করা হয়। পুরো দেশে অনেক জায়গায় দই তৈরি করা হল্ব বগুড়ার দইয়ের সুনাম সব থেকে বেশি। আমাদের আজকের লেখায় বগুড়ার দই কেন এত বিখ্যাত এবং এটি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বগুড়ার দই কেন বিখ্যাত

দই প্রাচীনকাল থেকে পরিচিত একটি সুস্বাদু খাবার এখন থেকে ঠিক চার হাজার বছর আগে সুমেরীয় বা আক্কাদীয় যাযাবর নোম্যাডিক জাতি দই প্রস্তুত করা শুরু করে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশে দইয়ের প্রথম প্রচলন শুরু হয় ১৫০ বছর আগে থেকে। মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম দই তৈরি করেন শেরপুরের ঘেটু ঘোষ নামের একজন।

তিনি একজন সনাতন ঘোষ সম্প্রদায়ের সদস্য যারা সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত দই তৈরি করে আসছেন। যাইহোক, আমরা বগুড়ার দই বলতে যে দইয়ের কথা বলি তা আসলে শেরপুর জেলার দই।

 দই প্রচলনের শুরুর দিকে এর স্বাদে মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন বাংলার ইংরেজ গভর্নর তার দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এই দইয়ের স্বাদে এতটা মুগ্ধ হন যে তা উপহার হিসেবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের প্রেরণ করে।

তো বগুড়ার দই এত বিখ্যাত হওয়ার কারণ হল শুরুর দিকে এই দই তৈরি প্রণালি গোপন ছিল। অর্থাৎ ঘোষ সম্প্রদায়ের কারিগরেরা অতি গোপনে এই দই তৈরি করত। এতে বাজারে দইয়ের স্বাদ আর মান অনেক লম্বা সময় ধরে অক্ষুণ্ন ছিল।

 তাছাড়া যে পদ্ধতিতে এই দই তৈরি ও বিক্রি করা হতো তাতে বাজারে সব থেকে ভালো মানের দই বলতে এই একটি ছিল।

এই কারণে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই দই তৈরি ও বিক্রি বৃদ্ধি পায়। তখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বগুড়ার দই ছড়িয়ে পরে যা পরবর্তীতে এর সুনাম বৃদ্ধি করে। 

বর্তমান সময়ে বগুড়ার দই তৈরি করার শিল্প ঘোষ সম্প্রদায় বাদেও অনেকের কাছে ছড়িয়ে পরেছে। এখন হিন্দু কারিগরের পাশাপাশি অনেক মুসলিম কারিগর দই তৈরি করার কারখানা স্থাপন করেছে।

দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই, চিনা পাতা দই অথবা মিষ্টি দই প্রচলিত দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে অন্যতম। দই যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় সেহেতু এতে দুধে থাকা বিভিন্ন খনিজ, প্রোটিন ও ভিটামিন বেশি আকারে পাওয়া যায়। নিচে নিয়মিত দই খেলে আমরা কি কি উপকারিতা পাবো সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ছত্রাক প্রতিরোধ করে

মানব দেহে এমন অনেক অঙ্গ থাকে যা ছত্রাক সংবেদনশীল এই অঙ্গগুলো দ্বারা সহজেই দেহে ছত্রাক আক্রমণ ঘটে। আমরা খুব সহজেই এই ছত্রাক আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি যার জন্য প্রয়োজন হবে নিয়মিত দই খাওয়ার। অর্থাৎ নিয়মিত দই খেলে তা ছত্রাক সংবেদনশীল অঙ্গকে রক্ষা করে।

ওজন কমায়

ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সব থেকে বড় কারণ অতিরিক্ত চর্বি আমরা খাবারের সাথে নিয়মিত প্রাণিজ এবং তেল থেকে তৈরি চর্বি গ্রহণ করি। এগুলো শরীরে জমে দেহের ওজন বৃদ্ধি করে। এই কারণে দেহের ওজন কমাতে চাইলে অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এই অতিরিক্ত চর্বি কমানোর প্রয়োজন পরে।

এই ক্ষেত্রে দই দেহের চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ যখন পরিমাণ মত দই গ্রহণ করা হয় তখন তা শরীরকে তার জমে থাকা চর্বি খরচ করতে বাধ্য করে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকাক চর্বি দ্রবীভূত হয়ে শরীরের ওজন হ্রাস পায়। অন্যদিকে নতুন করে চর্বি জমতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

পেটের সমস্যা দূর করে

পেটের সমস্যা বৃদ্ধি করতে এবং প্রতিরোধ করতে দুগ্ধজাত পণ্য সমানভাবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনার পেটে যদি সমস্যা তৈরি করতে চান তবে পরিমাণের অধিক দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ করুন অন্যদিকে।

 দই পনির ইত্যাদি খাবার গুলো পরিমাণ মত খেলে তা পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে পেটের ভেতরে গ্যাসের সমস্যা থাকলে অথবা কোন জ্বালাপোড়া থাকলে দই খেলে তা নিরাময় হয়। অন্যদিকে দই পেট ঠান্ডা রাখে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

দই তৈরি করা হয় এক বিশেষ প্রজাতির উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এটি শরীরে প্রবেশ করলে তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান গুলো বৃদ্ধি করে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা পরবর্তীতে শরীরে অনেক রোগ আক্রমণ হওয়া প্রতিরোধ করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

দইয়ের মধ্যে থাকা যে সকল পুষ্টি উপাদান আছে তাদের মধ্যে পটাশিয়াম অন্যতম। সাধারণত পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকলে তা রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে চাপ কমায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

আমরা জানি দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শরীরের অনেক উপকারে কাজ করে। বিশেষ করে হজমের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন এনজাইমের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দই পাচন উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে গবেষণায় দেখা গেছে দই পেপটিক আলসার সমস্যার জন্য দায়ী এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এতে পেটের আলসার সমস্যা দূর হয়।

ত্বক উজ্জ্বল করে

দই প্রাকৃতিক ত্বক উজ্জ্বল করার কাজ করে এছাড়া দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড লোমকূপ পরিষ্কার করে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে সজীবতা বৃদ্ধি করে।

দাঁত ও হাড় মজবুত করে

দইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে এই উপাদান দুটি দাঁত ও হাড়ের সমস্যা দূর করে সুগথিত করে। নিয়মিত দই খেলে হাড় সম্পর্কিত সমস্যা থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।

উদ্বিগ্নতা কমায়

দইয়ে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের নিউরন উজ্জীবিত করে এতে সকল ধরনের দুঃখ, বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদি কমে যায়। তাছাড়া দই দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে যা আমাদের মস্তিষ্ক সচল রাখে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মানুষিক চাপ থেকে সুস্থ থাকার জন্য দই অনেক ভালো টোটকা হিসেবে কাজ করে। সর্বোপরি দই একাধারে অনেক গুলো রোগ থেকে সুস্থতা দান করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

দেহে ক্যানসার কোষ জন্ম হওয়ার জন্য ল্যাকটোব্যাসিলাস ও স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস এই দুইটি ব্যাকটেরিয়া কাজ করে। কোন ভাবে যদি এই ব্যাকটেরিয়া দুইটি শরীরে আক্রমণ করে তাহলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে দইয়ের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ এই ব্যাকটেরিয়া দুইটি ধ্বংস করে। যে কারণে পরবর্তী সময়ে শরীরে ক্যানসার আক্রমণ হতে পারে না। অর্থাৎ নিয়মিত দই খেলে তা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

আদর্শ খাবারের তালিকা Standard food list

1. প্রোটিন
2. ফ্যাট
3. কার্বোহাইড্রেট
4. খনিজ
5. ভিটামিন
6. পানি

আদর্শ খাবারের তালিকা ও তার শ্রেণিবিভাগ

খাবার ছাড়া আমাদের জীবনধারণ সম্ভব নয়। দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরা করার জন্য দরকার সবল, রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর। আর এই শরীর বজায় রাখতে খাবার প্রয়োজন। খাবার শরীর গঠন, বৃদ্ধি সাধন এবং ক্ষয়পূরণ করার পাশাপাশি তাপশক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

 এছাড়া রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। অসুস্থ শরীরকে আরোগ্য হতেও সাহায্য করে। তবে খাবারে রয়েছে অনেক শ্রেনীবিভাগ। আর দেহকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার কতটুকু শরীরের জন্য দরকার, সেটিও জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মন্তব্য

সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম,হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url