ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার?

ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

সাধারণত কোন খাবার গ্রহণ করার পর আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে গ্লুকোজে রুপান্তরিত করে। এরপর অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে গ্লুকোজকে গ্রহণ করার জন্যে নির্দেশ দেয়। 

এই গ্লুকোজ শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে কাজ করে।শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে।

সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও যতো মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এখানে তার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।

ডায়াবেটিস কেন হয়

আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে।শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।

কি কি ধরনের ডায়াবেটিস আছে

ডায়াবেটিস রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে।বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এ রকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।

অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই ধরনের ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয় তাদেরও এই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। সন্তানসম্ভবা হলে পরেও অনেক নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের এবং সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমানে তৈরি হতে না পারে, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে ৬ থেকে ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীর চর্চ্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে


১ খুব তৃষ্ণা পাওয়া।

২ স্বাভাবিকের চাইতেও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। বিশেষ করে রাতের বেলায়।

৩ ক্লান্ত বোধ করা।

৪ কোন কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া।

৫ প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া।

৬ দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।

৭ শরীরের কোথাও কেটে গেলে সেটা শুকাতে দেরি হওয়া।

চিকিৎসকরা বলছেন, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের লক্ষণ শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে এবং বয়স বাড়ার সাথে সেটা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়ার পর থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার লোকজনের মধ্যে এই ঝুঁকি তৈরি হয় তাদের ২৫ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই। যাদের পিতামাতা, ভাই বোনের ডায়াবেটিস আছে, অথবা যাদের অতিরিক্ত ওজন, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের মানুষ, আফ্রো ক্যারিবিয়ান অথবা কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান তাদেরও এই ঝুঁকি বেশি থাকে।

ডায়াবেটিস কি প্রতিরোধ করা সম্ভব

ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। মৃসন শাদা আটার রুটির পরিবর্তে খেতে হবে ভুষিওয়ালা আটার রুটি। এটাই প্রথম ধাপ। এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনি জাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি। আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক সব্জি, ফল, বিন্স এবং মোটা দানার খাদ্য শস্য। স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল। এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।

ডায়াবেটিসের কারণে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে

রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে পায়ে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস। হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।

কতো মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ কোটি। ২০১৪ সালে সেটা বেড়ে হয় ৪২ কোটিরও বেশি। ১৯৮০ সালে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার হার ছিল ৫ শতাংশেরও কম কিন্তু ২০১৪ সালের তাদের সংখ্যা বেড়ে দা ড়িযেছে ৮ দশকি ৫ শতাংশ।ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, প্রাপ্ত বয়স্ক যেসব মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশের, যেখানে খুব দ্রুত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটছে। সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালে ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ডায়াবেটিস মেলিটাস কি

মানুষের শরীরের পেশী, টিস্যু এবং মস্তিষ্কের সমস্ত কোষের জন্য শক্তির উত্স হিসাবে গ্লুকোজ প্রয়োজন। যে কোনো সময়ে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা 'ইনসুলিন' নামক হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা অগ্ন্যাশয় নিঃসৃত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে, অগ্ন্যাশয় দ্বারা নিঃসৃত ইনসুলিন অপর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে বা শরীরের কোষগুলি ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা সাধারণত উচ্চ রক্তে শর্করা হিসাবে ডায়াবেটিস কত প্রকারপরিচিত।

ডায়াবেটিস কত প্রকারপরিচিত।

টাইপ 1 ডায়াবেটিস, যা জুভেনাইল ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন-নির্ভর ডায়াবেটিস নামেও পরিচিত, একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যেখানে অগ্ন্যাশয় অল্প বা কম ইনসুলিন উত্পাদন করে।

টাইপ 2 ডায়াবেটিসে, শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করে না যাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে। প্রথমে, অগ্ন্যাশয় এটির জন্য অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি বজায় রাখতে সক্ষম হয় না এবং স্বাভাবিক রক্তের গ্লুকোজ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

টাইপ 3 গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ডায়াবেটিসবিহীন একজন মহিলার গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং সাধারণত জন্ম দেওয়ার পরে এটি উল্টে যায়। এটি গর্ভাবস্থার যেকোনো পর্যায়ে ঘটতে পারে, তবে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে এটি বেশি দেখা যায়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণগুলি কী কী


ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে (বিশেষ করে পিতামাতা)

অতিরিক্ত ওজন স্থূলতা

বয়স 45 বছরের বেশি

একটি আসীন জীবনধারা আছে

অন্যান্য রোগ আছে, যেমন অগ্ন্যাশয় রোগ, পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের পূর্ববর্তী বা পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে

ডায়াবেটিস উপসর্গ কি কি

কখনও কখনও, ডায়াবেটিস কোন উপসর্গ সৃষ্টি করে না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সনাক্ত করা যায় না। পুরুষ এবং মহিলাদের ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি হল।

পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি সাধারণ

অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস

ক্লান্তি যে দূর হয় না

ঝাপসা চোখের দৃষ্টি

অতিরিক্ত তৃষ্ণার অনুভূতি

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া

কখন একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত

আপনি বা পরিবারের কেউ যদি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তার বা এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সাথে আলোচনা করুন। এছাড়াও, আপনি যদি ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ দেখেন, যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব, অত্যধিক তৃষ্ণা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, তা আপনার ডাক্তার/এন্ডোক্রিনোলজিস্টের নজরে আনুন। এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সাথে নিয়মিত চেক-আপ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করতে এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

ব্যায়াম

ব্যায়াম আমাদের শরীরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। ব্যায়াম ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া উন্নত করে (ইনসুলিন সংবেদনশীলতা) এইভাবে রক্ত ​​থেকে আরও চিনি পোড়ায়। ওয়ার্কআউটের সময় আপনার শরীরে ইনসুলিনের অভাব থাকলে, রক্তে শর্করা বিপজ্জনকভাবে বেশি থাকতে পারে।যাইহোক, যদি আপনি ব্যায়ামের সময় উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা লক্ষ্য করেন তবে এর মানে হল যে আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন। এই শারীরিক চাপের ক্ষতিপূরণের জন্য শরীর রক্তে আরও চিনি ঠেলে দিচ্ছে। সমস্ত শারীরিক ক্রি

উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কীভাবে স্ব পরিচালনা করবেন

প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর জীবনে অন্তত একবার উচ্চ রক্তে শর্করার (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) অভিজ্ঞতা হয়। আপনি যে ধরণের ডায়াবেটিসে ভুগছেন তার উপর ভিত্তি করে রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলি পরিবর্তিত হয়। সুতরাং, ডাক্তার দ্বারা অনুমোদিত একটি ব্যক্তিগতকৃত কর্ম পরিকল্পনা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

কাদের ঝুঁকি বেশি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে।এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।

যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

কী করতে হবে

বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলছেন, যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে।এজন্য সবসময় হাসপাতালে যেতে হবে এমন নয়। এখন অনেক ফার্মেসিতে স্বল্পমূল্যে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়। সেখান ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদেরকেও বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে।
ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততো ভালো। তাতে তিনি যেমন রোগটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারবেন, পাশাপাশি তার জীবনযাপনও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।

কোন ডায়াবেটিক ডায়েট আছে যা আমি অনুসরণ করতে পারিআপনি যদি একটি ডায়াবেটিক ডায়েট খুঁজছেন তবে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই যা সবার জন্য উপযুক্ত। একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর পরিসরে রক্তে শর্করা বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে বেছে নিতে পারেন।

উচ্চ রক্তে শর্করার সাধারণ ট্রিগারগুলি কী কী

নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিরীক্ষণ করুন। এছাড়াও, উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার সাধারণ ট্রিগারগুলি সন্ধান করুন। এর মধ্যে রয়েছে খাবার, ব্যায়াম, ওষুধ, স্ট্রেস এবং হরমোনের পরিবর্তন।

খাদ্য

আপনি একটি উচ্চ চর্বি খাবার আছে? যদি তাই হয়, দীর্ঘ সময় ধরে চিনির মাত্রা বেশি থাকে।আপনি কি চিনির লোড ট্র্যাক করছেন? যদি তাই হয়, নিশ্চিত করুন যে আপনি সর্বোত্তম ক্যালোরি গণনা এবং পরিবেশন প্রতি মোট কার্বোহাইড্রেট উপভোগ করছেন। তারা সরাসরি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।

আপনি কি বীভৎস খেয়েছেন যে কিছু আপনি এড়াতে হবে. একটি স্থির চিনির মাত্রার জন্য একটি ডায়াবেটিস রোগীর অল্প পরিমাণে আরও ঘন ঘন খাওয়া উচিত।আপনি কি অ্যালকোহলকে হ্যাঁ বলবেন? মাঝারি থেকে অত্যধিক অ্যালকোহল গ্রহণ ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া ব্যাহত করে। এইভাবে, হাইপারগ্লাইসেমিয়া পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

লেখকের মন্তব্য

সবাইকে ধন্যবাদ।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম,হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url